এই বেশ ভাল হল অ্যামি, বিন্দাস জীবন ফেঁদে তাকে
গানে-নাচে-মাদকের জুয়ার পূণ্যে আ্যামি, কী বলব বল,
অ্যামি ওয়াইনহাউস, অ্যামি, আমি তো ছিলুম তোর
জানালার কাঁচ ভেঙে ‘ল্যাম্ব অফ গড’এর দামামায়
বাজপড়া-গিটারের ছেনাল-আলোয় চকাচৌঁধ ভাম
আ্যামি, আমি তো ছিলুম, তুই দেখলি না, হের্শেল টমাসের
শিয়রে বিষের শিশি মাধুকরী লেপের নিঃশ্বাসে, অ্যামি
স্তনের গোলাপি উলকি প্রজাপতি হয়ে কাঁপছি দেখছিস
লাল রঙে, অ্যামি, অ্যামি ওয়াইন হাউস, মুখপুড়ি
হ্যাশের ঝাপসা নদী কোকেনে দোলানো কোমর, চোখ
ধ্যাবড়া-কাজলে ঘোলা ঠিক যেন বাবার রিটাচ-করা
খুকিদের নকল গোলাপি ঠোঁট বয়ামে ভাসাচ্ছে হাসি
সাদা-কালো, হ্যাঁ, সাদা-কালো, ব্যাক টু ব্ল্যাক গাইছিস
বিবিসি’র ভিড়েল মাচানে কিংবা রকবাজ ঘেমো হুললোড়ে
আরো সব কে কী যেন ভুলে যাচ্ছি ভুলে যাচ্ছি ভুলে
ওহ হ্যাঁ, মনে পড়ল, ক্রিস্টেন পাফ…জনি ম্যাককুলোস…
রাজকমল চৌধুরী…অ্যান্ড্রু উড…কেসি কালভার…
ফালগুনি রায়…সেক্স পিস্টলের সিড ভিশাস…ডার্নি গ্রেস…
সামশের আনোয়ার…সমীর বসু…অ্যান্টন মেইডেন…
হেরোইন ওভারডোজ, ছ্যাঃ, ওভারডোজ কাকে বলে অ্যামি
ওয়াইনহাউস, বল তুই, কী ভাবে জানবে কেউ নিজেকে
পাবার জন্যে, নিজের সঙ্গে নিজে প্রেমে পড়বার জন্যে…
য়ুকিকো ওকাকার গাইতে গাইতে ছাদ থেকে শীতেল হাওয়ায়
দু-হাত মেলে ঝাঁপ দেয়া, কিংবা বেহালা হাতে সিলিঙের হুক থেকে
ঝুলে-পড়া আয়ান কার্টিস, কত নাম কত স্মৃতি কিন্তু কারোর
মুখ মনে করা বেশ মুশকিল; তোর মুখও ভুলে যাব…
দিনকতক পর, ভুলে গেছি প্রথম প্রেমিকার কচি নাভির সুগন্ধ,
শেষ নারীটির চিঠি, আত্মহত্যার হুমকি-ঠাসা, হ্যাঁ, রিয়্যালি,
কী জানিস, তাও তো টয়লেটের অ্যাসিডে ঝলসানো হার্ট
নরম-গরম লাশ, হাঃ, স্বর্গ-নরক নয়, ঘাসেতে মিনিট পনেরো
যিশুর হোলি গ্রেইল তুলে ধরে থ্রি চিয়ার্স বন্ধুরা-শত্রুরা
ডারলিং, দেখা হবে অন্ধকার ক্ষণে, খোলা মাই…
দু-ঠ্যাং ছড়িয়ে, এ কোন অজানা মাংস ! অজানারা ছাড়া
আর কিছু জানবার জানাবার বাকি নেই অ্যামি, সি ইউ…
সি ইউ…সি ইউ…সি ইউ…সি ইউ…মিস ইউ অল…
Let me read first.
Dada apnar lekha-y jibon dhuke jay odbhut bhabe… jebhabe onno kothao dekhi na… sheibhabe
Onubhuti peyechhi nishchit apnar lekhay… shobcheye ullekhjoggo byapar – nijoshwo onubhuti peyechhi…
Amar sroddha neben apni…
মলয় রায়চৌধুরী বহুকাল পর কবিতা লিখলেন। এবং একটি অসাধারণ কবিতা উপহার দিলেন। তিনি এত কম লিখছেন কেন? মলয়দা, আপনি আরও কবিতা লিখুন । আপনার কবিতার যে ফোর্স তা অন্য কোনো জীবিত কবির রচনায় দেখতে পাই না। এই সাইটটির কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ মলয় রায়চৌধুরীকে ওনার আত্মনির্বাসন হতে বাহিরে আনার জন্য।
মলয়, ব্র্যাভো । কবিতাসমগ্র বইটির পর সম্ভবত এই প্রথম কবিতা প্রকাশ করলে। তোমার কবিতার ধারা ধেকে সম্পূর্ণ না হলেও কবিতাটি তোমার কবিচরিত্রের নূতন মাত্রা উদযাপন করছে বলে মনে লরি। ওয়াইনহাউসকে নিয়ে কবিতা ইংরেজিতেও পড়ার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু প্রেমের কবিতা তুমিই লিখলে। আমার অভিনন্দন।
ফেসবুকে দেখি তোমার নিজস্ব পাঠকবর্গ গড়ে উঠেছে।
আর তোমার ঐ দারুন লাইনটা : ” কী ভাবে জানবে কেউ নিজেকে/ পাবার জন্যে, নিজের সঙ্গে নিজে প্রেমে পড়বার জন্যে”….অনন্য জীবনদর্শন। তুলনা হয় না।
আশা করি ভবিষ্যতে আরও কবিতা পাবো; গুচ্ছ কবিতা পড়ার সুযোগ হলে মন্দ হয় না।
ভালো থেকো।
ত্রিদিববাবু,
উপরোক্ত কবিতাটি প্রেমের কবিতা নয়: একটি এলেজি। শুধুমাত্র অ্যামি ওয়াইনহাউসকে কেন্দ্র করে লেখেননি মলয়দা। কবিতাটিতে উনি আরও অনেকের মৃত্যুর কথা বলেছেন, যাঁদের মৃত্যু অস্বাভাবিক । আমি ওনার কবিতাসমগ্র পড়িনি। পূর্বে তিনি এলেজি লিখেছেন কি ? জানি না। এলেজিরূপে কবিতাটি অসাধারণ, এবং হয়তো প্রেমের কবিতারূপেও।
মলয়দা তোমার কবিতা মানেই লেন থেকে লেনে ঘুররাতে থাকো অর্বাচীন পাঠকের মন পবনকে। এই কবিতায় কি নেই তাই ভাবছি। কবিতাটিতে আমাকে কেবন ট্যাগ করলে না দাদা এটা অভিমান রেখে গেলাম।
প্রেমের কবিতা ও এলেজি হতে পারে। অপ্রেম বলে কিছু নেই। তাই কবিতাটি ওয়াইন হাউসের প্রকৃতিতে অনেক জীবনের চিত্র রেখে গেলো। মলয়দা তোমার কবিতার উষ্ণ আদর নিয়ে গেলাম।
মলয় দার কবিতার সমালোচনার ধৃষ্টতা আমার নেই।কবিতাটিতে প্রথম থেকে দদাইস্ট দের ভঙ্গিমায় যে চিত্র গুলো এসেছে সেই সমজের সাথে আমার পরিচয় খুব কম তবে এই সমাজের সঙ্কট গুলির সাথে আমি পরিচিত।তাই জীবনের নশ্বরতা গতি র মাঝে কবি যখন অকপটে শেষ পরিচিত নারীটিকে ভুলে গেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিলেন অভিভূত ন হয়ে পারলাম না।কবিতাটির প্লট ওয়াইন হাউজ।তাই গায়ক কবি রমণী অনেককেই তিনি এনেছেন অতি সহজে।লিখলেন অপ্রেমের ইজেলে গভীর প্রেমের কবিতা।চিরাচরিত অ্ভ্যেসে ক্লান্তি।অজানারা ছাড়া
আর কিছু জানবার জানাবার বাকি নেই।তবুও অ্যামি মিস ইউ।অসাধারণ কবিতা।প্রণাম কবিকে।
মলয় দার কবিতার প্লট ওয়াইন হাউজ।অপ্রেমের ইজেলে লিখলেন গভীর জীবনবোধ সমৃদ্ধ এক প্রেমের কবিতা।যাপিত জীবনের ক্লান্তি প্রকাশ করলেন এক লাইনে___________অজানারা ছাড়া
আর কিছু জানবার জানাবার বাকি নেই অ্যামি__________অসাধারণ।কবিকে প্রণাম
মালয় ‘দা ‘র কন্ঠ অনিবার্য ভুপম্পন, সব পঙ্কিলতা আর জড়া যেনও নুতন বছরে দূর হয়ে গেলো এক লহমায়
I am startled by Mor Mukhpuri, and somehow scared of you as well. You reside in some other dangerously irresponsible world, where creativity and sensitivity comes perhaps at the cost of social acceptance. I very much look forward to translating the poem. It is one of the best I have ever read.
Regards,
Nayanima Shome
ওয়াইনহাউসের মত মানবী…
হতাশা এবং দহনের ছন্দে নেচে চলে লাইনগুলো…
অবশেষে পূর্ণতা খোঁজে- “অজানারা ছাড়া
আর কিছু জানবার জানাবার বাকি নেই অ্যামি, সি ইউ…
সি ইউ…সি ইউ…সি ইউ…সি ইউ…মিস ইউ অল…”
আজ সকালে আমি আমার জ্বলন্ত সিগারেটের ধোঁয়ার মত ক্লান্তিতে আচ্ছন্ন দাদা। তবুও কবিতাটা কাঁপালো আমাকে- অনেকটা মরা ব্যাঙকে যেমন কাঁপায় বিদ্যুতের সামান্য স্পর্শ । গৌতম ঘোষের ‘যাত্রা’র দশরথ যোগলেকারের কথা মনে করিয়ে দিলো, লাজুবাঈ যার নেশা ছিলো। কবিতায় আসা শীতেল শব্দটা আমার কাছে একেবারেই নতুন। এবং এতোখানি চমৎকার উপমায় কবিতা লেখা যেতে পারে, সেটা- বলতে গেলে, আসলেই এই প্রথম জানলাম। মুগ্ধকরী এই বাক্যগুচ্ছে আমার ভাবনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেলাম দাদা। দাদা বলে ডাকছি, তবুও কবিপ্রণাম।
বেশ লেগেছে তির্যক এই এলিজি টা
ভাল লাগা রইল নিরন্তর
আপনার কবিতাতেই আমি এখনো ষাট-সত্তরের ঝড় দেখতে পাই। দেখতে পাই নাগরিক ভঙ্গুরতা বা আত্মহত্যার সিরিজ। আপনার সময়কালকে সত্তর থেকে আজ অব্দি টানার সমস্যা হয় না। আসলে ডেকাডেন্সকে আপনি যেভাবে দেখেছেন তাতে ওই অস্তিত্ব সংকট আছে। আবার পাশে পাশেই যেন কোথাও আপনি নির্লিপ্ত হয়ে গ্যাছেন মলয়দা। শুভায় আপনি ভাঙছিলেন, এখন আপনি যুগপৎ। কেননা অজানাকে ছাড়া কিছুই জানার বাকী নেই। অজানাকে জানা বাকী আছে। আপনার আরো কবিতা বাকী আছে। আমার শুভেচ্ছা নেবেন। 🙂
মলয়দার লেখার একনিষ্ঠ ভক্ত । দাদার লেখায় কমেন্ট করার সাধ্য আমার নেই।