চাঁদ ফোড়ন
সাগরে ছিপ ফেলে
একদিন চাঁদ ধরেছিলাম,
ছোঁ মেরে ঢেউ
নিয়ে গেলো চাঁদ,
খুব দূরে, যেখানে
ডুবে গিয়েছিলো
একটি আস্ত মানুষ,
সেখানে কি করে এলাম
অমাবস্যা হয়ে, জানি না।
ছেঁড়া উঠোন
তোমার উঠোন গোছাও
বাইরে ঝুলছে চৈত্র,
শুকনো বনের লোভে
ফুঁসে উঠছে হাওয়া,
কি করি তোমায় নিয়ে!
ছিঁড়ে যাবে সাজানো তাঁবু,
ছেড়ে যাবে লাবণ্য তোমায়,
আমার মানচিত্র নেবে
কোকিলের দ্বিতল আবাস।
ডিটারজেন্ট
তোমার নারকীয় সভ্যতার জামায়,
কালশিটে গোঁয়ার দাগ,
ছাল বাঁকল, নিমিষেই পালাবে,
ব্যাবহার করেই দ্যাখো আমাকে,
তুলে দেবো, আজন্ম নিয়তি,
আমাকে মেখে দ্যাখো,
এক বার, শেষ বার নয়।
জল চোর
আসলে, গাঙচিলটার বয়স হয়েছিলো,
নোনা জলে, তার ছায়া তো কম ঢেউ কাটেনি!
স্বীকার করলো শিকারী-
পাখা ছিঁড়ে ফেলার পর,
এক দলা বোধ, খুব ভয়ে ভয়ে গিলে নিয়ে, বালি ভেঙে,
চলে গেলো কটেজের ফটকে।
আমি কেবলই আলখাল্লা হয়ে ঝুলে রইলাম,
সাগরের শেষ সংকেত হয়ে।
বেডরুম
আমি তুমি
কোনো এক দিন, এক শহরে থাকবো,
রোদকে তুলে দেবো আমাদেরও আগে,
ঝিম বাতির দোটানায়
সন্ধ্যে নগ্ন হলে, আমরাও ভুলে যাবো সভ্যতা,
জল ভাঙবো হ্রদে,
কাঁচের কাছাকাছি কোনো প্রবল ভেলায়,
আমাদের শহরে,
আমরা বাঁচবো, আমাদেরই গন্ধে,
আমাদেরই রন্ধ্রে।
পলিন কাউসার
কবিতার ঘর ও ঘোরে দুইয়েই বসবাস। প্রথম কাব্যগ্রন্থ “জল ও ডাঙার কবিতা” ২০১৪ তে ২১শের মেলায় প্রকাশিত হয়। জাতীয় সাহিত্য সম্মাননা পান সে বছরই। টিভির জন্যে নাটক লেখা ও পরিচালনা করেছেন আর করছেনও। গান লেখা ও ছবি আঁকাআঁকিতে ঝোঁক আছে। সব কিছুইতে অনিয়মিত থাকতে পছন্দ করেন।