বামপাশ
এখনো বামদিকে কাত হয়ে শুই
বামদিকে ঘণ্টা ধরে ধুকপুক শব্দের কৌটায় রাখি
তোমার নাম।
পাশ-ফিরে আলস্য ভেঙে উঠে যেতে চাই,
কে যেন মৃদু স্বরে বলে, ঘুম শেষ হলো?
বাম পাশে হাত রাখি, খালি হয়ে যায় ৩৬৫ দিন।
সুবিচার
কোনদিন সুবিচার পাবো এই ভেবে চুপ করে থাকি
মাকালফলে ভরে গেল দেশ, কাঁধের ওপর বিজ্ঞাপন।
সাহস আছে দুচোখ ভরে দেখি, তারা পারে!
সব গল্পের শেষে নিজেকে প্রশ্ন করি
কার কাছে জয়ী হবে তুমি?
ময়ূরী
দিন শেষে কতজন ময়ূরী
মেঘ না থাকলে পেখম খোলে না।
রঙয়ের মানুষ কুড়িয়ে নেয় খসে যাওয়া পেখম
তার নাচ বাড়ায় দর্শক।
কেউ কী জানে মেঘ ও ময়ূরীর খেলা?
চিড়িয়াখানার খাঁচায় তাকে দেখে ও দেখায় যারা
তাদের ভেতরেও কেউ কেউ একলা মানুষ।
ময়ূরীর পথ নেই আটক দুনিয়া।
আসমা চৌধুরী
আসমা চৌধুরী জন্ম–৩০নভেম্বর ১৯৬৫ মেহেন্দিগঞ্জ,বরিশাল । তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সহকারী অধ্যাপক। লেখালেখি – গল্প,কবিতা,প্রবন্ধ ও শিশুতোষ সাহিত্যে বিচরণ। বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ, বসবাস,গল্পগ্রন্থ। প্রকাশকাল–১৯৯০। প্রকাশিত গ্রন্থ– ১৭টি। পুরস্কার– ২০০০সালে শিশুতোষ সাহিত্য রচনায় ইন্টারলাইফ বাংলাদেশ কর্তৃক সুনীতি পুরস্কার। ২০১৩তে জয়িতা পুরস্কার, ২০১৬তে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক, ২০১৬তে জাতীয় কবিতা পরিষদ কর্তৃক কবি সম্মাননা,২০১৭তে বরিশাল জেলাপ্রশাসন কর্তৃক জীবনানন্দ পদক লাভ।