বললে হয়তো এখন অসঙ্গত হবে না, ঘোর প্রেমেই পড়েছিলাম আমি! খাইবার মেইলে’র নীলু এসে একাকার হয়ে যায় গল্পের ডালপালায়!
যে দুজন নারীর গল্প আমায় আবিষ্ট করেছিলো, নীলু দাস তাদের একজন। অন্যজন জাহানারা হাকিম। তবে তিনি ছিলেন বিবাহিতা। কমরেড সিরাজ সিকদারের বৌ। এ-তথ্য জানার পর ভয়ে তার গল্প পড়াই ছেড়ে দিলাম। গোপনে শুধু নীলু কইন্যার খোঁজ করি। অবশেষে সময় ও সুযোগ আসে তার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার। আমার সঙ্গী হতে সানন্দে রাজি হলো কবি মাহবুব কামরান। অনেক দূরের পথ। মগড়া নদের তীরে নাকি তার ঠিকানা! তবে কবিকে ভ্রমণ-উদ্দেশ্যের কথাটা জানাই না। কে কী নিয়ে হাসাহাসি করে, বলা তো যায় না! আমাদের প্রথম স্টপেজ হবে ময়মনসিংহ।
আমার সদাশয় বার্তা সম্পাদক ছুটি দিতে শুধু রাজিই হলেন না, পরন্তু কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দিলেন। শর্ত একটাই, ভাটি-দেশের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে যেন কিছু রিপোর্ট পাঠাই। সঙ্গে দিলেন ময়মনসিংহ জেলা ও নেত্রকোনার বেশ ক’জন সাংবাদিকের নাম-ঠিকানাসহ টেলিফোন নাম্বার। তালিকায় কবি আশরাফ মীরের নাম দেখে নিশ্চিত হই যে, ভ্রমণটা জম্পেশই হবে। মীর তথন আমাদের দৈনিকের জেলা প্রতিনিধি। পূর্ব পরিচিত।
০২
টানা চার ঘণ্টা কাটানোর পর আমাদের গদাইলস্কর যান স্টেশনে যথন পৌছে, আকাশের সূর্যটা তথন আর তেজী নেই, মেঘের ছিটেফোঁটা ঝাপ্টায় শ্যামাঙ্গী মুথের মতো মায়াবী। আমরা ‘তাজমহল’ হোটেলের খোঁজ করি। এই শহরের নামি-দামি ও উঠতি লেখক-কবিরা নাকি এখানেই আড্ডা মারেন। চেহারায় কাউকে চিনি না, তবে মীরের তালাশ যে-কারো কাছে থেকেই হয়তো পাওয়া সম্ভব। এখানকার খাবারেরও সুনাম শুনেছি। কামরান ডেসপারেট-টাইপের মানুষ। যে কাউকে যে-কোনো প্রশ্ন করতে সে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। খাওযার অর্ডার দেওয়ার সময়ই দেখলাম দিব্যি জমিয়ে ফেলেছে এক তরুণের সঙ্গে এবং সেই তরুণই এক গাল হেসে বলছে-‘‘ভাবুইন না যে! দরকার হইলে দিয়া আইবাম মীর-ভাই’র বাইত।’’ খাওয়া-দাওয়া ভালোই হলো। কিছু গল্পগুজবও হলো।
ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে শম্ভুগঞ্জে কবি আশরাফ মীরের বাড়ি। ওর বাবা ওই এলাকার নামকরা পীর, তার কয়েক হাজার নাকি খাস মুরিদ-এসব তথ্য জানিয়ে ওই তরুণ আমাদের হাঁটিযে নিয়ে গেলো গুদারাঘাটে। তারপর এক নৌকায় উঠিযে দিয়ে বলল, ‘‘এলা যাওহান। বাজারে নাইম্যা একটা রিকশা লইবান। পীরের মীরবাড়ি কইলে চিনব হগলেই।’’
০৩
তরুণ অসত্য বলেনি। মিনিট কুড়ির মধ্যেই পঙ্খীরাজের গতিতে রিকশাঅলা আমাদের পৌঁছে দিলো বিখ্যাত মীর-বাড়িতে। আশরাফ মীর বাড়িতে ছিলো না। সে ছিলো চেয়ারম্যান- দহলিজে। ছোট ভাই’র কাছে থেকে খবর পেয়ে ছুটে এসে আমাদের দেখে তার সেই বিখ্যাত হাবিলদারি-হাসি আর থামে না। দু’জনই তার ভুবনের মানুষ। শুরু হয়ে গেলো তেলেসমাতি, কবিতা প্রতিযোগিতা। একজন দুইলাইন বিনয় শোনালে, আরেকজন চার লাইন সুনীল শোনায়’ দুই কবির মাঝখানে পড়ে আমি বেকুবের মতো দাঁত বার করে হাসি। উচ্ছ্বাসের বন্যায় ভাসতে ভাসতে এক সময় বাস্তবের তীরে পৌঁছে দুই কবি। কামরান বলে, “খাওয়া-দাওয়া হইবো না?”
মীর বলে, “হইবো না মানে ব্যাগ-ট্যাগ ঘরে রাইখা চলেন চেয়ারম্যানের বাড়িতে। বিদেশী পাইবাম।’’
ওর বাড়ির কলতলায় হাতমুখ ধুযে জামাকাপড় আর পাল্টাই না, সূর্য নেভার উপক্রম। একটু পরেই আজান পড়বে। এই সময়টুকু আগরবাতি জ্বালিয়ে ধ্যানস্থ হতে হয় মীরকে, বাপ-দাদা আমলের নিয়ম। আমরা ইচ্ছা করলে ওর সঙ্গে যোগ দিতে পারি, না-দিতে চাইলে ওর স’মিলে গিয়ে খানিক বসতে হবে। চা পাঠিয়ে দেবে। আমরা চা-পানেই সম্মত হই। পা বাড়াই।
০৪
ওর বাড়ি অনতিদূরেই স’মিল; অকৃতদার মীরের আয়-রোজগারের যোগান দেয় এই মিল, কবিতা লেখা ও সাংবাদিকতা যেন স্রেফ ওর জীবনঘাতি নেশা। মীরের ছোট ভাইটা বেশ কাজের; বসতে না বসতেই ট্রে-ভর্তি খাবার হাজির করে, সঙ্গে তিন কাপ চা। তবে বাড়তি কাপটা ঠান্ডা হয়ে যাবে ভেবে ঢাকতে না ঢাকতে আরেকজন এসে হাজির। তিনি নিজের পরিচয় দেন মীরের চাচাতো-ভাই হিসেবে, কিন্তু স’মিলের কর্মচারীরা ‘এইহানে বওহান চেরম্যান সাব, এইহানে’ বলে তটস্থ হয়ে পড়লে বুঝতে পারি, তৃতীয় চায়ের কাপটা আসলে তার জন্যই পাঠানো হয়েছে। যে-কোনা মানুষ তার বাড়তি পরিচয় থাকলে তা পেশ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা জানতে পারে, এই চেয়ারম্যান সাহেবের আপন শ্যালিকা বাংলাদেশের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র মহিলা জাদুশিল্পী আজরা জ্যাবিন।
আমি বলে উঠি, ‘‘আল্লাহ… কী বলেন!’’
কামরান জিজ্ঞেস করে, ‘‘তুই মনে হয় চিনোস?’’
‘‘চিনবো না মানে! এইতো ক’দিন আগে আমি ওকে নিয়ে গেলাম সন্ধানীতে সুশান্তের কাছে। তারপরে প্রচ্ছদকন্যা করলো ওরা। বিরাট কাভারেজ।’’
চেয়ারম্যানসাহেব আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দেন, ‘‘বালা কাম করছুইন।…. এইহানে থাকলে তো লেটার পাইতে পাইতেই মাইযাডার জীবন শ্যাষ হইয়া যাইতো।’’
কামরান বলে ওঠে, ‘‘লেটার মানে… খুব ভালো ছাত্রী ছিলেন নাকি?”
চেয়ারম্যান দাঁত বার করে হাসেন, ‘‘আরে তা না ভাই, এই লেটার প্রেমপত্র, বুঝেন না গনি মিযার দ্যাশ না এইডা।’’
‘‘গনি মিয়া…!’’ কামরান বিড়বিড় করে।
“কেন পড়েন নাই? গনিমিয়া একজন কৃষক। তার নিজের জমি নাই। পরের জমিতে সে চাষ করে। এই দেশে সবাই পরের জমিতে চাষ করতে চায়।’’
কথা শেষ করে হো-হো হাসিতে ফেটে পড়েন তিনি। খানিক পরেই যেন গলা ধরে আসে; ফিসফিসিয়ে বলেন, ‘‘বাইচ্যা গেছে মাইয়াডা।’’
০৫
রাতে ওরা মানে দুই কবি ঘুমে বেহুঁশ হয়ে পড়লে আমি ‘সমকাল’-এর পুরনো কপিটা চোখের সামনে মেলে ধরি।
লো-ভোল্টেজের আলোয় ময়না ও পিয়ারীকে দেখতে পাই। উপুড় করে ঢেলে দেওয়া দূরের ওই অথৈ আকাশ-টার বুকের মাঝে আলোর ঝলক, এখন ঘরের বাইরে।
গল্পের নাম ‘‘রাত্রির রং কালো’’ লিখেছেন নীলু দাস।
গায়ের কাপড়টা ঠিক করতে করতে পাশে শুয়ে থাকা পিয়ারী আর রমজানকে ধাক্কা দিতে থাকে ময়না, ‘‘এই পিয়ারী, আরে শালী ওঠ তাড়াতাড়ি।’’
কাঁপতে কাঁপতে পিয়ারী কী যেন বলতে চায়। তার আগেই ঝুড়িটা হাতে নিযে ওর পাছায় একটা লাথি মেরে চেঁচিয়ে ওঠে ময়না, ‘‘দেখ শালীর মজা, মরদ পেয়ে একেবারে বুকের মাঝে সেটিয়ে নিয়ে আরাম মারছে। এই শালী, রমজান শালাকে খেয়ে ফেলবি নাকি!’’ অবশেষে ওদের বেরুতেই হয়।
…সবুজ দূর্বা ঘাসের ওপর জেগে থাকা সারা রাতের স্বপ্নবিন্দুগুলো ওদের পায়ের চাপে পড়ে ভাঙতে থাকে। আজরা জ্যাবিনের কথা মনে পড়ে।…একদিন আচানক আমার টেবিলের সামনে এসে হাজির। প্যান্ট-শার্ট পরা র্ফসা-লিকলিকে মেয়েটা বলে, ‘‘আপনাদের অন্য কোনো পাতা নাই?’’
‘‘অন্য পাতা মানে?’’
চেয়ারে বসে পড়ে মেয়েটা, ‘‘মানে, যেখানে নিউজ ছাড়া।’’
বাধা দিযে আমি বলেছিলাম, ‘‘ও! ফিচার পাতা? আছে তো। আপনি কি কোনো খবর দেবেন?’’
লাজুক হেসে মেয়েটা বলে, ‘‘না, আমি জাদু দেখাই তো। আমাকে নিয়ে যদি কেউ একটা লেখা লিখতো।’’
‘‘জাদু?’’ হতভম্ব হয়ে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকি।
এর আগে, ঢাকা শহরে ধারে-কাছের চলতি হিসেবে মাত্র তিন জনকে দেখেছি প্যান্ট-শার্ট পরণে, এদের মধ্যে ভাস্কর শামীম শিকদার, বিজ্ঞান-লেখক নাদিরা মজুমদার ও শিল্প-সমালোচক আনা ইসলামের সঙ্গে যৎকিঞ্চিৎ আলাপও ছিলো; আনা তো এখন আমারই কলিগ। এদের সঙ্গে কথা বলতেও ভয় লাগে। কিন্তু প্যান্ট-শার্ট পরা এই মেয়েটিকে খুব নিরীহ-টাইপের মনে হয়।
‘‘আপনি কি যে-কোনো জায়গায়, মানে উইদাউট এনি প্রিপারেশন জাদু দেখাতে পারেন?’’
‘‘হ্যাঁ’’ মাথা কাৎ করে মেযেটা, ‘‘দেখাবো?’’
দুপুরের শিফট, লোকজন বলতে হাতে গোনা, শিফট-ইন-চাজ সমুদ্র গুপ্ত পাশের রুমে গিয়ে সাহিত্য সম্পাদক কবি হেলাল হাফিজের সঙ্গে আড্ডা মারছেন। এই তো সুযোগ; আমি বলে ফেলি, ‘‘দেখান দেখি।’’
মুহূর্তেই সে একটা হাত-রুমালকে ধবধবে শাদা পায়রা বানিয়ে ফেললো। একটা-দুইটা-তিনটা… প্রায় একডজন পায়রা জমে গেলো নিউজ রুমের ভেতরে। হঠাৎ শুনি তুমুল হাততালি; সবগুলো পিয়ন এসে জুটেছে অলক্ষে। আমি ভয় পেয়ে যাই; তড়িঘড়ি ওর হাতে ভিজিটিং কার্ড দিয়ে বলি, ‘‘এখানে হবে না। আপনাকে অন্য কোথাও নিয়ে যাবো। কাল-পরশু আসুন। আর এখন দয়া করে পায়রাগুলো সামলান। এডিটর দেখলে আমার চাকরি চলে যাবে।’’
এক মিনিটও দেরি হলো না, হাতরুমালে ঝাপ্টা মারতেই দেখি আবার সেই সুনসান, পায়রাহীন ঘর। ম্লান মুখে চলে গেলো মেয়েটা। এস্ত সমুদ্রদা দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে বলতে থাকলেন, ‘‘সার্কাস দেখানোর জায়গা নাকি এইটা, য্যা?’’
০৬
আমাদের ট্রেন এসে থামলো নেত্রকোনা স্টেশনে। এক ফাঁকে মূল উদ্দেশ্যর কথাটা বলেছিলাম মীরকে। সে হাসতে হাসতে খুন, ‘‘হায় হায়, এইডা করছোইন কী ভাই, আমি তো শরমে কইতেও পারুম না কুনোদিন…!’’
যতোই কথাটার ব্যাখ্যা দিতে বলি, সে ভাঙে না, উল্টো কেতাবী-কাহিনি শোনায়, ‘‘বুজ্জোইন, এইগুলান হইলো বড় মাইনষের ছোড ভুল, ঠাকুর কী বুইজ্জা আণবিক বোমা বানানোরে সাপোর্ট করছিলো!’’
আমি মরিয়া হয়ে জিজ্ঞেস করি, ‘‘আপনি কি আসলেই উনাকে চিনেন?’’
‘‘চিনি না মানে?’’
‘‘আপনি কি শিওর যে…?’’
মীর দৃঢ় গলায় বলে, ‘‘একদম শিওর। আওহান আমার লগে… আইলেই বুঝতে পারবাইন!’’
ঢঙ-ঢঙ করে ট্রেন ছাড়ার ঘন্টা পড়ে। আমরা স্টেশন মাস্টারের রুমে ঢুকি। আবছা অন্ধকারে মোড়ানো।
হাতাঅলা একটা গেঞ্জি পরা ছিলো ভদ্রলোকের গায়ে, আগন্তুক দেখে শার্ট চড়িয়ে দিলেন; ভারি লেন্সের চশমা, মনে হলো সব ভেদ করে দেখছেন আমাদের।
কবি ও সাংবাদিক বলে উঠলো, ‘‘চিনছুইন আমারে? আমি আশরাফ মীর।’’
‘‘হ্যাঁ, হ্যাঁ।’’ এবার যেন চিনতে পারলেন তিনি, ‘‘কেমন আছেন বলেন তো? বহুদিন পরে দেখলাম।’’
‘‘ওরা আমার বন্ধু। আপনার সঙ্গে পরিচিত হতে ঢাকাত থাকি আসছেন।’’
উনি ব্যস্ত হয়ে পড়লেন আপ্যায়ন করতে।
বাইরে বেরিয়ে আমি কবির দুহাত চেপে ধরি, ‘‘ভাই প্লিজ এই কথাটা কাউকে কখনোই বলবেন না।’’
মীর কথা দেন। আমি আজরা জ্যাবিনের জাদুর জন্য মনে মনে অপেক্ষা করি! কিন্তু ঘটনার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারে না মাহবুব কামরান।
০৭
এ ঘটনার কুড়ি বছর পর ২০০২ সালে বেরোয় ‘‘নীলু দাসের গল্প’’
তাও এক ডক্টরেটের সম্পাদনায় ১২টি গল্প নিয়ে, আজরা তথনো জাদু দেখায়!ষাটের শক্তিমান এই কথাশিল্পীর জন্ম ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নীচতুলন্দর গ্রামে, ১৯৩০ সালে। সাধারণ গৃহস্থঘরের সন্তান নীলু দাসের পিতার নাম বৈকুণ্ঠ দাস, মা-সরোজিনী দাস।
পিতা-মাতার একমাত্র পুত্রসন্তান নীলুর স্বপ্ন ছিলো মানিকের মতো লেখক হওযার, কিন্তু ১৯৫৪ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে আই.এ. পাস করার পরই সংসারের টানাপড়েনের কারণে ঢুকে পড়তে হয় রেলের চাকরিতে। স্বপ্ন তবু বিসর্জন দেননি, হাতার ব্যস্ততার মধ্যেই লিখে গেছেন। তাঁর লেখা ছাপা হয়েছে সমকাল, মাহে নওসহ নানান নামিদামি পত্রিকায়। লেখাকে এক ধরনের তপস্যাই মনে করতেন তিনি।
সেই তপস্যায় হানা দেয় হানাদাররা। ১৯৭১ সালে লুট হয়ে যায় তাঁর ঘরবাড়ি। লুট হয় তিনটি উপন্যাস, ষাটটি গল্প, আরো অনেক লেখার খসড়া।
আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি নীলু দাস।
রচনাকাল : ২০২০
আবু সাঈদ জুবেরী
জন্ম ৪ জানুয়ারি ১৯৫৪, সুনামগঞ্জ। সাবেক বার্তা সম্পাদক,বাসস; সাবেক নগর সম্পাদক, দৈনিক পূর্বকোণ; ও সাবেক কার্যনির্বাহী সম্পাদক, আমাদের সময়। তিনি সার্বক্ষণিক ফ্রি-ল্যান্স লেখক, অসংখ্য বইয়ের প্রণেতা।
চমৎকার বয়ানশৈলী। দারুণ গল্প