দ্য আন্ডারগ্রাউন্ড রেলরোড
৩
রিজবে
২
নিউইয়র্ক ধান্ধাবাজদের শহর। উত্তরে বিশাল মেট্রোপলিশ, সেখানে মুক্তি আন্দোলন রমরমা। পাশাপাশি আছে পলাতক গোলামদের খোঁজখবর নেয়া আর সে খবর পৌঁছে দেবার জন্য গুপ্ত এজেন্ট। লোভী কালোরাও পলাতক গোলাম খুঁজে খুঁজে ধরিয়ে দেবার তালে ব্যস্ত।
চটজলদি নাড়ি বোঝার ক্ষমতা আছে রিজবের। যেমন পারে মনে রাখতে, তার চেয়ে তাড়াতাড়ি বুঝে ফেলে কী করতে হবে। শিখে ফেলে নতুন নতুন কৌশল। সহানুভূতিশীলরা কিছু ভাড়াটে লোকের সাথে মিলে পলাতক গোলামদের গোপনে চালান করে দেয় বন্দরে। আর ওদিকে জাহাজঘাটের কুলি, ভাড়াটে মাস্তান আর বন্দরের কেরানিরা মিলে মুক্তির আকাক্সক্ষায় পালিয়ে আসা হতভাগাদের খবরাখবর পাচার করে দেয় ওঁৎ পেতে থাকা বদমাশগুলোর কাছে। মুক্ত হয়ে এসে নানান অদ্ভুত পন্থায় দরকারি সব খবর তারা ভাইবোনদের কাছে পৌঁছে দেয়। কালোরা যেখানে জমায়েত হয় তেমন সেলুন, দোকান বা গির্জায় তারা খবরগুলো সেঁটে দেয়। কিছু নমুনাঃ সুঠামদেহী পাঁচ ফুট ছয় বা সাত ইঞ্চি লম্বা বেরির চোখদুটো মিটমিটে। মানে হল সে ঝাঁকুনি দিয়ে প্যান প্যান করে কথা বলে। হ্যাস্টির শিগগির বাচ্চা হবে। লোক মারফত সে এ খবর পাঠিয়েছে। সে এখন কষ্টকর এত দূরের পথ হাঁটতে পারবে না। এ কথার অর্থ হ্যাস্টি চারলটে পৌঁছেছে।
তাড়াতাড়িই রিজবে তিনটে কোটের মালিক বনে গেল। চমৎকার কোট। একদল পলাতক গোলাম ধরা দলে ভিড়েছে সে। তাদের কেউ কেউ আবার গোরিলার ছদ্মবেশ নেয় জঙ্গলে লুকিয়ে থাকে গোলাম পাকড়াও করতে। একসাথে মিলে তারা ওঁৎ পেতে থাকে কোন প্লান্টেশনের আশেপাশে। কখনও সখনও রাতে দাসপাড়ায় হানা দিয়ে তাদের তুলে নিয়ে যায়। যাদের এভাবে তুলে নিয়ে যায় তারা বেশ পুরনো গোলাম। অনেকদিন যাবৎ বউ-বাচ্চা নিয়ে নিগ্রোপাড়ায় থাকতে থাকতে তারা হয়ত নিজেদের বেশ নিরাপদ ভাবে। তাদের ধারণা, মালিক তাদের এখন সন্দেহ করে না যে তারা পালিয়ে যেতে পারে। বদমাশগুলো ঠিক তাদেরই টার্গেট করে ধরে আনে। এমন পুরনো গোলাম আর কিছু মুক্ত গোলাম জোর করে ধরে গলায় শেকল বেঁধে দক্ষিণে নিয়ে নিলামে বেচে দেয় এসব দুর্বৃত্তরা। এরা খুবই ইতর। এসব ইতর গ্যাংদের সাথে ভিড়ে গিয়ে রিজবে এখন গোলাম পাকড়াওয়ের ইতর কাজ করে বেড়ায়।
নিউইউর্কে এখন দাসবিরোধী আন্দোলন প্রবল হয়ে উঠছে। আদালতে হাজির করার পর কাজি রিজবেদের সহজেই জামিন দিলেন। উকিলদের যুক্তি, এরা নিরাপরাধ। নিগ্রো বলেই এদের বিরুদ্ধে নালিশ করা হয়েছে। দাসবিরোধী আন্দোলনকারীরা গাদা গাদা নথি নিয়ে হাজির হয় আদালতে। তাদের যুক্তি, নিউইয়র্ক একটি স্বাধীন রাজ্য। যে কেন কালো চামড়ার মানুষ এ রাজ্যে পা দেয়া মাত্রই সে স্বাধীন বলে গণ্য হবে। অভিযোগকারী যে দাবী করছে বেঞ্জামিন তার কেনা গোলাম এবং সে চুরি করে পালিয়েছে তার কোন প্রমাণ নেই। তাছাড়া এই বেঞ্জামিন যে এই সাদা মালিকেরই সেই বেঞ্জামিন তারও কোন অকাট্য প্রমাণ নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মালিক সব গোলাম চেনে না। তাই যখন তাকে শনাক্ত করতে বলা হয় প্রায় ক্ষেত্রেই মালিক তাকে সন্দেহাতীতভাবে শনাক্ত করতে পারে না। দুজন গোলমের মধ্যে গুলিয়ে ফেলে। আবার কোন মেয়েকে হয়ত সে অন্যায়ভাবে ভোগ করত। এখন আদালতে তাকে শনাক্ত করতে গেলে নিজের অপকর্মই ফাঁস হয়ে যাবার ভয়। এভাবে অনেক দাসদাসী মুক্তি পেয়ে যায়। তবে তা অনেকটা বরাতের উপর নির্ভর করে। সেখানে আবার বড় বড় ঘুষের ঘটনাও ঘটে। দেখা গেল হাকিম একজনকে জেল দিয়েছেন। পরক্ষণেই পেশকার টাকা খেয়ে তাকে মুক্তির আদেশ করিয়ে দিল। আর মুক্তি পেয়েই তারা এক রাতেই নিউ জার্সির অর্ধেক পথ পার হয়ে যায়।
সব সময় না হলেও রিজবে পারতপক্ষে আদালতপাড়া এড়িয়ে চলে। মুক্ত রাজ্যে এক আপদ হল প্লান্টেশন থেকে পালিয়ে এখানে এসেই সবাই কিছু না কিছু পড়তে শেখে। ফলে তাদের ফাঁকি দেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। রিজবে মনে করে, এই পড়তে শেখার ব্যাপারটা রোগব্যাধির মতই ছড়িয়ে পড়ছে।
ইউরোপ থেকে আসা একটা বড়সড় জাহাজ বন্দরে নোঙর করার সময় রিজবে চোরাকারবারিদের ডকে অপেক্ষায় থাকে। এখানে যাত্রীরা নামবে। সম্পদ বলতে তাদের আছে কয়েকটা বস্তা বা থলে। আধপেটা। নিগারদের মতই দৈন্যদশা তাদের। উপযুক্ত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে তাদের। এই প্রথম তাদের জীবনে নতুন কিছু সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দীনহীন সাদা মানুষের ঢল এখানে। দক্ষিণে, পশ্চিমে তাদের নেয়া হবে। সেখানে তারা বসতি গাড়বে। এখানে মানুষ আর জঞ্জালে তফাৎ নেই। এভাবে বানের মত আসছে সাদা মানুষের ঢল। আশ্রয়ের খোঁজে। ঠিকমত হাটার শক্তি নেই। টলতে টলতে কোন রকমে জাহাজের সরু পথে নেমে আসছে তারা। চোখ বেয়ে ঝরছে অশ্রু। হতবিহবল। তারপরও এই নতুন শহর যেন তাদের তীর্থস্থান। সারা জীবন দু’বেলা দু’মুটো খাবার জোটে নি। কিন্তু বর্ণবাদের সুবাদে এখানে তাদের কপাল খুলে যাবে। মুক্তির অধিকার থাকলে নিগ্রোদের শেকলে বেঁধে রাখা হত না। লাল চামড়ার মানুষদের জমিজিরেতের উপর অধিকার থাকলে তাদের সে জমিজিরেত থেকে উৎখাত হতে হত না। সাদা চামড়ার মানুষের আইন কানুন সবই আলাদা। এ দুনিয়ায় সবই সাদা মানুষদের জন্য। সাদা চামড়ার মানুষদের নিয়তিই হল এ নয়া দুনিয়া ভোগ-দখলের। না হলে, মহাসমুদ্র পাড়ি দিয়ে তারা কেন এখানে আসবে!
পরমেশ্বরের ইচ্ছাই সব। তিনিই মানুষের সকল কর্ম এক সূঁতোয় বেঁধে রাখেন। যদি দখলে রাখতে পার, তাহলে এ দুনিয়া তোমারই। তুমিই এর প্রভু। সবাই তোমার দাস। এ বিস্তীর্ণ ভূ-ভাগ সবই হবে তোমার করতলগত। এটাই একমাত্র আমেরিকান সত্য।
রিজবে জানে সম্পত্তি কীভাবে দখলে রাখতে হয়। তার কাছে দাসই হল আসল সম্পদ। তাই যখন কোন গোলাম পালিয়ে যায়, সে ঠিকই অনুমান করে নিতে জানে সে কোন দিকে গেছে বা যাচ্ছে। কোথায় কীভাবে তাকে পাকড়াও করা যাবে। একটা চমৎকার কৌশল আছে তার। এটা ভাবার দরকার নেই, গোলামটা পালিয়ে কোন দিকে ছুটছে। শুধু মনে রাখ, গোলামটা পালাচ্ছে। ক্রমেই সে তোমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। মনিবের নিষ্ঠুর অত্যাচারে সে পালাচ্ছে কি-না সে কথা মোটেই মনে আনবে না। তার এ কৌশল অনেকবারই যুঁতসই ভাবে খেটে গেছে। তোমার একটাই কাজ গোলামটাকে পাকড়াও করা। কেবল সেদিকেই মনোযোগ দাও।
বাবার দর্শনকে শেষবারের মত ঝেড়ে ফেলে রিজবে নিজের পথে ছুটল। নিজেকে সে কামার ভাবতে নারাজ। সে হাতুড়ি কিংবা নেহা কোনটাই নয়; সে হল আগুন।
বাবা মারা গেছেন। রিজবে সুদূর ভার্জিনিয়া বা আরও দূরে কোথাও নিজের কাজে ব্যস্ত। যেখানে দরকার সেখানেই ছোটে রিজবে। ইতিমধ্যে সে একটা গ্যাং তৈরি করেছে। পাকড়াও কারা গাদা গাদা পলাতক গোলামদের উপর নজরদারি করার জন্য এমন গ্যাং তার দরকার। একা আর কত পারা যায়। এলি হুইটনির বুড়ো বাবা ধূলোর মধ্যে পড়ে কাঁশতে কাঁশতে মারা গেল। রিজবের লোকেরা তাকে তাড়াচ্ছিল। এ খামারটা অন্য যেকোন খামারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বড়। স্বাভাবিকভাবেই এখানে অনেক বেশি সংখ্যক গোলাম খাটে। তাই এখান থেকে পালায়ও বেশি বেশি গোলাম। যত বেশি গোলাম পাকড়াও করা যাবে তত বেশি এনাম মিলবে। রিজবে সেটা ভালই জানে। তাই সেও জানপরাণ খাটে গোলাম পাকড়াও করতে।
খামারটা যেমন প্রায় দ্বিগুণ বড়, তেমনি অনেক বেশি গোলাম এখানে গতর খাটে। এখানে উকিলদের তেমন দাপাদাপি নেই বটে; তবে দাসবিরোধীদের তৎপরতা ক্রমেই বাড়ছে। খামার মালিকরাও সে সব খবর পাচ্ছিলেন। এত দক্ষিণে আন্ডারগ্রাউন্ড রেলপথ গড়ে উঠেছে কি-না তা ঠিক জানা নেই। প্রলুব্ধ করার জন্য খবরের কাগজগুলোর শেষ পাতায় নিগ্রো পোশাকে আর গোপন সংকেতে নানা খবর ছাপা হচ্ছে। রিজবের লোকেরা যখন কোন বাড়ির সামনের দরজা ভেঙে হামলা চালায়, তখন দাসবিরোধী আন্দোলনের গুপ্ত এজেন্টরা পেছন দিয়ে তাদের গোপনে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়। রিজবে ভাবে, মনিবদের বিরুদ্ধে এটা ক্রিমিনাল চক্রান্ত। গোলামরা তো মনিবের চিরস্থায়ী সম্পদ। সে সম্পদ এভাবে হাতিয়ে নেয়া মারাত্মক অপরাধ।
ডেলভারের এক ব্যবসায়ী অগাস্ট কার্টার। এ্যাংলো-স্যাক্সন এই নিরীহ মানুষটি গোলামদের পক্ষে খুব সহজ কিছু যুক্তি দেখান। তিনি একজন দাসবিরোধী। একটা ছাপাখানার মালিক তিনি। খবরের কাগজে একটা দুঃসাহসী বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছিল তার প্রিন্টিং প্রেস থেকে: ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম-এর আয়োজনে ‘জাতি নিয়ন্ত্রণকারী অপরাধমূলক দাস ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থা’ (টেস্টিফাই এগেইনেস্ট দ্য ইনকুইশাস স্লেভ পাওয়ার দ্যাট কন্ট্রোলস দ্য নেশান) মিলার হলে বেলা ২টায় এক গণশুনানী করবে। নদীর পাড় থেকে মাত্র শত খানেক গজ দূরে তার বাড়ি যে আসলে একটা গোপন স্টেশন ততদিনে তা অনেকেই জেনে গেছে। অনেকবার সে বাড়িতে হানা দিলেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে পাকড়াওকারীদের। পালিয়ে গিয়ে বোস্টনের সমাবেশে অনেক গোলামই তার মহানুভবতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রোববার দাসবিরোধীদের মেথোডিস্ট শাখা এই বিজ্ঞপ্তি ব্যাপকভাবে প্রচার করে। আর পরদিন লন্ডনের সাময়িকীগুলো কোন রকম ছাঁটকাট ছাড়াই পুরো বিজ্ঞাপনটা ছেপে দেয়। একটা ছাপাখানা আর বন্ধুসুলভ কিছু বিচারকের কল্যাণে রিজবে এর আগে অন্তত বার তিনেক আদালতে খালাস পেয়েছে। আদালতপাড়া দিয়ে যাবার সময় তাই রিজবে মাথার টুপি খুলে সালাম জানায়।
কিন্তু গোলাম পাকড়াওকারীদের এখন যেন কিছুই করার নেই। কার্টারের এত বড় স্পর্ধা সহ্য করা যায় না। গভীর রাতে তারা চড়াও হল কার্টারের বাড়িতে। বেধড়ক পিটিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করল। সাগরেদদের দিয়ে কার্টারপতœীকে এমন হেনস্থ করাল যা কোন নিগ্রো মেয়েকেও হতে হয় না কখনও। তারপর বাড়িটা আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিল। এরপর কোথাও কোন কুশপুতুল পুড়ানো দেখলে রিজবের মনে পড়ত কীভাবে তারা কার্টারের বাড়িটা পুড়িয়ে ছাঁই করে দিয়েছিল। দাউ দাউ করে জ্বলছিল আগুন আর কুণ্ডলি পাকিয়ে কালো ধোঁয়া আকাশটা ঢেকে ফেলেছিল। রিজবে তারিয়ে তারিয়ে কার্টারের ঘর পুড়ানো উপভোগ করেছিল তখন। পরে সে শুনেছে, কার্টার নাকি ওরেস্টারে গিয়ে জুতো সেলাই বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।
বাচ্চাদের ভয় দেখাতে দাস মায়েরা বলে, “চুপ, চুপ, ওই দেখ রিজবে আসছে।” সে কথা শোনামাত্র বাচ্চারা ভয়ে মায়ের বুকে সেঁটিয়ে যায়।
আর দাস মালিকরা সোজা রিজবেকেই ডেকে পাঠায় গোলাম শায়েস্তা করতে।
র্যান্ডেল খামারে এসে প্রথম দিকে রিজবেকে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছিল। কিছু গোলাম তাকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। তার অনেক ক্ষমতা থাকলেও আধিভৌতিক কেউ তো সে নয়। মেবেলের পালিয়ে যাওয়া ছিল তার বড় হার। এই ঘটনাটি তার মনে গভীর দাগ কেটেছিল।
এখন তার পালিয়ে যাওয়া মেয়েকে ধরতে এসে সে বুঝতে পারছে কেন মেবেলের পলায়ন তাকে আজও তাড়া করে। সে বুঝে ফেলেছে আন্ডারগ্রাউন্ড রেলরোডই হল আসল দুশমন যে কারণে মেবেল এবং তার মেয়ে পালাতে পেরেছে। সে সিদ্ধান্ত নেয় এর একটা হেনস্থা করতেই হবে। আন্ডাগ্রাউন্ড রেলরোড ধ্বংস করতে শপথ নেয় রিজবে। (চলবে)
আমিরুল আলম খান
জন্ম যশোর জেলার ভারতীয় সীমান্তলগ্ন শিববাস গ্রামে ১৩৫৮ বঙ্গাব্দের ১৫ই অগ্রহায়ণ।
পড়েছেন এবং পড়িয়েছেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য। এরপর মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে যুক্ত থেকেছেন। যশোর শিক্ষা বোর্ডে প্রথমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পরে চেয়ারম্যান ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি অপেশাদার সাংবাদিকতায় যুক্ত গত পাঁচ দশক ধরে। ইংরেজি দৈনিকে নিউ নেশান-এ প্রায় এক দশক সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। দৈনিক ইত্তেফাক, প্রথম আলো, সমকাল, বণিক বার্তায় কলাম লেখেন।
গ্রামীণ পাঠাগার আন্দোলনে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশে গ্রামোন্নয়নের নতুন মডেল ডিহি ইউনিয়ন পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম গণপাঠাগার যশোর পাবলিক লাইব্রেরির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিক্ষা, ভাষা, প্রকৃতি, কৃষি, বাস্তুসংস্থানবিদ্যায় আগ্রহী। এসব নিয়েই তার বই: বাঙলার ফল, অরণ্যের পদাবলী, পারুলের সন্ধানে, কপোতাক্ষ-মধুমতীর তীর থেকে, বিপর্যস্ত ভৈরব অববাহিকা, পারুল বিতর্ক, বাংলাদেশের শিক্ষার স্বরূপ সন্ধান এবং বিদ্যাবাণিজ্যের রাজনৈতিক-অর্থনীতি।
তাঁর অনুবাদগ্রন্থ: আফ্রিকান-আমেরিকান উপন্যাস দি স্লেভ গার্ল। হ্যারিয়েট অ্যান জেকব রচিত এই আত্মজৈবনিক উপন্যাসটি বোস্টন থেকে প্রকাশিত হয় ইনসিডেন্টস ইন দ্য লাইফ অব এ স্লেভ গার্ল শিরোনামে, ১৮৬১ সালে।