শুঁয়োপোকা
শুঁয়োপোকা
ধীরেধীরে খেয়ে চলেছে আঙুরগাছের পাতা
পোকা স্বাস্থ্যবান
পায়েপায়ে মানচিত্র
পাতার পিঠে ক্ষত
পাতা,একটি বিপ্লবের রান্নাঘর
ফোস্কা
প্রথম মাছ ভাজার দিন
তেল ছিটে ফোস্কা পড়েছিল
জানা ছিল না
বোয়ালমাছ ঢেকে রাঁধতে হয়
এখন ঢেকে রাঁধি
তেল ছেটে
ফোস্কা হয়
ঢাকনার তলায়
যমজ
মিথ্যের সাথে অনেক পথ হাঁটতে হয়
একদিন মিথ্যেই আলাপ করিয়ে দেয়
যমজ ভাই সত্য
মা জানে
কে বড়
সিঁড়ি
মাঝে মাঝে নিজের শরীর বেয়ে ছাদে এসে একা দাঁড়ায় মানুষ।
গ্রহ নক্ষত্র ভরা মহাকাশ ফুটে ওঠে। নিজেকে মনে হয় একটা বিন্দু।
সরলরেখার মতো অজস্র।
ছাদের পিছুটানের নাম সিঁড়ি। সে কখনো ছাদে পা বাড়ায় না।
অন্ধকার ঘুপচির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে একা।
মানুষ চিরকাল ওঠানামা।
যখন নিজের ভেতর সেই সিঁড়িটা হারিয়ে ফেলে
তখন সে আর আকাশ দেখতে পায় ন।
টান
জলের সাথে জল এমন ভাবে সেলাই হয়ে থাকে,
কোথায় জোড়া দেখা যায় না। জলের থেকে জল যখন
দূরে চলে যায়, তখন সেই অদৃশ্য সুতোয় টান পড়ে। এমন এক টান,
ব্যথা টনটন করে ওঠে।
ব্যথা এক রূপকথা।
পুরনো জলের কাছে ফিরে গিয়ে
হয়ত দেখলে, সব শুকনো। বালিমাটি পড়ে আছে ।
জল সরে গেছে, আবার আছেও। সুতো তোমার ভেতর
দলা পাকিয়ে আছে।
খুলতে খুলতে চলো…