পুনর্জন্ম নিয়েছি নিজেরই বাঁকাহাড়ে
আমাকে নাশ করতে দিও না, গির্জা
এখনও কেঁপে ওঠে প্রশ্বাস, ঝুঁকি রয়ে গেছে
পরাধীন দৌড়ের
প্রত্যাদিষ্ট হলে একটুকরো পাথর কি শোনে নি কণ্ঠস্বর?
অন্য বাসনায়, অথবা
এই প্রথম নতজানু তবু ব্যবহৃত হই নি
বিশ্বাস করো, অনাঘ্রাতা কোনো রহস্যও নেই আমার
পাথরের দেয়ালে যারা অমসৃণ মূর্তি এঁকেছ
কণ্ঠস্বর আরোপ করেছ
সেই মূর্তি ভেঙ্গে অতঃপর
আত্মাকে পুনর্জীবিত করে আলিঙ্গন করেছি আমিই
পুনর্জন্ম নিয়েছি নিজেরই বাঁকাহাড়ে
কোনো পাথরের কাছেই চোখ বিক্রি করব না আমি।
আমার ভিতরে রাতভর শিশু ও রুটি
বাদাম ভেঙ্গে দেখি বৃদ্ধ পিতামহের মুখ
অসম্ভব শীত লাগলে আমি ইশতেহার পড়ি
ধার করে নিয়ে আসি দাঁত
মাঝে মাঝে মিছিল নামে গোড়ালিতে
পুনরুত্থান পর্বের তালিকা বানিয়ে
তীব্র বিরোধিতা করি চাবির
এখনও অষ্টাদশ শতকের চাবি দিয়ে যারা ব্যঙ্গ রচনা লেখে
গর্ভবতী হয়
টোটেম আর জাদুই কি ভবিষ্যৎ তাদের
আমার ভিতর রাতভর শিশু ও রুটি
পিছিয়ে যাচ্ছে বিবাহ।
পূজা পেয়ে পেয়ে নিষ্ঠুর হয়ে গেছে পাথর
কে আমাকে গড়েছে প্রাণহীন
সামনে ঘিয়ের প্রদীপ, পুড়ে গেছি যতবার
ভেবেছি যজ্ঞ
চোখ চেঁছে নিয়েছে যার ধার
তাকে বলি, ঈশ্বর
পূজা পেয়ে পেয়ে নিষ্ঠুর হয়ে গেছে পাথর।
যে প্রত্ন চুম্বনগুলো আজো পাওয়া হয়নি
খরগোশের চাঞ্চল্যের জন্যই এটি আমার তৃতীয় জন্ম
আমার ভিতরে যে একশ’আটটি নাড়ি
তারাও এক একটি খরগোশ
কাল যে বেদান্ত পাঠিয়েছ
অবিদ্যাজনিত কারণে ব্রহ্মঘাস ভেবে খেয়ে ফেলেছে
কারণ খরগোশের কেবল আত্মা নয়
দেহও আছে
মাটি খুঁড়ে যদি হরপ্পা পাওয়া যায়
যে প্রত্ন চুম্বনগুলো আজো পাওয়া হয়নি তার জন্য
চতুর্থবার জন্ম নিতে দোষ কি।
চাই কেউ দেখুক সে অহংকারগুলো
রাস্তার পাশের ফলওয়ালা হতে চেয়ে আমি কেটে
ফেলেছি আমার অপূর্ব কেশরাশি
ছিঁড়ে ফেলেছি পাঁজরে আটকানো সরু পাড়
সংসারের যে কাঁসার বাটিতে আমার নাম
যে হলুদ ফিতে,ডালিম গাছ খুব লোভ করে জমাচ্ছি
চাই কেউ দেখুক সে অহংকার গুলো।
কচি রেজা
জন্মশহর গোপালগঞ্জ, ডিসি রোড। মা- রাবেয়া রেজা, বাবা- কাশেম রেজা। প্রকাশিত বই এর কয়েকটি: অবিশ্বাস বেড়ালের নূপুর; ভুলের এমন দেবতা স্বভাব; মমি ও কাচের গুঞ্জন মনে করো ও নির্বাচিত কবিতা।
কবি কচি রেজার ভাষায়- খুব প্রস্তুতি নিয়ে লিখতে তো আসিনি। তবে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে অনেক। এখনও নিচ্ছি। তৈরি হচ্ছি এখনও। সমস্তকবিতাকালই প্রস্তুতিকাল, আমি মনে করি। জীবন ভালো কি মন্দ জানি না। আঘাতের অভিঘাতই আমি লিখতে চেয়েছি কেবল!