জন্তুটা হাঁটছিল আনমনে, একরোখা সড়কটির উপর এলোমেলো পদক্ষেপে, যেন মাটিতে ছায়ার টুকরো খুঁজে বেড়াচ্ছিল সে। শুকতে শুকতে সন্দেহ বোঝাই পা নিয়ে চলছিল সড়কের উপর পড়ে থাকা পাতায় খসখস একটা শব্দ হচ্ছিল, মৃদু ধুলো উড়ছিল যদিও আবছা আঁধারের ভেতর দেখা যাচ্চিল না কিছুই । একটা জমাট অন্ধকারের ভিতর জন্তুটার শরীর এগিয়ে এল। তিনি রুদ্ধশ্বাস দাঁড়িয়ে রইলেন।
চলমান জমাট আঁধারটি আরো এগিয়ে এলে তিনি বন্দুক তুলে নিলেন আর সেই স্বল্প আলোর ভেতর বেশ কিছু গজ দৃরত্বে জন্তুটির মাথা লক্ষ করে গুলি ছুড়লেন। তাক্ করে ধরা হাত একটুও কাঁপল না, চোয়ালের পাশে ট্রিগারে চেপে বসা আঙুল কেবল শক্ত হয়ে এল। জন্তটা গোত্তা খেল বার দুই, লাফিয়ে শুন্যে উঠল অনেকটা, অতঃপর নিঃসাড় হয়ে পড়ে রইল ধুলোময় পথটার প্রতিবাদহীন পিঠে । কখন মৃত্যু তার মাথা ফুটো করে বেরিয়ে গেছে সে টেরও পেল না।
তখন চাঁদের আলো একটু একটু করে কেটে চলেছে আঁধারের সিল্ক। পৃথিবী ভরে উঠেছে পবিত্র আলোয়। সে আলোয় তার ঘাতক ভঙ্গিটি অসহায় দেখায়। কবজি ঘুরিয়ে সময়টা দেখে নিল, মধ্যরাত ছুঁই ছুঁই করছে ছোট্ট কাটা দুটো। তিনি গুনে দেখলেন ‘উনিশ’। বারুদের গন্ধটা সত্যি নেশা ধরায়। গুলির শব্দে লোকজন এসে পড়তে পারে ভেবে তিনি দ্রুত পা চালিয়ে চলে আসেন বধ্যভূমি থেকে। নতুন, চালু না হওয়া হাসপাতাল কলোনীর সাড়াশব্দহীন রাস্তাগুলো এক ধরনের হিংস্র নৈঃশব্দ ধারণ করে আছে। সেদিকে আর গেলেন না আজ।
খুকু যেদিন মারা গেল সেদিনই ভুতুকে দিয়ে হত্যাযজ্ঞটি শুরু করেছিলেন। সেই ভয়ঙ্কর অন্তহীন দুঃখবাহী রাতটি শেষ না হতেই তিনি গুলি করে উড়িয়ে দিয়ে ছিলেন আরও একটি প্রাণীর খুলি। সেই থেকে নেশাটা অদ্ভুতভাবে পেয়ে বসে তাকে, প্রতিরাতে একটি সারমেয় নিধন তার চাই-ই। উনিশ সংখ্যাটি গণনার পর তিনি বুঝতে পারলেন উনিশ দিন হল খুকু চলে গেছে।
আততায়ী যেমন হত্যালীলার জন্য বেছে নেয় রাত, তেমনি তিনিও পছন্দ করেন আঁধারের বন্ধুপ্রতিম সহযোগিতা । চেম্বারে গুলি ভরে নিয়ে মধ্যরাতের নিকটবর্তী সময়ে বেরিয়ে পড়েন পথে, শব্দশুন্য পায়ে সতর্ক চোখ জেলে কখনো শক্রর অপেক্ষায় কোনস্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। একটি খুনের অপেক্ষায় রাত্রির ঘুমপ্রহরগুলো কেটে যায়। হত্যালীলা শেষ না হলে তিনি ফিরে আসতে পারেন না ঘরে।
শক্রকে বধ করার পর তার মন শান্ত হয়ে আসত। ঘরে ফিরে এলেই চোখ ডুবিয়ে ঘুম। পরদিন ভোরে ভুলে যেতেন রাতের সব ঘটনা, অন্যান্য কর্মব্যস্ত দিনগুলোয় যেভাবে খুকুকে বিস্মৃত হয়ে থাকতেন, তেমনিভাবে। রাত্রি এলেই তার আঙ্গুল ব্যগ্র হয়ে উঠত পুনর্বার একটি ধাতব শীতল বক্রতা চেপে ধরার জন্য। যেদিন প্রথম ব্যাপারটা টের পেলেন সেদিন বাড়ি ফিরতেই আয়ার কাছে শুনলেন, খুকুর খুব জ্বর। সাধারণত তার বাড়ি ফেরার শব্দ পেলেই খুকু দৌড়ে আসত। সেদিন লক্ষ করলেন আশপাশের কোথাও ওর চঞ্চল পায়ের শব্দ নেই, গোটা বাড়িটা শব্দহীন, নিঃঝুম।
ছুটে মেয়ের কাছে চলে যান তিনি, শরীরটা তখন আগুনে পুড়েছে যেন। তিনি ভেবেছিলেন নিউমোনিয়া জাতীয় কিছু কিংবা টাইফয়েড । রোগপাণ্ডুর মেয়ের মুখের দিকে তাকিযে কেমন অসহায় বোধ করেন। ডাক্তারকে অতি দ্রুত চলে আসার জন্য ফোন করে দিয়ে তিনি পুনর্বার খুকুর শয্যার কাছে এসে বসেন। বাবাকে দেখে কেমন মিইয়ে যায় মেয়ে, অথচ ওর উজ্জ্বল হয়ে উঠার কথা। তখনই তিনি লক্ষ করলেন ডান হাতটা লুকিয়ে রাখছে খুকু। কিছুটা অদ্ভুত আচরণ । চাদরের নিচ থেকে জোর করেই হাতটা বের করেন তিনি, আর যা দেখেন তাতে হিম হযে যায় তার শরীর । তখন ঘা’টা পাকতে শুরু করেছে, জন্তুটার তীক্ষ্ন দাঁতগুলো নরোম মাংসের ভেতর ঢুকে গিয়েছিল অনুমান করা যায়। হাতটা ফুলে উঠেছে বেঢপ।
“কেন লুকালি মা? বাবা কি এতই পর”?
ভুতুকে খাওয়াতে গিয়েই ব্যাপারটা ঘটে। সম্ভবতঃ অকৃতজ্ঞ পোষা জন্তটা খুকুর হাতে ধরে থাকা মাংসের টুকরোটা দ্রুত লাফিয়ে নিতে গিয়ে একটু জোরেই দাঁত বসিয়েছিল। কচি হাতটা পড়ে যায় হায়েনার খপ্পরে। খুকুর ভয় ছিল ভূতুকে বাবা হয়ত মেরে বাড়ির বাইরে বের করে দিবে। ডাক্তার জিজ্ঞেস করেছিল, কবে কামড়িয়েছে? তারিখটা শোনার পর প্রায় অবিশ্বাস্য চোখে ডাক্তার তার দিকে তাকিয়েছিল, সে চোখে ছিল অবিশ্বাস আর তীব্র ঘৃণা।
তিনি দ্রুত চোখ নামিয়ে নিয়ে ছিলেন। কি জবাব দেবেন এই অবহেলার। তার মনে পড়ে যায় সেদিন অনেক রাতে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। এসে জেনেছিলেন খুকু অনেক আগেই খেয়ে শুয়ে পড়েছে। পরদিন খুব ভোরে তিনি বেরিয়ে গিয়ে ছিলেন, এরপর তিনদিন তাকে বাইরে একটা কাজের জন্য চলে যেতে হয়ে ছিল। বাড়ি ঝির কাছে খুকুকে একা রেখে তিনি চলে গিয়ে ছিলেন।
“কেন লুকালি মা? আমি কি কখনো তোকে বকেছি যে তুই ভয় পেলি’? কান্নার তোড়ে তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে ।
লেখাকে নিয়ে বিয়ের পর প্রথমবার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা তার মনে পড়ে। কী সুন্দর ছিল সেই সব দিন। খুকুর তখন চার বছর বয়স। গ্রামের বাড়ির ছোট পুকুরটার সিঁড়ির সামান্য জলের ভেতর নেমে খুকু আর উঠতে চায় না। লেখা রাগ করে, “খুকু উঠে আয়, মা।” বাবার দিকে কাতর চোখে তাকায় মেয়ে। সে বলে “থাক না একটু” । “শেষে জ্বর হলে তুমি সামলাবে”? লেখা রেগে উঠে আরো। খুকু আবদার জানায়, ‘আর একটু থাকি না, মা মনি? সেই খুকু স্যালাইনের জল দেখে কী চিৎকার!
এক নীরব মৃত্যুর দিকে তিনি নিজেই মেয়েকে ঠেলে দিচ্ছিলেন। নিঃসঙ্গতার আরও ধারালো দাঁতের নিচে মাহীন মেয়েটা এমনিতেই ধীরে মরে যাচ্ছিল। তিনি ফিরে তাকাননি, ফিরে তাকাবার অবসর পাননি। লেখার কাছে পাঠিয়ে দিলে এমন হতো না, কিন্তু লেখার কথা মনে হলেই তার সমস্ত সিদ্ধান্ত বেঁকে যেত।
একটি পুরনো প্রেম কি এতই বড়ো যে সন্তান কোলে আসার পরেও লেখা তা ভুলতে পারল না? কেন পারলে না লেখা? হয়ত তিনিই ভুলে যেতে দেননি। মানুষের হৃদয় তো শূন্য থাকে না, তিনি ভরে তুলতে পারতেন। লেখা নিশ্চয়ই এক ঝাপসা স্মৃতির ভেতর কাতর হয়ে থাকত না। কেন বিষয়টি তার ভেতরে এত আলোড়ন তুলল, এলোমেলো করে দিল সবকিছু, স্ত্রী তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালবাসে— এই রূঢ় সত্য তিনি মেনে নিতে পারেননি। তিনি নিজেও তো প্রথম জীবনে দু’একটি মেয়েকে ভালবেসেছিলেন। তবে কেন তিনি উদার হতে পারলেন না, ক্ষমা করতে পারলেন না স্ত্রীকে?
তার মনে পড়ে গুলি খাওয়ার পর ভূতু কিছুক্ষণ অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়েছিল। প্রথম নিশানা বলেই তার হাত সামান্য কেঁপে উঠেছিল, গুলিটা কুকুরটির মাথার একপাশ দিয়ে ঢুকে অন্যপাশের কানের লতির নিচ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছল। একটি নয়, দুটি নয়, ছয়টি গুলিতে অবিশ্বাসী সারমেয়টিকে ঝাঁঝড়া করে দিয়ে ছিলেন মনের সমস্ত আক্রোশে। তার ভেতরে যে কান্না জমে উঠেছিল শেষকৃত্যের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতার ভেতর যা তিনি বের হতে দেননি, তা হঠাৎই নেমে এল। শিশুর মত হাউমাউ করে দীর্ঘক্ষণ কাঁদলেন। একটু দূরে বাগানের ঘাসের ভেতর পড়ে থাকা খুকুর পোষা কুকরটির মৃতদেহের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার ভেতরে কী যেন ভর করে এসেছিল।
পরদিন রাতে তিনি পুনর্বার অস্থির হয়ে উঠেন। চেম্বারে দুটি গুলি ভরে নিয়ে ব্যারেলটা হাতে ঝুলিয়ে সন্তর্পণে বেরিয়ে আসেন ঘর ছেড়ে। মফস্বল শহরটি ঘুমিয়ে পড়েছে ঘণ্টাখানিক আগেই, বাইরে নিকষকালো অন্ধকার। তিনি সোজা উত্তরের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। এলাকাটি এ জায়গা থেকে বিরাণ হতে শুরু করেছে। বন্দুকটা সোজা করে ধরে হাটতে থাকেন, যেন তার ভীষণ জরুরী কোন কাজ রয়েছে সমুখে। হঠাৎ একটা শব্দ শুনে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি এবং, দ্রুত একটা গাছের আড়ালে অন্তর্হিত হন। দু’জন রাতের পাহারাদার হেঁটে আসছে তার দিকেই। গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে দরদর করে ঘামতে থাকেন যদি ওরা আবিস্কার করে ফেলে, কী জবাব দিবেন এই সশস্ত্র নৈশ অভিযানের? সে রাতেও শিকার এসে পড়েছিল নিজ মৃত্যুর রেখা ধরে ধরে। গৃহের ভেতর আদরে পালিত এক স্বজাতির মুহূর্ত ভুলের মাশুল দিতে হলো রাস্তার অনাত্মীয় আর এক শ্বাপদকে। তার মত নিরীহ লোকটি কী করে হয়ে উঠলেন এক নৃশংস কুকুর-শিকারী, সেও এক বিস্ময়!
তবে তার এই হত্যালীলা আর গোপন থাকে না। প্রতিদিন একটা করে নিহত কুকুরের দুর্গন্ধে ভরে উঠছিল মফস্বল শহরটির বাতাস। প্রতি সকালেই শহরবাসী কুকুরের লাশ আবিস্কার করছিল। কুকুর বলেই হয়তো প্রথমটায় কেউ খেয়াল করেনি, মিউনিসিপালিটির লোকজন দুএকদিন গাফিলতি দেখালে পশুর মৃতগলা দুর্গন্ধে শহরবাসীর নাভীশ্বাস উঠল। তারা অবাক হলো যখন দেখল কুকুরগুলোর স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেনি বা রাস্তায় গাড়ি চাপা পড়ে সাঙ্গ ঘটেনি ভবলীলার, তাদের হত্যা করা হয়েছে। কোন কোন মধ্যরাতে গুলির আচমকা আওয়াজের কথা তখন স্মরণ হয় অনেকের। সন্ত্রাস প্রকম্পিত সময়ে যে শব্দ গাড়ির হর্ণের মত নিরীহ সহজ সে শব্দকে তারা এতদিন তেমন আমল দেয়নি। কুকুরগুলোর নিহত হবার অভাবনীয় মিল দেখে ঐ শব্দ উৎসের একটা যোগসূত্র যেন তারা পেয়ে যায়। তারা বুঝতে পারেন কেউ একজন পরিকল্পিতভাবে খুন করছে এই নিরীহ প্রাণীদের। অন্যরকম এক ভয়ও তাদের ঘিরে ধরে। তিনি কাউকে বলেননি মধ্যরাত জুড়ে তার এই অস্বাভাবিক অভিযানের গল্প। কেবল একদিন তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু মাহফুজকে না বলে থাকতে পারেন নি। সবটা শুনে মাহফুজ স্তব্ধ, হতবাক। সে বলেছিল,
“তুই কি পাগল হয়ে গেলি? পৃথিবী জুড়ে কত কুকুর তুই জানিস? কটাকে মারতে পারবি তুই?”
তিনি নিজেও টের পাচ্ছিলেন এই উম্মাদনার কোন অর্থ হয় না, এর কোন শেষও নেই। শহরবাসীর কান আর চোখ ধীরে ধীরে আরো বেশি সতর্ক হচ্ছে সেটাও জানেন। তবুও রাত গভীর হলে বাইরে না বেরিয়ে পারেন না। সেই রাতে আর কোন সারমেয়ের ছায়া পর্যন্ত চোখে পড়ে না। রাতের আয়ু ফুরিয়ে আসছে তিনি টের পান। মধ্যরাতের হাপর ছেড়ে বেরিয়ে আসা শীতল হাওয়ার মত্ততার ভেতরও তিনি দরদর করে ঘামতে থাকেন। খুন ছাড়া ফিরে গেলে ঘুমাতে পারবেন না, আর ঘুমাতে না পারলে আগামী দিনটি লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে, তার মাথার দু’পাশের শিরাটা দপ্দপ্ করে লাফাতে থাকে।
তবে কি কুকুরজগতে তার এই নির্বিচার হত্যালীলা প্রচার হয়ে গেছে? তার কয়েক মাইলের ভেতর থেকে পালিয়ে গেছে সবকটি সারমেয়, অথচ পৃথিবীটা কুকুরে ভরে গেছে বলেই তিনি জানতেন। ফুটপাতে, লঞ্চঘাটে, পার্কে, বাড়ির দাওয়ায় কোথায় নেই এই চারপেয়ে কাঙালগুলো? অথচ এই রাতে ফিকে জ্যোৎস্নার ভেতর চারপাশে চোখের সন্ধানী আলো ফেলতে ফেলতে তিনি পেরিয়ে এসেছেন অন্তত ৩/৪ মাইল, একটা কুকুর তবু চোখে পড়েনি। আচ্ছন্ন অবস্থায় হাঁটতে হাঁটতে মরা জ্যোৎস্নায় তার হঠাৎই মনে হলো একটা কুকুরের দেখা তিনি পেয়েছেন। অর্থের কাঙাল একটা কুকুর । হৃদয়ের পাশে যাদের ঘরবাড়ি কুকুরটি তাদের দিকে ফিরে তাকাবার অবসর পায়নি, সে উঠে যেতে চেয়েছে আরও উপরে, আরও প্রতিপত্তি, আরও উচ্চাসন, আরও ক্ষমতার দিকে ।
ব্যারেলটা ঘুরিয়ে আনেন আতঙ্কে কাঁপা পশুটির দিকে। রাত্রির নিঃস্তব্ধতা চিরে একটা গর্জনরত সীসার টুকরো দানবীয় শব্দে বেরিয়ে যায়।
ভোর না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় দেহ উল্টে পড়ে রইল আরও একটা মৃতদেহ । হতে পারে যে কোন প্রাণীর!
কামরুল হাসান
জন্ম ২২ ডিসেম্বর, ১৯৬১, শরীয়তপুরে। তিনি মূলত কবি। অনুবাদক, প্রাবন্ধিক ও ভ্রমণ গদ্যকার হিসেবেও খ্যাত। আছে নানা দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
ভারতের বিশ্বখ্যাত খড়গপুর আইআইটি থেকে এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ সমাপ্ত করেন। এছাড়াও স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোর্ড ও এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কামরুল হাসান শিক্ষকতা করছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে। কামরুল হাসান দু’হাতে লেখেন। এপর্যন্ত ১৪ টি কাব্যগ্রন্থ, ১ টি ছোটগল্প, ১টি প্রবন্ধ, ৪টি ভ্রমণ গ্রন্থ, ২ টি অনুবাদ কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া সমীর রায় চৌধুরী ও তুষার গায়েনের সাথে পোস্টমর্ডান বাংলা পোয়েট্রি ২০০৩ সম্পাদনা করেছেন।
অজস্র ধন্যবাদ, সাহিত্য ক্যাফের সম্পাদকমণ্ডলী।
পড়বো
ওয়েবজিনে পাঠক মন্তব্য সাহারা মরুভূমির মতো।
অনেক সুন্দর একটি পদ্য।
অনেক সুন্দর একটি ছোটগল্প।