চট জলদি সেরে নিই অবসর জীবন
শব্দবন্দি বাড়ি
প্রতিদিন মন থেকে মন ছুঁয়ে দেখি
ঊষরভূমিতে ঈশ্বর ঘুমোয় ।।
রামচন্দ্ররা এখনো বনবাসে যায়
ত্র্যহকাল পোড়ে সংস্কারে
বদ্ধভূমিতে হনন যজ্ঞ নদী ও জ্যামিতিক শরীর
কাঠগড়ায় সূর্য দুপুর ।।
তত্ত্ব দিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করাই এখন ইতিহাস
জাহ্নবী চেতনায় বিস্ফারিত জলসিঁড়ি
শাদা চুলে হলুদ বিকেল
জরায়ু বিপন্না জন্মভূমিতে জন্ম বিভেদের ধানক্ষেত ।।
বিস্ময়
হে অরণ্য শাখা বিস্তার করো কবুতরের মতো
মেঘের জমিন থেকে নেমে আসুক
ডানা মেলা রাত
প্রতিদিন মায়াময় হয়ে যাচ্ছে আমাদের সংসার
চিতল হরিণের চোখে এখনো লেগে আছে
বুক ভরা স্বপ্ন
ঘনীভূত দাবানলে নদী ডোবার আশঙ্কা
রাতের ছায়ায় নৌকোবাড়ি কাঁপছে
কাঁপছে টেবিল ঘড়ি
ভ্রূণ উৎসব
পৃথিবী ভরে উঠেছে গহীন উষ্ণতায়
পর্দা ওড়ে। বৃষ্টি
ভেসে যাচ্ছে শব
আমরা একপায়ে দাঁড়িয়ে আছি নিকষ অন্ধকারে
বিস্মিত ঈশ্বরের চোখ
বিস্মিত ঈশ্বর
আদর
তোমার জন্যে নখের গোলাপে ছিনিয়ে আনি
সূর্য সকাল
পাতার চাদরে ঢেকে রাখি
আমাদের যাতায়াত
বন্দি জীবন ।।
আমরাও যেতে চাই শহর ছেড়ে দূরে
হাওয়ার কাঁচঘরে রেখে দিই
সাজানো স্বপ্ন
আমাদের বসত বাটি
নির্মেঘ আকাশ ।।
খেলাঘরে দুজনে এখনো পুতুল খেলি
আমরা প্রসব করি পুতুল
ভাবনা
আদর অনাদর
ঘাসের মতো বৃষ্টি ।।
আমাদের আদরের লালিত্য ছুঁয়ে যায়
আলপনার মেঘ
কবিতা বাড়ি
কিছু লুকানো জমিন
এক টুকরো উপহার জলনূপুর ।।
সময়
আলো থেকে ছায়ারা খসে পড়ছে
পাতার মতো
জীবনও খসে পড়ে সময়ের পাতা থেকে
খসে পড়ে স্মৃতি কথকতা
নিখাদ বন্ধন
এসো পাতাগুলো কুড়োই
পাতায় জুড়ে দেবো আমাদের দুহাতের সংসার
সময় হয়ে এসেছে
হামিদুল ইসলাম
জন্ম ৫ মার্চ ১৯৫৫।
শিক্ষা: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ও ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর। বিভিন্ন পত্র পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা:সাতটি একক কাব্যগ্রন্থ ও ত্রিশটি যৌথ কাব্য সংকলন।