মোশতাক আহমদ
ভেবেছিলাম এ এক রোমাঞ্চের চড়ুইভাতি, ছেলেখেলা
উড়িয়ে দেয়ার মুড়ি-মুড়কি, তেজপাতা
আদতে শেকড়িত, এইবারে বদলে নিলাম ডানা
ভাজা ভাজা করলাম পর্বতমালা, সিন্ধু
কলংকের খোঁজে পাড়ি দিলাম চাঁদে
ভিজিয়েছে সে আমাকে আহিতাগ্নি-জোছনায়
সোমরস-হলাহল আনে নি মত্ততা
দিয়েছে পরিয়ে ধীবর-মগ্নতার মুকুট
বৈরী যানজট কালো ধোঁয়া মানুষের ভিড়ে
মনখালি সৈকতের হাওয়া লেগে থাকে নাকে
শুদ্ধতার গান ওই স্তনবতী মেঘেদের স্নানে
ঝিরিজল, ঝরনার চুলে মুখ ডুবিয়ে
নষ্ট হতে এসে আমি পবিত্রতার গ্লানি নিয়ে ফিরছি
০৬. ০৯. ২০১১
অন্তর্জলি আড্ডা
বন্ধুরা মাতি অন্তর্জলি আড্ডায়
বেরসিক সকালবেলার নীলনকশা
মাঝরাতে ভেঙ্গে দেয় কথার তৈজস
তার আগে মুঠোয় পুরেছি বিপুলা বৈভব
সময়-সমুদ্র ফিরিয়ে দিয়েছিলো এক রাতে গোটা পৃথিবীর
কতো মুখ, কতো শিরোনাম, স্মৃতি ও আগুন’
দিয়েছিলো এক রাত্রি দিতে পারে যতো’।
নয় কোনো তুঘলোকি কাণ্ড
তারুণ্যের রাজধানী এসেছিলো নেমে জোয়ারের জলে
কৌতূহল
আমার কতোটা জেনেছো সমুদ্রের জল?
আমাকে জেনেছে এই বালিয়াড়ি নামের শৌখিন মরু
জেনেছে ঝাউবন আর নারকেল-বান্ধব পরাগায়নের হাওয়া
জেনেছে আমাকে রাতের সমুদ্র শহরের টমটমওয়ালা,
নাগরিক, কবি-বংশের সন্তানেরা
আমাকে পেয়েছে উপকূল-প্লাবী গরিব-গুরবো নারী
যাদের মুখ ফুটবেই আগামী ভোরবেলায়
আজ আমি চলে যাচ্ছি দু’একবার হাঁটুজলে নেমে
আমার কতটা জেনেছো সমুদ্রের জল!