শামীম আজাদ
নদী ও নক্ষত্র পেঁচিয়ে
পাথর কাঠিতে উন্মাদের মতো উল বুনে চলেছি
নখ থেকে নকশা উঠে আসছে নতুন নতুন
স্তবকে স্তবকে পড়ে যাচ্ছে শেয়ারবাজার, মনপোড়া নদী,
টিপাইমুখ, শৈশবের ফেনী ও ফণিকাকা,
জয়দা জামালপুর, পাড়ভাঙা মনু নদীর মাটি ও সজিনার ঘ্রাণ।
উগল মাছের মতো ঘাই মেরে উঠছে ফ্যাশন হাউস,
মেকাপ ও মসজিদ, হাই রাইজ এপার্টমেন্ট সহ
বাতিলযোগ্য বর্জ্যময় ঢাকা।
আমি ঘর তুলছি তুলাদণ্ডে মেপে
আমি ঘর ফেলছি ফুটো আর ফাঙ্গাস দেখে
নীট এ্যান্ড পার্ল… নীট এ্যান্ড পার্ল…
উলের গোলার সাথে গড়িয়ে যাচ্ছে
বেড়িবাঁধ থেকে জলের মঞ্চে লাফিয়ে পড়া
নগ্ন কালো শিশু কিলবিল
আমার আঙুলের আহম্মক টানে পড়ে যাচ্ছে এ্যাসিড দগ্ধ নারীরা
আর উঠে আসছে বিদ্যুতসংকট, অসহ্য সাংসদ,
জালিম যুদ্ধাপরাধী, ক্ষয়িষ্ণু বন ও বন্যা।
বাংলাদেশের নদী ও নক্ষত্রের সঙ্গে কিছুতেই ঘর তুলছে না যারা
তারাই হয়ে যাচ্ছে জামা, দস্তানা গলায় জড়ানোর জন্য ইতিহাস।
অথচ তারাতো কখনোই ছিলো না কোনো অগ্নিগোলক।
“উলের গোলার সাথে গড়িয়ে যাচ্ছে
বেড়িবাঁধ থেকে জলের মঞ্চে লাফিয়ে পড়া
নগ্ন কালো শিশু কিলবিল
আমার আঙুলের আহম্মক টানে পড়ে যাচ্ছে এ্যাসিড দগ্ধ নারীরা
আর উঠে আসছে বিদ্যুতসংকট, অসহ্য সাংসদ,
জালিম যুদ্ধাপরাধী, ক্ষয়িষ্ণু বন ও বন্যা।
বাংলাদেশের নদী ও নক্ষত্রের সঙ্গে কিছুতেই ঘর তুলছে না যারা
তারাই হয়ে যাচ্ছে জামা, দস্তানা গলায় জড়ানোর জন্য ইতিহাস।
অথচ তারাতো কখনোই ছিলো না কোনো অগ্নিগোলক।”
– চমৎকার কাব্যময়তা।
thank u for reading and putting extracts which says so much about the situation in Bangladesh.