বালিকারা ফিরবেনা এখানে
বালিকারা
ফিরেনি এখানে
ধোঁয়া-গন্ধে আচ্ছন্ন তারা আর ফিরবেনা কখনো।
ধোঁয়ার
আড়ালে আগুন ক্রমশ লেলিহান শিখাসহ বলকে উঠছে দেখো;
তারও আগে বালিকারা দেখেছে
চাঁদ ডুবে গেছে
আ্যশশ্যাওড়া-ঢালা জলে।
বালিকারা দেখেছে নীল আতংকের রূপ- অন্ধ
কারাবাস।
হাইমেন
ছুঁয়েছে বল্লম– অনিচ্ছুক যৌনতার ত্রাস।
বালিকারা
দৌড়চ্ছে খুব–উপান্তে করুণ বিভায়
উদ্দীপনাহীন ঢেকে গেছে জীবনের প্রতিটি
ভঙ্গিমা।
ঠোঁটের উপরে আঙ্গুল-কথা বলা বারণ এবার
সবদিক আঁটা- অন্ধ হাতে
খিল
বদলে গেছে রাতারাতি বালিকার,মানুষের সমস্ত নিখিল।
বালিকারা
ফিরেনি এখানে
স্বেচ্ছাচারক্লিন্ন হওয়া এই তটে ফিরবেনা কখনো।
এইসব মানুষেরা
তুমি কি জানো একটি অলিখিত দেয়াল তুলে দিয়েছ
চারপাশে?
তুমি
যতই উল্লসিত হও অনাবৃত হচ্ছে আগুন
ঝুলে পড়ছে নির্লিপ্ততা- খুব খরতর হয়ে উঠছে
নীরব ভর্ৎসনা
অচিরেই যা হতে পারে ধারালো ছুরির চেয়েও তীক্ষ্ন।
এইসব
মানুষেরা উদ্ভিদের মতো
সহনশীল, শান্ত আর আর্দ্র
ওরা পারতপক্ষে গার্হস্থ্য আর
লোকালয়ের বাইরে যেতে চায় না
নির্ভার ভঙ্গিতে চায়ের টেবিলে সৌরভ টেনে
আনে।
এইসব
মানুষেরা উদ্ভিদ স্বভাব থেকে বেরিয়ে এলে
যে প্রচণ্ড ঝড় সমুদ্রের গর্জনের মতো
মুখর হয়ে উঠবে
কোনো বাচালতা দিয়েই তাকে সামাল দেয়া যাবে না।
প্রতিভাস
আমি
ওয়াচ টাওয়ারের উপরে দাঁড়িয়ে দেখি তুমি নেই
অথচ আমি জানি ফ্ল্যাশব্যাকে
বিস্ময় ও উদ্ভাস
মৌনতার সৌন্দর্য, প্রতিভাস
তুমি প্রচ্ছন্ন দাঁড়িয়ে আছ
আমার ইজেলে।
চোখের আকাশ ছুঁয়ে যে ভাষা হৃদয়ের অতল
ছুঁয়েছে
তাকে তুমি স্পর্শ করবার ভীরুশ্বাসে
বিলয় জ্যোস্নায় গেঁথে দিচ্ছ
অগ্নিগর্ভ প্রস্তুতির দিন।
ভালোবাসা ছুঁয়ে নেমে আসছে জ্বলতে থাকা
ইহকাল
শতাব্দির রাশি রাশি দু্ঃখ
রক্ত দিয়ে ফোটানো গোলাপ।
এইসব
মানুষেরা উদ্ভিদের মতো
সহনশীল, শান্ত আর আর্দ্র
ওরা পারতপক্ষে গার্হস্থ্য আর
লোকালয়ের বাইরে যেতে চায় না
নির্ভার ভঙ্গিতে চায়ের টেবিলে সৌরভ টেনে
আনে।
chomotkar !
চোখের আকাশ ছুঁয়ে যে ভাষা হৃদয়ের অতল
ছুঁয়েছে
তাকে তুমি স্পর্শ করবার ভীরুশ্বাসে
বিলয় জ্যোস্নায় গেঁথে দিচ্ছ
অগ্নিগর্ভ প্রস্তুতির দিন।
ভালো লাগলো খুব।