নীল নদের তীরে
আয় দেখে যা না কোবাল্ট ব্লু-এর উচ্ছ্বাস
কোজাগরী এই রাত্রে,
একে অপরের দায় নিয়ে এক নিঃশ্বাস
বুভোয়াঁ এবং সার্ত্রে।
কোমলে রেখাবে মিশেছে যেখানে চুম্বন
অস্তিবাদের শর্তে,
নাকি বৃথা গেল যুক্তির এ-আলিঙ্গন
পশ্চিম খোড়া গর্তে।
পিঙ্গল ঢেউয়ে কখনো সাদার সংস্কার
কায়রো লভিল টংকা,
স্ফিংসের মাথা নু’য়ে আসে, ক্লিয়োপেত্রার
জাগল নতুন শংকা।
ওই কী মৃত্যু নীল উপচানো মিথ্যার
পিরামিড ঘেরা প্রস্তর?
চাঁদ গুলে গিয়ে পেল না তবুয়ো নিস্তার,
সূর্যও হল অবশেষে চির-অস্ত!
একই বৃন্তে
যে-গোপনে হয়েছি প্রকাশ
প্রকাশিয়া হয়েছি গোপন,
একই বৃন্তে দু’জনার বাস
ভাই আমি আর আমার বোন।
যে-ফাতিহা ফুঁসিয়া উঠেছে,
যে-ফাতিহা শিরায় শিরায়
নিরবধিকাল বহিতেছে
মরনিয়া মধুর ব্রীড়ায়,
যেই কাদা মাখিয়াছি দেহে,
যে-দেহের কাদায় সুঠাম
জেগে আছে তোমার ওই নাম
প্রেমময় আর সস্নেহে।
যে-বরষা কদমে মাতাল,
যে-কদমে জেগে ওঠে ভাষা,
সে-ভাষায় অধীর উড়াল,
আহ্লাদ এবং তামাসা!
যে-কবরে আমরা ঘুমাই
`যে-ঘুমের স্বপ্ন সবুজ
নিয়ে আসে স্বাদের মিঠাই
সে-মিঠাইয়ে আমাদের বুঝ
যে-পথের আমরা পথিক,
পায়ে যত ভ্রমনের দাগ,
তত মোরা হয়েছি রসিক
ছড়িয়েছি প্রণয় পরাগ।
যে-জবানে আমরা জীয়ল
` অমৃতের তালাশে আকুল,
গায়ে মাখি তা-ই অনুপল
` রহমের স্বভাবে অতুল।
যে-লালনে আমাদের লাল,
` যে-লালের আমরা নিশান
বুকে বীজমন্ত্রের ঢাল,
সেই লালে আমরা বিধান।
যে-গোপনে হয়েছি প্রকাশ,
যে-প্রকাশে হয়েছি গোপন,
নিত্য সেথা প্রণয়ের চাষ
একই বৃন্তে দুই ভাইবোন
সদা জেগে দিতেছি পাহারা
লীলা কীর্তনে হ’য়ে হারা।।