পাপড়ি রহমান
সে এক বাঁশিওয়ালা–‘চান্দে’
মানুষের গায়ের বর্ণ কতোটা কালো হতে পারে?
আষাঢ়ের মেঘের মতো কালো?
কয়লার মতো কালো?
ভ্রমরের পাখনার মতো কালো?
অথবা মাথার চুলের মতো কালো?
কিংবা চোখের মনির মতো কালো?
আমি তাকে ভ্রমরের পাখনার মতোই কালো বলবো।
সে যতই কালো হোক, তার নাম কিন্তু ‘চান্দে!’
চান্দু নয়, চান্দ নয়, চাঁদ নয়, চান্নু নয়, চাঁদনীও নয়–তার নাম ‘চান্দে’!
ভ্রমর কালো এক মানুষের নাম চান্দে! ফলে খুব বিস্ময় নিয়ে তাকে আমি দেখতাম এবং দেখতাম। আর মনে মনে ভাবতাম কে রেখেছে গো তার এমন নাম? ওই যে বললাম আমি তখন সবে দুই একটা মুখ ভালো করে চিনতে শিখছি…।
আমাদের ভেতর বাড়িতে একটা পুকুর আছে, অন্য শরীকদের সাথে এজমালি। পুকুরের এক পারে দুই সওদাগরের বাড়ি। অন্য পারে ছোট সওদাগরের বাড়ি। এই ছোট সওদাগর আমার দাদাজানের আপন চাচাতো ভাই। ছোট সওদাগরের বাড়ির সামনে বিস্তৃত ক্ষেত– ভ্রমরের পাখনার মতো কালো চান্দে সেখানে দিবারাত্র কাজ করে। বর্ষার মরশুমে পাট নিড়ানী দিতে দিতে সুর করে গান ধরে–
পাঁচশ ট্যাকা খরচ কইর্যা
ভাইরে করাইলাম বিয়া
সেই বউ মইরা গেল
পাটের বিছন খাইয়া
ও মমিন ভাই
মমিন ভাইরে
তোরা আর পাট বুনিছ না…।
চান্দের গানের গলা খাসা। খুব সুরেলা তার গলার স্বর।
শীতের মরশুম এলে সে ক্ষেতে বোনে মুসুরকলাই, খেসারীকলাই, বুটকলাই, মাসকলাই। কোনো কোনোবার গোলআলু কিংবা মটরশুঁটি। মটরশুঁটিকে আমরা বলি ‘ছেই’। এই ‘ছেই’ এর প্রতি আমাদের লোভ ছিল মারাত্নক!
ছোট সওদাগরের জমির বর্গাদার হলো চান্দে। বর্গাদারির সংগে সংগে সে শ্যেন দৃষ্টিতে ফসল পাহাড়াও দেয়। যাতে করে জমির তিল পরিমাণ শষ্যও এদিক-সেদিক না হতে পারে। ফলে চান্দের পাহাড়ার জ্বালায় আমরা ‘ছেই’ তুলতে পারতাম না। কেউ ক্ষেতে নামলেই চান্দে তেড়েমেড়ে আসতো। যদিও সে ছিল আমার ছোটদাদার জমির বর্গাদার।
‘ছেই’ কচি অবস্থায় কাঁচা খেতে দারুন সোয়াদ। সামান্য বাত্তি হলে লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে খেতেও দারুণ! চান্দেকে দেখতাম জমিতে দিবা-রাত্র পরিশ্রম করছে। দুইটা গরু আর লাঙল দিয়ে জমি চাষের উপযোগি করে তুলছে। লাঙল দেয়া শেষ হলে মাটি ঝুরঝুরা করে দিচ্ছে। ফের মই দিয়ে জমি সমান করে তা বীজ ফেলার জন্য তৈরি করে নিচ্ছে। তার কালো কুচকুচে শরীর ঘামের দানায় চকচক করতো। পেটানো গতর। একফোঁটা বাড়তি মেদ নেই তাতে। আর চান্দের হাসি ছিল মারাত্মক সুন্দর! সে যখন হাসতো, ভোরের কোনো সাদা শাপলা হঠাৎ যেন ফুটে উঠতো। তার ভ্রমর কালো গায়ের রঙের ভেতর সাদা দাঁতের দ্যুতি ছিল এমনই।
আমরা ‘ছেই’ তুলেছি কি তুলিনি-চান্দে কাস্তে হাতে হইচই করতে করতে দৌড়ে আসতো–‘এ্যাই এ্যাই পোলাপান ছেইরে পুষ্ট হইতে দেও। পুষ্ট হইলে পরে খাইও’
আমরা কোচড়ে তুলে রাখা ছেই ঝপ করে ক্ষেতে ফেলে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আমাদের এত মন খারাপ হতো যে বলার নয়!
চান্দেকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম– কী জোয়ান মানুষ রে বাপ! সবুজ একরঙা লুঙ্গির উপর কষে ডোরাকাটা গামছা বাঁধা। আর সে গামছায় গুঁজে রাখা বাঁশের বাঁশি।
রাত নামলেই আমাদের বাড়ির অন্য দৃশ্য। সারা বাড়ি জুড়ে এত গাছলতা যে সন্ধ্যা নামতে না নামতেই ঘন থকথকে আন্ধার। এই আন্ধারেই তো জিন-ভূত সব রাতভর তা-থৈ তা-থৈ নৃত্য করে। এই ঘন তমসা ভেদ করেই ভেসে আসতো সুমিষ্ট বাঁশির সুর। সুর শুনেই দিদি বলতো–
‘ওই রে চান্দের বাঁশি’
সারাদিন অমন গাঁধার খাটুনি করার পর লোকটা কিভাবে বাঁশিতে তোলে ওই যাদুকরী সুর? এত মধুর, বিষন্ন আর আশ্চর্য সুন্দর সেই সুর! মনে হতো রাত বুঝি এখুনি লুটিয়ে পড়বে ভোরের পায়ের কাছে!
সেই শৈশবে চান্দের বাঁশির অপরূপ সুর শোনার পর থেকে, বাঁশিওয়ালাদের প্রতি আমি তুমুল টান অনুভব করি! আজও যখন এই নাগরিক জীবনের ফাঁক-ফোকর গলে ভেসে আসে বাঁশির সুর, কেউ বাজায় খুব বিষণ্ন ও প্রাচীন স্বরলিপি–আমি একেবারে কেঁপে উঠি। আমার মনে পড়ে যায় সেই চান্দের কথা। মনে পড়ে যায় তার কালো চকচকে শরীর ও দ্যুতিময় হাসি।
চান্দের বাঁশির সুর এত মায়াবী ছিল যে, আমাদের চোখ ভরে ঘুম নামতো। প্রচণ্ড আন্ধারে আমরা ভূতের ভয় ভুলে যেতাম অই সুরের জালে। চান্দে কি এখনো বেঁচে আছে? বেঁচে থাকলেও সে কি বাঁশি বাজায় আগের মতো?
আমি জানিনা। জীবনের নানান দায়িত্ব, কর্ম ও নানান রহস্যের মাঝে চান্দের কোনো খবর আমি রাখতে পারিনি…!
অরণ্যে রাধাকৃষ্ণ
আমাদের বাড়ির সবাই অতি ধার্মিক। ফলে কম-বেশি সবাই নামাজি। নামাজ ক্বাজা করে এমন মানুষ দুই/একজনের বেশি খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। আমার দাদাজান ও দিদির কোনো ওয়াক্তের নামাজ কামাই নাই! শবে-ই-বরাত থেকেই ঘটা করে শুরু হতো নামাজ-কোরান পড়া। রমজান মাসে কে কয়টা করে কোরান খতম করতে পারবে ছিল তারই প্রতিযোগিতা। অবশ্য দিদি নামাজি হলেও একটু ভিন্ন কিসিমের। মানে সে সামান্য উদাস ও বাউল মানুষ। দিদির বাপের বাড়ি দাঁতমাজর গ্রামে। বড় হয়ে জেনেছিলাম দাঁতমাজর গ্রামের নারীরা নাকি দুর্দান্ত রোমান্টিক হয়।
তা আমার দিদির কিসিম ভালো। বাউলও সে ভালো। ঘর-কন্নার কাজে দিদির তেমন মতি নাই! তার হেঁসেল সামলায় ছেলের বউরা। আর আমার দিদির বেলা গড়ায় সদ্য বোল থেকে বের হওয়া কড়া আমের হলদে হওয়া দেখে দেখে। কোন কাঁঠাল গাছের মুচি কালো হয়ে ঝরে যাচ্ছে–এইবার এই কাঁঠাল গাছ তো প্রায় নিস্ফলা থাকবে, মানে কাঁঠাল কম ধরবে। ফলে কাঁঠাল গাছের গোড়ায় কচুরিপানা এনে স্তুপ করে রাখো। ডালিম গাছের ফল কিভাবে ত্যানা দিয়ে বেঁধে পোকার হাত থেকে বাঁচানো যায়। এই মরশুমে আতাগাছে কয়টা আতা ধরেছে? নোনাফল গাছে পাখির উপদ্রব কেমন? নোনা কি দুই/একটা পাওয়া যাবে নাকি টগা (বুলবুলি পাখি) সব সাবাড় করে ফেলবে?
পুবের কোন গাছের সুপারীতে কমলা ছোঁপ দেখা গেছে? কোথায় শিমুল ফুল শুকিয়ে স্তুপ হয়ে আছে? শুকনা শিমুল ফুলে ভালো জ্বালানী হয়। কোন ঝোঁপে টুনটুনি পাখির বাসা? তাদের ছানা ফুটেছে কিনা? পেছন বাড়ির যে দুই-তিনটা গুঁইসাপ প্রায় পোষ-মানা-মানা ভাব-তারা এইবার ডিম দিয়েছে কয়টা? জাত সাপের ছলং (বদলানো ত্বকের খোসা) কোথায় ফেলেছে সাপ?–তাহলে তো সে আশে-পাশেই রয়েছে।
মিষ্টি কুমড়ার কোন ডগাটা জাংলায় তুলে দিতে হবে? পানি লাউয়ের গাছের গোড়ায় ভোর ভোর দিতে হবে ভাতের ঠাণ্ডা মাড়। ঢেঁড়শ গাছে এই বর্ষায় কি পরিমাণ ঢেঁড়শ ফলবে–এইসব রাজ্যির কাজেই তো দিন চলে যায় তার! ফলে সংসার ধম্ম করবে কখন?
দিদির পিছু পিছু আমরা দিবারাত্র ঘুরি। আমি অবশ্য সবার চাইতে একটু বেশি ঘুরি। দিদির এত রাজ্যির কাজ-কাম করা দেখে আমার খুব ভালো লাগে। আর না লেগে উপায় কি? দিদির সাথে ঘুরি বলেই না, আমাদের সব আম গাছের নাম আমি মুখস্থ বলতে পারি। কেবল আমিই তো জানি টিয়াটুটি আম গাছের আরেকটা নাম ঝুনকি! খুব ঝেঁপে আম আসে বলে দিদি একে ঝুনকি নামে ডাকে। দিদির শেখানো বিদ্যায় আমি জানি দলকচড়া গাছের আম পাকলে ভেতরে ছোট ছোট সুপারীর মতো গুঁটি বেঁধে থাকে!ডুমুর গাছে কি পরিমাণ ডুমুর যে এবার এসেছে! কোনটা খোকসার পাতা, কোনটা পিপল আর কোনটা গুলাল–সবতো আমি জানি দিদির পেটের বিদ্যা থেকেই।
পঁচা-কুইয়া-মাছ (এক্কেবারে পঁচা) গুলাল আর পিপলের পাতা দিয়ে রাঁধলে দারুণ সুস্বাদু লাগে। আর বেলেমাছ যে কি পরিমাণ বোকা! পুকুরের পাড়ে এসে বসে থাকে। ফলে খপ করেই তাকে ধরে ফেলা যায়। আটার গোলা দিয়ে বড়শি ফেললে চলা চলা পুটি মাছ টপাটপ ধরে ফেলা যায়। সরপুটিও এই আটা খেতে এসে বড়শির আংটায় আটকে যায়।
কাঁচামিঠার আম, কাঁচা অবস্থাতেই দারুণ মজার। শুধুমাত্র কব্বরখানার জাম্বুরার রঙ হয় ঘোলাটে সাদা। আমি তফাত করতে শিখেছি ঢেঁপা আর পাগলা শাকের। পাগলাশাক খেলে মানুষ পাগল হয়ে যায়। দিদির কাছ থেকেই আমি জেনেছি কচি শশার কেমন সোয়াদ? শশাটিকে হতে হবে ঠিক মধ্যমা আঙুলের সমান। আর পাছায় থাকবে মস্ত হলদেটে ফুল।
মানকচু, শোলাকচু, বাগকচু, নারকোলি কচু কোনটা চিনতেই বা আমার আর বাকি আছে? আমি সেই কবে থেকে চিনি সেঞ্চি, কলমি, বইত্যা শাকের কোনটা কেমন? জানি কুয়ার পাড়ে মেন্দি গাছ লাগাতে হয়-তাহলে গাছ তাজা হয়ে উঠবে দ্রুত। কারণ পানি হলো মেন্দি গাছের প্রাণ।
দিদির সাথে এমন করে গাছলতার সাথে সংসার করে আমিও আদাড়-বাদাড় ভালোবাসি। জল-জংলার গন্ধ আমাকে পাগল পাগল করে রাখে। আহ! সে কি বনজ ঘ্রাণ? যেন সবুজ ঢুকে পড়ে মগজের ভেতর।
দিদিইতো আমাকে বলে দিয়েছে কোথায় বোঁচা কুয়া? মানে পুরানা, প্রায় বুঁজে যাওয়া কুয়া। ভুল করে যেখান একবার পড়লে আর উঠতে হবেনা। সারাক্ষণ পুত-পুত-পুত করে কোন পাখি কেন এমন কেঁদে চলে? ওই যে এক মা খিদার জ্বালায় নিজের পুতকে দামের দঙ্গলে পুতে দিয়ে এসেছিল। সেই জন্যই সে সর্বদা পুতের জন্য কাঁদে।
দিদি আমার ঘোর নামাজি, কিন্তু স্বভাবে তার বাউলিয়ানাই অধিক। দিদির টকটকে ফর্সা মুখে কোঁকড়ানো চুলের ঝালর। আর সারাক্ষণ সে উদলা গায়ে পেঁচিয়ে রাখে মসৃণ কোনো সূতির শাড়ি!
দিবানিশি বন-জংলায় ঘুরে ঘুরেও নিজের নাম দস্তখত করতে পারে! বাঁকাকুকা করে লিখে ‘রা বে য়া খা তু ন’।
ড্যাবরা(বাঁহাতি) হাত দিয়ে কুটার আগায় জাল বেধে আম পেড়ে আনে। জামও পাড়ে একই কায়দায়। কাসুন্দি দিয়ে জাম ঝাঁকিয়ে দারুণ ভর্তা বানায়। ঝোঁপের ভেতর থেকে ফলসা গাছ খুঁজে খুঁজে ফলসা পেড়ে আনে। খূঁজে বের করে তিতিজামের গাছ। আর যখন সে ধর্মকথা শুনে কেঁদে জারেজার হয়। তার কান্নার বুকের কাপড় ভিজে যায়! হযরত মহম্মদ বললেই সে তাড়াতাড়ি সাঃ বলে। আজান শুনলে মাথায় লম্বা করে ঘোমটা টেনে দেয়। আজান শেষ হলে বিড়বিড়িয়ে আজানের দোয়া পড়ে।
তো একদিন দিদির সাথে জংগলে জংগলে ঘুরে, ঢেঁপাশাক তুলতে তুলতে আমার পায়ের তালুতে কি যেন শক্ত বাঁধে! আমি হাতে নিয়ে দেখি একজোড়া মানুষের মূর্তি। মূর্তি জোড়ার নিচের অংশ ভাঙা। একজন পুরুষ, অন্যজন নারী। পুরুষের হাতে বাঁশি ধরা। আমার হাত থেকে দিদি প্রায় ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। বলে
‘এইটা কি? কই পাইলি?’
আমি বলি–
‘এইতো জংগলে পাইছি’
দিদি মূর্তিকে ভালো করে দেখে টেখে বলে–
‘তোর পায়ে লাগছে?’
‘হ’
‘জলদি সেলাম দে, সেলাম দে।‘
‘কেন? কি হইছে?’
‘আরে এই্ডা হৈল হিন্দু গো ভগবান, আমাগো যেমুন আল্লা’
শুনে আমার কেমন ভয়ভয় লাগতে থাকে।
এ কেমন কথা? হিন্দু গো ভগবানের গায়ে আমার পাও লাগছে! কিন্তু আমিতো ইচ্ছা কইরা পাও দেই নাই।
আমি ডরে-ভয়ে ওই মূর্তিরে তিন-চারবার সালাম করি।
দিদি বেশ গম্ভীর হয়ে বলে–
‘এইটা দিয়া কিন্তু খেলন যাইব না, গুনা হইব’
‘আমি তো খেলি নাই’
‘ভাল কাম করছো সুনা, এইডা এহন আমার কাছে থাকুক’
শাড়ির আঁচল দিয়ে দিদি খুব ভালো করে মূর্তিটা মুছে পরিস্কার করে। তারপর এ গাছে সে গাছে উঁকি মেরে খোড়ল খুঁজতে থাকে। এবং সে তা পেয়েও যায়। কামরাঙা গাছের একটা খোড়লে জোড়াটাকে বসিয়ে দিদি বলে–
হরে রাম,হরে কৃঞ্চ…
আমরা অবাক হয়ে দিদির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি।
দিদি মূর্তির দিকে মুখ করে পিছিয়ে আসে। একবারও পেছনে ঘুরে হাঁটে না! দিদির দেখাদেখি আমরাও মূর্তিকে সালাম দিয়ে দিয়ে পিছিয়ে আসি এবং আমাদের মুখ ফেরানো থাকে মূর্তির দিকেই।
অনেক পথ এসে দিদি লম্বা করে শ্বাস নেয়। বলে–‘এরা হৈল রাধাকৃঞ্চ। ভগবান। ভগবানের অপমান করতে হয়না বুঝলা সোনার চানেরা?’
আমরা ‘বুঝছি’ বলে মাথা নাড়ি।
রাধাকৃঞ্চ যুগল সেই থেকে কামরাঙার খোড়লে আসন পায়। আমরা মনের ভুলেও খোড়লের আশে-পাশে যাইনা- যদি কোনো বেয়দবি হইয়া যায়? দিদি খুব নিম্ন স্বরে বলে–‘কারোর ধম্মেই বেয়াদবি করবা না। মনে রাইখো ধম্ম যার যাই হোক বেবাকতেই কিন্তুক মানুষ। তাই কাউরে ঘেন্না দেখাইও না।‘
দিদির সেই কথার পর থেকে তো মানুষের সাথেই আছি। আমি আর কোনো ধর্মের সাথে নাই। মানুষের ধর্ম তো একটাই-মানবধর্ম! এবং এই ছবকটা কিন্তু দিদিই আমাকে দিয়ে গেছেন!