ইয়াং ম্যান অ্যান্ড দা মারমেইড
হেমিংওয়ের ওল্ড ম্যানের মতো
৮৫তম দিন সৈকতে গিয়ে অবশেষে
মারমেইডের দ্যাখা মিললো
দেখতে দেখতে এ দু’চোখ কবেই বাই-ফোকাল
পড়তে, এমনকি চোখ বুঁজতেও কতো অভিযোজন!
সন্ধ্যার সৈকতে বৃষ্টি, ঝাউবনের মাথায়
আকাশের কালো শ্লেট
আজ নেই মান্নাদে’র সোনালি রঙ মাখা পাখিদের ওড়াউড়ি
আমিই যেনবা নিরাশ্রয় একলা পাখি, অন্তহীন বালিয়াড়ি দৌঁড়ে
চোখে মুখে বৃষ্টি, চশমায় বৃষ্টি নিয়ে
ছাতার নিচে বসতেই, বিনা চেষ্টায়
মারমেইড উঁকি দিলো
বাষ্পভেজা চশমার কাঁচ
ভুলে গেছি মুছতে, কিংবা মুছবোই না আর
মারমেইড হারিয়ে যেতে পারে
৭.৭.১২ – ২০.৭.১২
কক্সবাজার
নদীহীন শহরের নদী
মসলিনে মোড়া রঙিন রঙিন গল্পে
আলমারি জুড়ে ন্যাপথলিনগন্ধী ইতিহাস
নীল বালুচরী শাড়িতে স্বপ্নগ্রস্ত
হেঁটেছিলে একদিন নদীতীরে:
সে দান করে দিয়েছিল জীবনের সব নদী–
তোরঙ্গে রাখলে তুলে শাড়িখানা, নদীর বদলে;
পরের বর্ষায় জামদানি শাড়িগুলো নদী হয়ে গেল
নদীহীন শহরে
টাঙ্গাইল শাড়ির গায়ে নতুন বইপাড়ার স্মৃতি
বন্ধুর জ্বর দেখতে গেছিলে হলুদ তসরে
বৈশাখী সঙ্গীত শুনে বেড়ালো বাসন্তী সারাদিন;
–তালিকার শেষ নাই, দ্রৌপদীর অন্তহীন শাড়ির মিছিলে
কোন্ নির্বোধ আজও ফেলে যায় পাশার দান!
সেবার শীতের পাহাড়ে গেলে সবুজ পশমিনায়
ফিরে এসে মাল্টিকালার জর্জেট আর দখিনা কাতানের রাতে
আবীর-রঙা বেনারসী সন্ধ্যায় শত সামাজিকতা;
তোমার কবি তো চিরকাল ‘মূর্খ বড়ো, সামাজিক নয়’
প্রথম দেখার ঢাকাই শাড়ির রঙ ফিকে হয়ে আসে, কান্জিভরম
উঁকি দেয় প্রতিবার ‘হৃদয়ে প্রেমের শীর্ষে’
ধূমায়িত কফির ঘ্রাণ অঙ্গে মেখেছে গম্ভীর গাদোয়াল,
আর যে ছাইরঙ অধ্যাপিকা-মার্কা তাঁতে শেষ দেখা
তার গতি হোক পেছনের হ্যাঙারে;
কোথায় লুকোবে বলো লাল শিফনের নিষিদ্ধ গল্প!
নদীতীরগুলো নিয়ে
তাকে দিয়েছিলে ময়ূরকণ্ঠী শাড়ির বিশদ আকাশ:
ফুলগুলো আজ তারা
২৩-২৫/৫/১২