জহির হাসান
স্বপ্নের ভেতর কারা উড়িতেছি মনমরা যারা
কত শ বছর আগে।
জগডুমুরের আশা মেঘ চাই বৃষ্টি ভালোবাসা
পেকেছি আপন রাগে।।
পাগলের বর্ণমালা এফেক্ট করছে পাঠশালা
মেঘশিষ্য পাঠে।
এ অবচেতনে নারী সেই আমাদের দূর বাড়ি
শোব এক খাটে।।
নারী রিডিফাইন করি মেঘমাখা প্রাণাধিক জরি
সে তো ইল্যুশন।
ইতর মেঘেরা কোথা তেলাকুচা মার্কা ঠোঁট যেথা
করেছে আপন।।
স্কুল মাঠে মেঘ আসে আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে
কদমের ডালে।
বরষার ইশারায় দাড়িমুখা কদম তাকায়
স্কুলমেঘ পালে।।
মেঘের আবার অভিসার, যার নাই ঘর বা দুয়ার
তার প্রেম কী দর্কার।
রূপ অভিসারে ভাব পার, নয়নে ঝরিছে মুক্তা কার
বৃন্দাবনে যে সর্কার।।
লাখ লাখ যুগ হিয়ে হিয়া শুয়ে থাকে মেঘে মুখ দিয়া
মিছা এই মোগো কেলি।
হিয়ে বলে মুখ নাহি ভেজে হিয়া না পালাম হিয়ে কি যে
তবু হিয়া জুড়ল না গেলি।।
কে অব্যক্ত পরিজন মনে মনে হতেছ আপন
তুমি যেন মেঘ কায়া।
বুঝিতে পারি না কিছু যোগাযোগ হয় উঁচু-নিচু
ভাব ধরে কার ছায়া।।
শরীর শরীরে চায় কিবা বস্তু কি সান্ধ্যভাষায়
নিকটের ছহি স্বাদ।
ভাষা-কনডমকায় ভাব কেন ভাষাতে পালায়
শরীর হয়েছে কাত।
ওহে চাষাদের মেঘ তোমাদের সমূহ আবেগ
শরীরের মেটাফর।
শস্য হয়ে ধরা দাও ভাষার ভেতর তুমি যাও
শরীরই ভাষার ঘর।।
সারাদিন শুয়ে থাকি বয়ফ্রেন্ড স্নেহে কোলে রাখি
মেঘ মেঘ বলে ডাকে।
শ্রাবণ চলিয়া যায় আহ্লাদি-স্তন কান্দি জানায়
বৃষ্টি নামে ডাকে কাকে।।
ভিজেছি রিক্সায় যত তোমা বুকের ফর্সায় তত
কাহ্নু যেন কুঞ্জবনে।
মরিয়ম দাসি কয় ডাকি সজল মেঘেরে দিয়া ফাঁকি
কারে খোঁজ মন মনে ।।