নাজনীন খলিলের একগুচ্ছ কবিতা
চাঁদ ডুবে গেলে আমাদের একটা ছায়াঘর ছিল- খুব রোদ্দুরের দিনে চুপচাপ পাতাঝরার শব্দ শোনার জন্য তখন আবছা-ম্লান নীহারকণার মতো স্বপ্নেরা উড়ে উড়ে যেতো চারপাশে। আমি রাতকে বলেছি আরও কিছুটা সময় …
চাঁদ ডুবে গেলে আমাদের একটা ছায়াঘর ছিল- খুব রোদ্দুরের দিনে চুপচাপ পাতাঝরার শব্দ শোনার জন্য তখন আবছা-ম্লান নীহারকণার মতো স্বপ্নেরা উড়ে উড়ে যেতো চারপাশে। আমি রাতকে বলেছি আরও কিছুটা সময় …
আগুনের পাখি; ফিনিক্স ভস্মস্তূপ থেকে আবার এসেছে উঠে, অবিনশ্বর আগুনের পাখি; ফিনিক্স । প্রতিবন্ধী এক ঈশ্বরকে যূপকাষ্ঠে বলি দেবার পরে যারা সন্ন্যাসীর বাঘছাল দিয়ে বানিয়ে নিয়েছিল ট্রাম্পেট আর সেই প্রচণ্ড …
মিউট একটা ঝাপসা রাতের ভেতর জুড়ে বসে আছে আরেকটা কুয়াশা মোড়া রাত। মর্মরের ঘুঙুর বাজার অপেক্ষায় খোলা ছিল একটি জানালা। তখন। যখন আমরা শিখে নিয়েছিলাম অন্ধকারের স্যাঁতসেঁতে আলোয়ানের ভেতর থেকে …
অপরিচিত আবার দুইজন মুখোমুখি; তাদের মাঝখানে অপরিচয়ের প্রগাঢ় ছায়া ঝালরের মতো দুলে থাকে। আকস্মিক স্মৃতির ঝাপটায় তৈরি দৃশ্যপট সে কেবল একটা দেজাভ্যু। শুধু একটা কথাই সত্যি বলে মনে হয়; স্পর্শের …
পিঞ্জরের পাখি পাখি পেয়েছিল একটি পরিপাটি খাঁচা; উপহার। খাঁজকাটা শিকলসমেত। পরিমিত দানাপানি। কী করে এড়াবে দুরন্ত আকাশের দুর্বার আহ্বান? উড্ডয়নের প্রবলনেশায় পালক খসে গেল; শিকল পেরোনো গেলনা। মানুষ ভালবাসে পাখি …
যাত্রা কেন এমন ঝাপসা হয়ে আসে চোখ? হয়তো চশমার কাঁচে কিছু জমেছে কুয়াশা। ঠাসবুনটে র্যাকস্যাক ভরা জিনিসপত্র। অসাবধানে কোথাও কিছু কি পড়ে রইলো? যাত্রা তো নিশ্চিত ছিল। প্রস্তুতিও। ক্রস …
সব যাত্রা পূর্বনির্ধারিত নয় রাত নেমে এলে গাছেরাও হিংস্র হয়ে উঠে। পাতাগুলো ছড়াতে থাকে বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড। আমার যে কী হয়! রাত নামলেই ইচ্ছে করে কোন ঝোপালো গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে …
ইনকগনিটো সবাই সতর্ক খেলছে। চেস, ট্র্যাাম্পকার্ড, হাউজির খেলা। ছায়ার অন্তর্গত ভিন্ন ছায়াবাজির খেল; ইন্দ্রজাল আর ছদ্মবেশের চৌকাঠে পা আটকে যাচ্ছে বারবার। হয়তো— তোমার পিংক বাথটাবের কানাভর্তি স্বচ্ছতার আড়ালে আছে কোন …
মেয়েটা মেয়েটা আসতো মাঝেমধ্যে ছেলেটার খোঁজে। –এমন বললো পুরনো বাড়িওয়ালা। আসতো চোখভরা এক আকাশ মেঘ সাথে করে আচমকা বৃষ্টিতে চৌকাঠ ভিজে যেতো। সেই প্রবল বর্ষণের ভেতরে বিষণ্ণ পা টলোমলো করতে …