তন্দ্রালোকের অন্তকথা
সূর্য উঠে…
সূর্য ডোবে…আবার
সূর্য উঠে…
এই গ্রামে আমাদের বাড়ি
সকালের সাথে দেখা হয়
বিকালের সাথে খেলি
সন্ধ্যা অধিক সুন্দরী
বেশিক্ষণ থাকে না…
রাত মায়ের মতো, বউয়ের মতো
বিছানা পেতে ঘুমাতে দেয়।
স্বপ্নরা সারারাত আড্ডা বসায়
কোনদিন গানের জলসা, পাঠচক্র…
বছর আসে, মাস যায়
দিন ডিগবাজি খায়!
আমরা একান্নবর্তী
…ঐ আকাশ…
আকাশের আরো আকাশে
যারা গ্রহ নক্ষত্র-সবাই
আমরা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
দিন যায়… দিন আসে
সূর্য উঠে…
সূর্য ডোবে…আবার
সূর্য উঠে…
পবিত্র প্রজাপতি
প্রজাপতি ফ্যাশন সচেতন
সবসময় কেতাদুরস্ত
ফুল পরাগায়নে
ক্যাটালিস্ট শুধু
নিজে সৎচরিত্র…
তথাপি
পরাগরেণু পেতে
ফুলের কত আয়োজন
কত বর্ণীল প্রসাধন, সাজ…
অথচ ফুল নাকি পবিত্র!
দুর্ভিক্ষের সন্তান
কবি একটা যৌগিক পদার্থ
যার আপেক্ষিক গুরুত্ব শূন্য
কিন্তু আয়তন বিশাল
কখনো সখনো তাপে চাপে
অবস্থার পরিবর্তন ঘটে
কিন্তু কখনো মৌলিক পদার্থে
ফেরত যায় না
সে দুর্ভিক্ষের সন্তান।
সেলফ এপিটাফ
একদিন থাকবো না
থেমে যাবে গিয়াস ইন্ডাস্ট্রির
সকল কাজ।
সে এক দেশ ছিল
সব মন্ত্রণালয় চালু রেখে, চলমান।
হঠাৎ একদিন আমদানি থেমে গেল
বেড়ে গেল শুধু রফতানি…
তারপর ক্রমশ:
অর্থনীতির পতন ঘটলো
থেমে গেল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের
জমকালো আসর…
কি দেশ কি হয়ে গেল!
কাজী গিয়াস আহমেদ
কাজী গিয়াস আহমেদের জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৬০, ঝিনাইদহ শহরে। পড়াশুনা, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংকশাস্ত্র সম্পন্ন করেন। সাহিত্য জগতে প্রবেশ করা থেকেই, একজন নিরলস পাঠক ও কবিতাযাত্রী। লেখালিখি এবং সৃজনশীলতার প্রতি আকর্ষণের কারণে, একজন আড্ডাপ্রিয় মানুষও বটে। ভ্রমণের প্রতি রয়েছে প্রবল টান। এ-পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তিনটি মৌলিক কবিতা ও একটি নেপালি অনুবাদ কবিতার বই।
১. রোদ পুড়ানো গান।
২. বাতাসের রাগ রাগিণী।
৩. বিভ্রমের স্বরলিপি।
৪. নেপালি কবিতার পাল্লাচিহ্ন, সমসময়িক নেপালি কবিতার অনুবাদ।
একমাত্র কন্যা বৃষ্টি আহমেদ ও স্ত্রী ডাঃ হামিদুন নেছা পাখী। বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরেই বসবাস করছেন।