____________________
বাংলাদেশের সমকালীন বিমূর্ত চিত্রকলার ক্ষেত্রে নাজমা আক্তার একটি অপরিহার্য নাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন রিসার্চ-এর সহকারী অধ্যাপক নাজমার চিত্রকলায় যেমন জ্যামিতিক ও গীতিময় বিমূর্ততার প্রকাশ, তেমনই রঙের আশ্চর্য স্পন্দন তাঁর ছবির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গত জুন মাসে কলকাতায় অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে হয়ে গিয়েছে তাঁর একক চিত্রপ্রদর্শনী। তাঁর শিল্পজগৎ থেকে ব্যক্তিগত জীবন ও অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন সৈয়দ হাসমত জালাল-এর সঙ্গে।
_____________________
রবিবারের সকালবেলা: কলকাতায় আপনার একক চিত্র প্রদর্শনীর অভিজ্ঞতা কীরকম?
নাজমা আক্তার: কলকাতায় আমার প্রথম চিত্রপ্রদর্শনী হয় গত বছর, উইভার্স স্টুডিয়োয়। কলকাতায় প্রথম প্রদর্শনী বলে সেবার শুরুর দিকে একটু টেনশন ছিল। স্টুডিয়োর ব্যবস্থাপনাও খুব একটা ভাল ছিল না। তবে প্রদর্শনী শুরু হওয়ার পর টেনশন কেটে গিয়েছিল এবং বেশ ভালই হয়েছিল সমস্ত অভিজ্ঞতাটা। আমার ওই প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছিলেন সুনীলদা, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আর বিজন চৌধুরী, রবীন মণ্ডল, ঈশা মহম্মদ, দেবব্রত চক্রবর্তী, দ্বিজেন গুপ্ত, অমিতাভ সেনগুপ্ত প্রভৃতি সিনিয়র আর্টিস্টরা এসেছিলেন ওই প্রদর্শনীতে। কয়েকটা ছবি বিক্রিও হয়েছিল। প্রশংসাও পেয়েছিলাম। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’ আমার সাক্ষাৎকার ছেপেছিল।
প্র: আর এবার?
উ: এবার তো প্রদর্শনী হয়েছিল অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে। প্রকাশদা মানে প্রকাশ কর্মকার প্রদর্শনী শুরুর ব্যাপারে খুব সাহায্য করেছিলেন। যোগেনদা পরামর্শ দিয়েছেন। রবীন মণ্ডল, লালুপ্রসাদ সাউ, বিপিন গোস্বামী, দেবব্রত চক্রবর্তী এবং আরও অনেক শিল্পী এসেছিলেন। এটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। পত্র-পত্রিকাতেও খুব ভাল রিভিউ বেরিয়েছে।
প্র: সাম্প্রতিক শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে কলকাতার কী তফাৎ লক্ষ্য করছেন?
উ: ঢাকার শিল্পচর্চার সঙ্গে ইউরোপের একটা যোগাযোগ আছে। ধরুন, বাংলাদেশের কোনও শিল্পী জাপানে হোক বা ইউরোপের কোনও দেশে হোক, প্রদর্শনী কিংবা ওয়ার্কশপ করে এলেন। ঢাকায় ফিরে তিনি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে তাঁর সেই অভিজ্ঞতাটা অন্য শিল্পীদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। তরুণ শিল্পীরা অনেক কিছু জানতে পারল। কিন্তু এখানে লক্ষ্য করছি ইদানিং ত্ররুণ শিল্পীদের অনেকেরই সিনিয়ার আর্টিস্টদের অনুকরণ করার প্রবণতা। সে যামিনী রায়কেই হোক বা গনেশ পাইন, বিকাশ ভট্টাচার্য কিংবা সনৎ করকেই হোক। শিল্প সৃষ্টির চেয়ে তরুণদের মধ্যে হয়তো এক ধরনের বাণিজ্যিক মানসিকতা কাজ করছে।
প্র: আপনি তো প্রাচ্য শিল্পকলা নিয়ে মাস্টার অফ ফাইন আর্টস করেছেন। তাতে দু’-দু’বার শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কারও পেয়েছেন। কিন্তু আপনার এখনকার সব কাজই বিমূর্ততা-আশ্রয়ী— এটা কীভাবে হল?
উ: আমি যখন এমএ করছি, তখন আমার বিয়ে এবং সন্তানের জন্মও হয়ে গিয়েছে। জীবন সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা বাড়ছে। ১৯৮৭-তে আমি মাস্টার্স শেষ করি। আমি এতদিন যে ধরনের ছবি আঁকছিলাম, এখন মনে হল সে সবের মধ্যে আমি আমার কথা বোঝাতে পারছি না। আমি তো অন্যের মতো আঁকতে চাই না, আমি আমার নিজস্ব ভাবনা-চিন্তা-অভিজ্ঞতা নিয়ে আমার মতো করে নিজেকে প্রকাশ করতে চাই। ফলে আমি নিজের মতো করে পথ খুঁজছিলাম। তখন কেবলই মনে হতো, কিছু হচ্ছে না। আমি যখন যে কাজটা করি, সেটা পূর্ণ সময় দিয়েই করতে চাই। আমি আমার শিশুসন্তানকে পালন করেছি পূর্ণ সময় দিয়ে। কাজের লোক বা আত্মীয়দের কাছে তাকে রাখিনি। আমি অবসরে ছবি আঁকতে চাই না। আমি যখন আঁকবো, তখন সেটাই আমার প্রধানতম কাজ হবে। ফলে সংসারের সব কর্তব্য করেও আঁকতে না পারার যে ব্যক্তিগত যন্ত্রণা, সেটাই বোধহয় আত্মপ্রকাশের নতুন পথ খুঁজে নিচ্ছিল ভেতরে ভেতরে।
প্র: এ ব্যাপারে আপনার পরিবারের ভূমিকা?
উ: আমার স্বামী কমার্সের অধ্যাপক। তাঁর নিজস্ব বৃত্তে তিনি ব্যস্ত। আমার ক্ষেত্রেও তাই। তবে আমার ছেলে শিশু বয়স থেকেই আমার ছবি পছন্দ করত, বড় হয়ে সে আমাকে এ ব্যাপারে সমর্থন করেছে। সংসারে কেউ যেমন আমাকে ছবি আঁকতে বাধা দেয়নি, আমার রং-তুলি কেড়ে নেয়নি, তেমনি আবার উৎসাহও দেয়নি। শাড়ি, গয়না, টাকা-পয়সা— এসব দিতে কোনও ত্রুটি রাখেন নি স্বামী। কিন্তু আমার ছবির ব্যাপারে তিনি উদাসীন। ফলে ছেলে কিছুটা বড় না হওয়া পর্যন্ত আমি সেভাবে পছন্দমতো ছবি আঁকতে পারিনি।
প্র: তারপর আবার পুরোপুরি ছবিতে ফিরলেন কীভাবে?
উ: ১৯৯৩ সালে ঢাকার শিল্পাঙ্গন গ্যালারিতে জলরঙের একটি ওয়ার্কশপে অংশ নিয়েছিলাম। ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেছিলেন দু’জন বিশিষ্ট, অগ্রগণ্য শিল্পী— মুস্তফা মনোয়ার এবং মনিরুল ইসলাম। মনিরুল ইসলাম স্পেনে থাকেন। তিনি আমাকে উৎসাহ দেন। আমিও অনুভব করি, আমার সাম্প্রতিক শিল্পভাবনা প্রকাশের জন্য বিমূর্ত শিল্পধারার পথে এগোতে হবে। আমার ভেতরে ভেতরে একটা ভাংচুর চলছিল। কোনও প্রদর্শনীতে যেতাম না। একটা সময় আমি ফিগারেটিভ কাজ করেছি। কিন্তু এখন এ ধরনের কাজ করে তৃপ্তি পাই না। ২০০০ সালে আমার এক স্যার আমাকে আঁকতে বললেন শিল্পকলা একাডেমীতে জাতীয় প্রদর্শনীর জন্যে। ছবি দিলাম। স্যার বললেন, ভাল হয়েছে। কিন্তু আমার তো মন ভরে না। ওই সময় আমি চিত্র-সমালোচনা লিখতে শুরু করি ‘জনকন্ঠ’ পত্রিকায়। মনিরুল ইসলামের ছবি নিয়েও আমি আলোচনা করেছিলাম। তিনি আমাকে ছবি এঁকে দেখাতে বললেন। আমি ছবি নিয়ে গেলাম। ২০০১ সাল সেটা। তিনি আমাকে অনেক উপদেশ দিলেন। তারপর আমি টানা পাঁচ বছর কাজ করে গেলাম। ওই যে বলেছি, আমি যখন আঁকবো, তখন সেটাই হবে আমার প্রধানতম কাজ। তারপর ২০০৬ সালে শিল্পাঙ্গন গ্যালারিতে আমার প্রথম একক প্রদর্শনী হল। অবশ্য এর আগে গ্রুপ এক্সিবিশনেও আমার চারটে ছবি খুব প্রশংসিত হয়েছিল। এ সময় থেকে সম্ভবত আমার নিজস্বতা বা বৈশিষ্ট্যগুলি সবার চোখে অন্যভাবে পড়তে থাকে।
প্র: বিমূর্ত চিত্রকলা সম্পর্কে এরকম একটা অভিযোগ তো বহুদিনের, যে— এই ধারার শিল্পে সামাজিক দায়বদ্ধতা যেমন থাকে না, তেমনই তাৎপর্যপূর্ণ কোনও সামাজিক উপাদানের প্রতি নিস্পৃহ থেকেই শুধুমাত্র রং, স্পেস ও ফর্ম দিয়ে ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করা হয়, অনেকটা বিশুদ্ধ যন্ত্রসঙ্গীতের মতোই। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকও, অবশ্য প্রশংসার্থে, আপনার ছবি সম্পর্কে লিখেছেন যে, প্রচলিত কথায় সামাজিক দায়বদ্ধ বলতে যা বোঝায় আপনি ঠিক সেরকম দায়বদ্ধ নন। দায় কিছু থাকলে সেটা আপনার নিজের শিল্পের কাছে। তিনি বলেছেন যে, আপনার কাজের পুরোপুরি সাযুজ্য সঙ্গীতের সঙ্গে। রুপো-গলা সঙ্গীতের প্রবাহের মতো। আবার ওই একই ছবিগুলি, যা গত জুন মাসে কলকাতায় প্রদর্শিত হল, সে সম্পর্কে বাংলাদেশের আলোচক শেখর ইমতিয়াজ লিখেছেন যে,আপনার বিমূর্ত শিল্পকর্মে অগণন জীবনকথা ও প্রকৃতির নানা অবয়বের পাশাপাশি বিধৃত হয় ছিন্নভিন্ন যন্ত্রপিষ্ট নগর। আপনার ছবিতে রয়েছে অভিজ্ঞতার তিক্ততা ও নিঃসঙ্গতার বিদ্রোহীসঞ্চয়। আপনি নিজে এটাকে কীভাবে দেখেন?
উ: দেখুন, আমি একজন নারী। এই সমাজে একজন নারীর অভিজ্ঞতা থেকেই তো আমার ছবি আঁকা হবে। আমাদের সমাজে পুরুষেরা নারীদের বন্ধু হিসেবে বিয়ে করে না। তারা স্ত্রীদের পরিচারিকা ভাবে। স্ত্রীরা সংসারের কাজ করবে, সন্তান পালন করবে, ইনডিভিজু্য়াল মানুষ হিসেবে তাদের কোনও মর্যাদা থাকবে না, জগৎ থাকবে না। চাকরি-বাকরি করলেও মেয়েদের এই অবস্থার বিশেষ হেরফের হয় না। এমনকি, আমাদের দেশের নারী চিত্রশিল্পীদের বেশিরভাগেরই স্বাভাবিক সংসার নেই। কেউ হয়ত বিয়ে করেনি, কেউ ডিভোর্সি— এরকম। এর ফলে সমাজের সঙ্গে একজন নারীর ইন্টারঅ্যাকশনে নারীটির মধ্যে প্রচুর তিক্ততা, একাকিত্ব বা যন্ত্রণা তো থাকবেই। আমার ছবিতে এসব অনেক সময় উঠে এসেছে। আবার কিছু দুঃখ-কষ্ট থাকে যা নারী পুরুষ উভয়েরই সমান। বিমূর্ত শিল্পে অনেক সময়ই কোনও মূর্ত চিত্রকল্প দেখা না গেলেও নানা রং ও রেখায় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতারই প্রতিফলন ঘটে। তবে তার মধ্যে অনেকটা অব্যক্তও থেকে যায়, অবচেতনে থেকে যায়। আমি আমার অবচেতন জগতকে ছবির মাধ্যমে মুক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে কাজটা সহজ নয়, কেননা নিজের মনের গহীনে কী আছে, তা উদ্ধার করা সব সময় সম্ভব নয়। তবু নিজেকে জানার চেষ্টা, নিজেকে খোঁজাটাই শিল্পকর্মে ধরা দেয়। আমি অনেকদিন সময় নিয়ে আঁকি, রং ব্যবহার করি খুব সচেতনভাবে। তাই সেখানে যেমন স্মৃতির ভূবন উঠে আসে, ধূসরতা আসে, একটা গভীর সুরও বোধহয় বাজে। আবার অন্যদিকে নাগরিক জীবনের তিক্ততা, একাকিত্ব, মুক্তির আকাঙ্খা— সেসবও আসে। ‘স্মৃতি ও আকাঙ্খা’ অর্থাৎ ‘মেমোরিজ অ্যান্ড ডিজিয়ার’ নামে একটি প্রদর্শনীও আমি করেছিলাম ২০০৯-এ, ঢাকায় আলিয়াঁস ফ্রাঁসজ-এ। আমার রঙের ব্যবহারে এক ধরনের রোমান্টিক মুডও থাকে। হয়ত সেটা শুদ্ধ সঙ্গীতের মতো মনে হয় কারও কাছে। আমি মনে করি, একজন শিল্পী তাঁর নিজস্ব দর্শন বা ফিলজফি থেকে চিত্র নির্মাণ করেন। আবার অনেক সময় নির্মিত চিত্রকলা থেকে দর্শকরাও খুঁজে নেন দর্শন। এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লালন তাঁর একটি গানে বলেছেন মন এমন এক আজব কারখানা যে, ‘সেথায় ডুবলে পরে রতন পাবি/ ভাসলে পরে পাবি না’। আমার চিত্রকর্মের মাধ্যমে আমি কতটুকু ডুবতে পেরেছি আর কতটুকু ভেসে আছি সেটা বিচার করবেন দর্শকরা।
প্র: ছবি আঁকার জগতে এলেন কীভাবে?
উ: খুব ছোটবেলা থেকে ছবি, গান, নাচ, অভিনয়, লেখা— সবই করতে ইচ্ছে করত। তখন কুমিল্লায় থাকতাম। চার বছর বয়সের ঘটনা। আমি ছবি আঁকতে এত মগ্ন ছিলাম যে কখন প্রদীপের আগুন জামায় ধরে গিয়েছিল, টের পাইনি। মারাত্মকভাবে পুড়ে গিয়েছিলাম। সে সময় নিয়ম মেনে বাধ্যতামূলকভাবে পড়াশোনা করতে আমার একদম ভাল লাগত না। স্কুলে পড়ার সময়ও নিজের মতো ছবি এঁকে যেতাম। খুব দুরন্তও ছিলাম। কাস ফোরে পড়ি যখন, আমাকে হস্টেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি আমার মতোই থাকতাম, সেটা খুব সহজ ছিল না। মাছধরা লোকেদের সঙ্গে চলে যেতাম, ট্রেনে উঠে বসে থাকতাম। হস্টেলে বাড়ির লোকেরা এলে দেখা করতে চাইতাম না। ওরা তো আমাকে ভালোবাসে না, হস্টেলে দিয়ে দিয়েছে, তাহলে কেন দেখা করবো! আসলে অভিমান। আর ছোট থেকেই ছিলাম খুব জেদি। তবে ছবির প্রতি আমার আগ্রহ দেখে বাবা আমাকে স্কুলের পর আর্ট কলেজে ভর্তি করে দিয়েছিলেন।
প্র: বাংলাদেশে মেয়েদের অবস্থা কেমন?
উ: সাধারণভাবে, অ্যাভারেজ, ভাল না। ঘোর পুরুষতান্ত্রিক সমাজ।
প্র: কিন্তু সরকার তো নারীনীতি প্রণয়ন করেছে, নারীর সমান অধিকার দিয়েছে?
উ: হ্যাঁ বিল পাশ হয়েছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীরা বাধা দিচ্ছে। শেষ অব্দি অবশ্য ওরা পারবে না। কিন্তু দেখুন, আইন যা-ই হোক, স্বামী-পিতা এদের মানসিকতা বদল না হলে আইন দিয়ে হবে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে। জঙ্গি মৌলবাদীদের অপরাধের সঠিক বিচার হলে ওরা হয়ত কিছুটা দমে যাবে। ওরা যা করে, তা তো ধর্মে লেখা নেই। মেয়েরা রাত করে বাড়ি ফিরতে পারে না যে দেশে, আমি মনে করি সে দেশ স্বাধীন হয়নি।
প্র: কলকাতায় কীরকম বোধ করেন?
উ: মেয়েরা এখানে তুলনামূলকভাবে অনেক নিরাপদ ও স্বাধীনও বটে। এখানে আমার বেশ কিছু বন্ধুজন আছেন, আমি তাই স্বচ্ছন্দ বোধ করি।
প্র: দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্পর্কে কী মনে করেন?
উ: দুই বাংলার সাংস্কৃতিক বিনিময় তো খুবই প্রয়োজন। একই ভাষা, একই সংস্কৃতি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দু’ভাগ করে রাখা হয়েছে। ভিসা ব্যবস্থার জন্য দু’দেশের মানুষই সহজভাবে আসা-যাওয়া করতে পারে না। এই ভিসা ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হোক। সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতীরা তো ভিসা বা কাঁটাতারের তোয়াক্কা করে না। মাঝখান থেকে সাধারণ মানুষকেই হাজার রকম ঝামেলা পোয়াতে হয়। দু’দেশের মধ্যে এই দূরত্ব ঘুচলে তাতে সহমর্মিতা ও বন্ধুত্ব আরও বাড়বে।
(সাক্ষাৎকারটি গত ২৮ আগষ্ট কলকাতার রবিবারের সকালবেলা পত্রিকায় ছাপা হয়। সাহিত্য ক্যাফেতে প্রকাশিত হল কবি-লেখক সৈয়দ হাসমত জালাল-এর সম্মতিতে)
ছবি: রবিবারের সকালবেলা