অনাগত
আইসেলমিয়ার সমুদ্র নয় কিন্তু বিশাল এর ব্যপ্তি। হিন্ডেলুপেনের মতো ছোট্ট শহরের প্রান্তে আইসেলমিয়ারের জলরাশি যেখানে পায়ের কাছে দোলা দিয়ে যাচ্ছে সেখানে পরপর কয়েকটি রেস্তোরা। কাঠের পাটাতন জলের উপরে বহুদূর বিস্তৃত। রেলিং দিয়ে ঘেরা শেষ মাথায় সারি সারি টেবিল পাতা। লাঞ্চের খোঁজে সাড়ে বারটার দিকে সেইলরস ইন-এ ঢুকে এদিক সেদিক তাকিয়ে একটা খালি টেবিল খুঁজছি, কিন্তু কোথাও ঠাঁই নেই। গ্রীষ্মকাল বলে পর্যটক মৌসুম চলছে। মাস দুয়েক পর থেকে টেবিলগুলো খালি পড়ে থাকবে অন্তত চার মাস। পাশেই মেক্সিকান রেস্তোরা এল পাসো-তে যাবো কিনা ভাবছি এমন সময় এক কোণের একটি টেবিল থেকে ইশারায় আমাকে কাছে ডেকে বসতে বললেন এক বৃদ্ধ।
আমি লক্ষ করলাম চারজনের টেবিলে বৃদ্ধ একা। পাশের খালি চেয়ারে ঝোলানো সামার জ্যাকেট এবং একই চেয়ারের সাথে হেলান দিয়ে রাখা একটি ছড়ি। শূন্য হয়ে আসা বিয়ারের গ্লাসে একটা চুমুক দিয়ে টেবিলে রেখে চোখের চশমা খুলে টিস্যুপেপারে মুছে আবার চোখে দিলেন। এবারে ভালো করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে পরিস্কার ইংরেজিতে বললেন, টুরিস্টদের আমি সাধারণত পছন্দ করি না। তবে তোমার মতো একজন চমৎকার তরুণীর সাথে টেবিল শেয়ার করা ভাগ্যের ব্যাপার!
হিন্ডেলুপেন এসেছি গতকাল সন্ধ্যায়। ফ্রিসল্যান্ডের এগারোটা ছোট্ট শহরের সবগুলোই অসাধারণ সুন্দর বলে শুনেছিলাম। তবে পুরোনো দিনের সব বাড়ির সামনে বা ঘরের জানালায় ফুলের সমারোহ, দালান কোঠার মাঝ দিয়ে পাথরে বাঁধানো সরু গলি পথ, স্বচ্ছ জলের আঁকাবাঁকা খাল, পথের উপর মাঝেই কাঠের সাঁকো এবং মোড়ে মোড়ে পাথর বা ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য শহরটিকে যেভাবে দৃষ্টি নন্দন করে সাজিয়ে রেখেছে তার তুলনা কোথাও আছে বলে মনে হয় না।
– টুরিস্টদের আর দোষ কি বলুন, আপনাদের এই শহরের আকর্ষণ তো কম নয় বৃদ্ধের কথার উত্তরে বললাম। তিনি খুশি হলেন কি না বুঝতে পারলাম না। বললেন– এখানে যারা আসে তারা হয় আমেরিকা নয়তো ইওরোপের ধনীদেশগুলো থেকে আসে। তুমি একমাত্র ব্যতিক্রম। নিশ্চয়ই এশিয়ার কোনো দেশ থেকে এসেছো— বাংলাদেশ বলার পরে নামটা তিনি অনেকক্ষণ ধরে উচ্চারণ করলেন কিন্তু মনে করতে পারলেন না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে পায়ে হেঁটে একটা চক্কর দিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি দিন তিনেক থেকে যাবো। এখানে কোনো তারকাখচিত হোটেল নেই, দু চাকার সাইকেল ছাড়া এ শহরে কোনো যানবাহন চলে না। বিশাল জলাভূমির তটরেখা ঘিরে সাড়ে চারশ বছরের পুরোনো শহরগুলো আসলে গ্রাম, মৎসজীবী জেলেদের বসতি। জীবন যাপনের সব আধুনিক ব্যবস্থা দেখে এই গ্রামগুলোকে আমাদের অনভ্যস্ত চোখে শহর বলে মনে হয়। যেমন দেশের ভেতরে মানুষের অনভ্যস্ত চোখ আমার মতো তেইশ বছরের তরুণীকে একা কুয়াকাটা কিংবা কক্সবাজারে দেখতে পেলেও মানতে চাইবে না।
বিপুল জনসমাগম এবং ব্যস্ততা স্বত্তেও টেবিলে খাবার আসতে দেরি হলো না। গত দুবছরে আমি ইওরোপের উত্তরাঞ্চলের মানুষের মতো সময় নিয়ে ধিরে সুস্থে খাবার খেতে শিখেছি। আজকাল খাবার টেবিলেই শেষ করে ফেলতে পারি অনেক কথা। কথায় কথায় জানা হয়ে গেল বৃদ্ধের বয়স তিয়াত্তর বছর, স্ত্রী গত হয়েছেন বছর দশেক আগে। জিজ্ঞেস করা শোভন কিনা তবুও কৌতূহল সংবরণ করতে না পেরে জানতে চাইলাম, আপনার ছেলেমেয়েরা?
– আমার ছেলেটা ব্রাসেলস-এ থাকে। সাড়ে চার ঘণ্টার পথ, কিন্তু সময় নেই। আসবে কেমন করে।’
– ওহ! অজান্তেই আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি।
– আমার একটা মেয়ে ছিল তোমার মতো। অবশ্য তোমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। আমি চমকে উঠি, হয়তো শুনবো সে আর বেঁচে নেই। বৃদ্ধ বলেন, অনেক দূরে থাকে, অস্ট্রেলিয়ায় কুইন্সল্যান্ডে। ইচ্ছে থাকলেও আসতে পারে না ।
– আপনি একা এভাবে প্রতিদিন রেস্টুরেন্টে এসে খাবার খান? রাখঢাক না করেই জিজ্ঞেস করি। শুধু তো এখানে নয় লেমার, স্লটেন, স্নিক, ভোলেনডাম যখন যেখানে ইচ্ছে চলে যাই কিন্তু এখানে তো গাড়ি চলে না।
–আপনি আসেন কেমন করে?
– শহরের বাইরে গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা আছে। স্টাভোরেন থেকে বলসওয়ার্ড, ভরকুম বা হুরন গাড়ি চালিয়ে চলে যাই। তবে আমি জলপথই বেশি পছন্দ করি। রেস্টুরেন্টের অদূরে খালে ভাসতে থাকা একটা জলযানের দিকে আঙুল তুলে দেখান তিনি। নীল রঙের ছোট্ট ইঞ্জিন বোট মৃদুমন্দ বাতাসে দুলছে।
– লিওয়ারডেন ছাড়া কোথাও তো ওল্ডএজ হোম নেই। যখন চলতে পারবো না তখন বৃদ্ধ নিবাসে চলে যাব।
কথা শেষ করে উঠে পড়েন আমার টেবিল সঙ্গী। আমরা যে যার বিল মিটিয়ে দিয়ে দীর্ঘ কাঠের পাটাতন পেরিয়ে যখন প্রায় রাস্তায় উঠে গেছি তখন হঠাৎ থেমে বৃদ্ধ বললেন, এখন থেকে অনেক বছর পরে তোমার বয়স যখন আমার মতো হবে তখন কোনো ভিনদেশী তরুণ তোমাদের দেশে বেড়াতে এসে রাশ আওয়ারে যদি বসবার জায়গা না পায়, তাহলে তাকে তোমার টেবিলে বসতে দিও।
হিসাব করে দেখি আমার বয়স তিয়াত্তর হবে পঞ্চাশ বছর পরে। তখন কি আমাকেও শহরের রেস্টুরেন্টগুলোতে দিনের পর দিন একাকী একটি টেবিলে বসে খাবার খেতে হবে? বিদেশি কাউকে ডেকে নিয়ে বলতে হবে পুত্র কন্যার অনুপস্থিতি আর বৃদ্ধাশ্রমে যাবার প্রস্তুতির গল্প? দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর বাঁচবার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। কিন্তু কায়ক্লেশে যদি টিকে যাই তাহলে কী হবে?
অনাগত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেকগুলো প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে ঢালু পাড় বেয়ে বৃদ্ধ নেমে যান নীল জলের কাছাকাছি।
নায়িকা
বিনতা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। খুব একটা গভীর ঘুম নয়। মাথার কাছে বেড সাইড ল্যাম্পটা জ্বলছে। বাঁ হাতের কাছে একটা হালকা পাতলা বই ওল্টানো অবস্থায় পড়ে আছে। পাশেই চোখ থেকে খুলে রাখা চশমা। সম্ভবত পড়তে পড়তেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। মোবাইল ফোনটা হঠাৎ বেজে ওঠায় ঘুম ভেঙে গেছে। চশমাটা তুলে চোখে দিলেও মোবাইল ফোন খুঁজে বের করতে বেশ খানিকটা সময় গেল। বিনতা একটু বিরক্তও হলেন। এতো রাতে কে হতে পারে!
একমাত্র মেয়ে তার বিয়ের পর থেকে জামাইসহ নিচের একটা ফ্লাটে থাকে। প্রয়োজন হলে সে দোতলা থেকে তিন তলায় উঠে আসতে পারে। মেয়ের বাবা প্রকৌশলী মাহবুব জামান বছর পাঁচেক আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে সেই যে গ্রামে চলে গেলেন, এখনো মাসের কুড়ি পঁচিশ দিন সেখানেই কাটিয়ে আসেন। জমিজমা উদ্ধার করে জন কল্যাণমূলক কাজে লাগাবার মহান ব্রত নিয়ে পৈত্রিক ভিটায় ফিরে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে মামলা মোকদ্দমা আর শালিস দরবারে, রাতে ঘুমাতে যান তাড়াতাড়ি। কাজেই ফোনটা যে জামান সাহেবের নয় তাও নিশ্চিত করে বলা যায়।
‘জাগরণে যায় বিভাবরী’ ধরনের একটা সঙ্গীত বেজেই চলেছিল। শব্দের উৎস ধরে বালিশের পেছন থেকে হাতড়ে বের করে মোবাইল ফোন চোখের সামনে এনে ধরেন বিনতা। নম্বরটা অপরিচিত আর রাত মোটে সোয়া এগারোটা। ঢাকা শহরে এগারোটায় অনেকের সন্ধ্যা হয়। বাড়িতে কেউ না থাকায় সাড়ে আটটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে চোখের সামনে একটা বই মেলে ধরে বিছানায় গড়িয়ে পড়েছিলেন। লাইন কেটে যাবার একটু আগে কলটা ধরে ফেলেন বিনতা।
– আমি কি বিনতা ম্যাডামের সাথে কথা বলছি?
অপর প্রান্ত থেকে বেশ ভারি পুরুষ কণ্ঠে কেউ একজন জানতে চান।
– জ্বি বলছি। আমি তো কখনো ম্যাডাম হইনি, আমার নাম বিনতা, বিনতা জামান।
– আপনি আপনার নামের সার্থকতা প্রমাণ করেছেন। আসলে আমরা কিন্তু আপনাকে বাদ দিয়ে আমাদের সাংস্কৃতিক জগতের কথা চিন্তা করতে পারি না ।
– আপনিও যথেষ্ট বিনয় দেখিয়েছেন। তবে সত্যি বলতে কী আমি আপনাকে স্যরি, এখনো ঠিক চিনতে পারিনি।
– আমি ইউসুফ সালাম। একটা মাত্র ফিচার ফিল্ম আর কয়েকটা টিভি সিরিয়াল করেছি। তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কাজ এখনো করতে পারিনি।
– আপনার নাম আমি জানি। একটা দুটো কাজ দেখবার সৌভাগ্য হয়েছে। আপনি তো চমৎকার কাজ করছেন।
– এ সব বলে আমাকে অযথা লজ্জা দিচ্ছেন। এমনিতেই অনেক রাতে ফোন করে আপনাকে বিরক্ত করছি। বরং কাজের কথা বলা যাক।
– বলুন।
– আমার নতুন ছবিটার কাজ শিগগিরই শুরু হবে আর তারই প্রস্তুতি হিসাবে আমরা একটু বসতে চাচ্ছি আগামী কাল এফডিসির দু নম্বর ফ্লোরে। প্রোগ্রামটা হঠাৎ করেই করতে হলো, কারণ আজই কোলকাতা থেকে আমার এক বন্ধু এসেছেন, ওর হাতে আবার বেশি সময় নেই।এটা কি জয়েন্ট ভেঞ্চার?
– না যৌথ প্রযোজনা বলতে যা বোঝায়, তা ঠিক নয়। তবে ওপারে আমার বন্ধুদের একজন আমাকে প্রোডাক্শনে কো-অপারেট করবে বলেছে। তা আমাকে কি করতে হবে তা কিন্তু এখনো বলেননি। আপনাকে আমরা একটা চরিত্রের জন্য ভেবেছি। ইনফ্যাক্ট অন্যতম প্রধান চরিত্র, নায়িকাও বলতে পারেন।
– আমার কি এখন আর সে বয়স আছে।
– আপনার মতো বয়সের অভিজ্ঞ একজনকেই আমরা খুঁজছি।
পরদিন সকালে বিনতা তাঁর ওয়্যাড্রোব খুলে একগাদা শাড়ি-ব্লাউজ, সালোয়ার-কামিজ, জিনস্-ফতুয়া এমন কি হাল আমলের পালাজ্জো-টপস বের করে ফেলেন। সন্ধ্যা সাতটায় যাবার কথা থাকলেও প্রস্তুতি চলতে থাকে প্রায় সারাদিন ধরে। যদিও চরিত্রটি সম্পর্কে পরিচালক কিছুই বলেননি তবুও এই বয়সে কোন পোশাকে তাকে মানাবে অথবা প্রাথমিক দেখা সাক্ষাতের সময় কোনটা পরে যাওয়া উচিৎ কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না এককালের এই ডাকসাইটে অভিনেত্রী। একে একে নানা ধরনের নানা রঙের জামা কাপড় পরে নিজেকে আয়নার সামনে মেলে ধরেন বিনতা।
অনেক দিন কেউ তাকে কোনো চরিত্রের অভিনয়ের জন্যে ডাকেনি। শেষপর্যন্ত ইউসুফ সালামের মতো খ্যাতিমান একজন তার কথা মনে করেছেন ভেবে পুলকিত হন বিনতা জামান। সারাদিন তার মধ্যে এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করতে থাকে। নিসুতা স্নানের সময় নিজেকে নির্মোহ পরীক্ষকের মতো খুঁটিয়ে দেখে তার প্রায় পঞ্চাশ শরীরের ভেতরে এক ধরনের আনন্দ ধ্বনি বেজে ওঠে। সেই সঙ্গীতের আবহে পুরোনো একটা গানের সুর গুনগুন করে গাইতে গাইতে আগে থেকে ঠিক করে রাখা শাড়ি ব্লাউজ পরে নিয়ে প্রসাধনে মনোযোগ দেন বিনতা। আজকাল খুব একটা মেক-আপের প্রয়োজন হয় না। অনভ্যাস স্বত্ত্বেও আগের মতোই নিজেকে নিপুন হাতে সাজিয়ে তুলতে কোনো কষ্টই হয় না তাঁর।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শরীরে প্রিয় পারফিউম ছড়িয়ে বিনতা যখন বেরোবার জন্যে প্রায় প্রস্তুত সেই সময় মোবাইল ফোন বাজতে শুরু করে। অপরিচিত নম্বর দেখে ধরবেন কিনা ভাবতে ভাবতেই ফোনটা ধরে ফেলেন বিনতা। একটি নারী কণ্ঠ ভেসে আসে।
– স্লামালেকুম। আপনি কি মিসেস বিনতা জামান বলছেন?
– জ্বি, বলুন। আমি ইউসুফ সালাম স্যারের প্রোডাকশন হাউজ টুয়েন্টি ফোর ফ্রেমস থেকে অদিতি বলছি। স্যার আপনাকে একটা ইনফরমেশন দিতে বলেছেন।’
– ঠিক আছে বলুন, শুনছি।
– আজ সন্ধ্যে সাতটায় এফডিসির দু নম্বর ফ্লোরে যে প্রোগ্রামটা হবার কথা ছিল সেটা ক্যানসেল, না মানে ঠিক পুরোপুরি বাতিল না পোস্টপন্ড করা হয়েছে। আগামীতে প্রয়োজন হলেই আবার আপনাকে জানানো হবে। থ্যাঙ্ক ইউ ম্যাম।
– ও আচ্ছা। ঠিক আছে।
ফোনের লাইন কেটে দেয় মেয়েটি। বিনতা জানেন আর কখনোই তার প্রয়োজন হবে না এবং অন্তত এই প্রোডাকশনে তার ডাক পড়বে না আর কোনো দিন। হয়তো মনের মতো কাউকে না পেয়ে শেষ মুহূর্তে কেউ তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিল অথবা কাঙ্ক্ষিত আর্টিস্ট রিগ্রেট করে দেয়ায় বিকল্প হিসাবে ডাক পড়েছিল তাঁর। অনেক কিছুই হতে পারে, কিন্তু বিনতা আর সেসব কথা ভাবতে চান না। ফোনটা টেবিলে রেখে এক এক করে গলার মালা, কানের দুল, চুড়ি-আংটি এবং হাতের ঘড়ি খুলে রাখেন। টিস্যু দিয়ে চেপে ঠোঁট থেকে তুলে ফেলেন লিপস্টিকের রঙ। শাড়ি ব্লাউজ খুলে ছুঁড়ে দেন বিছানায়।
শরীর থেকে সব কিছু ছেড়ে ফেললেও পারফিউমের সুবাস সারা ঘরময় ভেসে বেড়াতে থাকে।
ফরিদুর রহমান
ফরিদুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও ফিল্ম এ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া, পুণে থেকে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা লাভ করেছেন। তিন দশকের বেশি সময় কাজ করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে। গল্প উপন্যাস ভ্রমণ কাহিনী ও অনুবাদ মিলিয়ে ফরিদুর রহমানের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা একুশটি। বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটে। তাঁর প্রামাণ্যচিত্র ‘অশ্বারোহী তাসমিনা ত্রিশটি দেশে চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত এবং বেশ কয়েকটি উৎসবে পুরষ্কৃত হয়েছে।