যশুরে বিলাস
ডিসেম্বর মাস শুরু হতেই ক্যান্টনমেন্টে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ তৈরি হয়!
না। বিজয়ের মাস বলে নয়। এই সাজসাজ রবের কারণ হল ‘উইন্টার কালেক্টিভ ট্রেনিং’ এর প্রস্তুতি পর্ব। আমি যেটাকে বলি ‘শীতকালীন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা’। প্রস্তুতি পর্ব চলতে থাকে সারা বছর। দুই-তিন মাস আগে থেকে বার্ষিক যুদ্ধ প্রস্তুতি ও প্রশাসনিক পরিদর্শন তৎপরতা বেড়ে যায়।
এই তৎপরতা দেখে আমি একদিন কর্তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা গাছগুলোর গুঁড়িতে রং লাগিয়ে এমন সাদা মোজা পরানো হয় কেন? সাদা মোজার মাথায় আবার লাল বর্ডারও থাকে!
কর্তা হা হা করে হাসল। বলল,
– বাহ্! বেশ বলেছ তো! সাদা মোজা! লাল বর্ডার! আর্মিতে এই সাদা রং করা নিয়ে একটা মজার জোকস আছে।
আমি খুব উৎসাহ নিয়ে জানতে চাইলাম,
– কী জোকস?
– সৈনিকদের ট্রেনিং-এর সময় সহজ করে বুঝানোর জন্য বলা হয়, ‘চলন্ত কাউকে স্যালুট করো আর দাঁড়ানো জিনিসকে চুনা লাগাও।’
এক নতুন সৈনিকের দায়িত্ব ছিল সেদিন চুন লাগানোর। হাবিলদার দাঁড়িয়ে দেখছিল চারপাশে সব কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কি-না। সৈনিকটি দেখতে পেল হাবিলদার স্যার অনেকক্ষণ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন। তার ট্রেনিঙের শিক্ষা মনে পড়ে গেল। তড়িঘড়ি করে এসে সে হাবিলদার স্যারের পায়ে চুন লাগাতে শুরু করে। হঠাৎ করে পায়ে চুন লাগাতে দেখে হাবিলদার লাফিয়ে উঠে সরে যায়। বলে,
– এটা কী হল?
– স্যার আপনি বলেছিলেন স্যার, চলন্ত কাউকে স্যালুট করো আর দাঁড়ানো জিনিসকে চুনা লাগাও। আমি ভাবলাম স্যার আপনি চুনা লাগানোর জন্য এখানে দাঁড়িয়ে আছেন স্যার!
জোকস শুনে আমি হেসে গড়াগড়ি। বলি,
– এই জন্যই তো বলে মিলিটারির হাঁটুতে বুদ্ধি!
কর্তার মন-মেজাজ ফুর্তিতে থাকলে আমাকে মাঝে মাঝে এমন মজার জোকস শোনায় আবার কখনো নিজেই জোকস’-এ পরিণত হয়! একদিন দুজনে বেরিয়েছি শহরে যাব বলে। বেরুতে বেরুতে কর্তাকে বললাম,
– আলমারি তো প্রায় খোলা রেখে আসো!
আমার কথা শেষ হবার আগেই কর্তা ‘একটু দাঁড়াও’ বলে, ঘরের ভিতর থেকে ঘুরে এলো। ভাবলাম কিছু একটা ভুলে ফেলে এসেছিল। শহরে কাজ সেরে দুই-তিন ঘণ্টা পর ঘরে ফিরে দেখি, আলমারির দু-পাট হাঁ করে খোলা রয়েছে! বললাম,
– এ কী! তুমি আজকেও আলমারি খোলা রেখে গিয়েছ?
– না, আমি তো প্রথমে বন্ধ করেছিলাম। তুমি যে বললে, খোলা রাখতে! তাই আমি আবার ঘরে ঢুকে খুলে রেখে গেলাম!
অবাক হয়ে বলি,
– আমি তোমাকে আলমারি খুলে রাখতে বললাম কখন! তোমাকে তো মনে করালাম, তুমি খোলা রেখে যাও বলে!
– তুমি আমাকে সোজাসুজি বললেই পারতে, আলমারি বন্ধ করতে হবে। এতো ঘুরিয়ে বললে তোমার সাহিত্যের ভাষা আমি বুঝব কী করে?
এই হচ্ছে আমার কর্তা! সাহিত্যের ভাষা বোঝে না! সোজাসাপ্টা কথা বোঝে! মনে মনে ভাবি দিন-রাত লেফট-রাইট করছে, ডান-বাঁ বোঝে কী করে !
ইতোমধ্যে যশোরে এসে ভাবিদের সাহচর্যে কিছুটা গিন্নিপনা শিখেছি। কিন্তু কর্তার কোনো পরিবর্তন নেই। সেই আগের মতোই দেখছি। বিয়ের আগের অভ্যাস তো আমার জানা নাই কিন্তু বিয়ের পর থেকে যেমনটা দেখে আসছি। পিটি থেকে ফিরে জুতা একদিকে, শার্ট আরেকদিকে, মোজা খুঁজে পাই সোফার নীচে! অফিস ফেরত ইউনিফর্ম পড়ে থাকে চেয়ারের উপর। নতুন জায়গায় কোনো ব্যাটম্যান নাই। আমাকেই এসব গুছিয়ে রাখতে হয়। অগোছালো স্বভাব দেখে আমি বিরক্ত হলে কর্তা বলে,
– ব্যাটম্যান আমার সমস্ত কাজ করে করে অভ্যাস খারাপ করে দিয়েছে। যেটা যেখানে আছে, সেখানেই থাক। তুমি এত কষ্ট করতে যেও না। হাতের কাছে জিনিসপত্র পেলেই হল!
কর্তার কথা শুনে আমার মাথা ঘুরায়! সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে কি রাখা যায় ? চার-বেলার জামা-কাপড়, ইউনিফর্ম, জুতা এসব গুছাতে গুছাতে আমি ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। ইউনিফর্মের গয়নাগাটি পরাতে গিয়ে প্রতিদিনই উলটাপালটা করে ফেলি। পিতল পালিশ করতে করতে আমার নেইল পালিশ হাওয়া হয়ে যায়!
অবশেষে একজন ব্যাটম্যান পাওয়া গেল। নাম আজিজ। চৌদ্দ-পনেরো বছর বয়স হবে। অপুষ্টির কারণে আরও ছোটো দেখায়৷ সুযোগ পেলেই ঘুমায়। ওকে যে কাজ দেয়া হয় সেটা কোনো রকম শেষ করেই আবার ঘুম। সে রাত হোক বা দিন। রান্নাঘর কিংবা বারান্দা। উঠান এমনকি দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে যখন-তখন ঘুমিয়ে পড়ে। যাই হোক ইউনিফর্ম তৈরি করা, জুতা পালিশ মোটামুটি শিখে ফেলল। এতেই আমি মহাখুশি! কিন্তু সমস্যা দেখা দিলো টেলিগ্রাম নিয়ে! একমাস শেষ হতে না হতেই তার বাড়ি থেকে প্রথম টেলিগ্রাম এলো, ‘ফাদার ডেড।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম,
– বাড়ি যেতে চাও?
কান্নাকাটি করতে করতে বলল,
– বাবা তো আর নেই, বাড়ি গিয়ে কী হবে! বাবাকে দেখতে পাব না। বাড়িতে টাকা পাঠাতে চাই!
সেদিনই তার বাড়ির ঠিকানায় বেতনের সঙ্গে আরও কিছু টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হল। পরের মাসে আবার টেলিগ্রাম এলো, মাদার ডেড।
কর্তা টেলিগ্রাম হাতে নিয়ে হাসে! আমি ভীষণ খেপে যাই কর্তার হাসি দেখে। লোকটা কী নির্দয়! আহা ছেলেটার একমাসের মধ্যে বাবা-মা দু’জনেই চলে গেল! এই শুনে মানুষের হাসি পায় কী করে! আমার বাক্যবাণ শুরু হবার আগেই কর্তা বলে,
– ফাদার ডেড, মাদার ডেড, কিংবা ফাদার সিক, কাম সুন। এই রকম টেলিগ্রাম আমরা অহরহ পাই! ভুলে গিয়ে এক ফাদারকে দুইবারও মেরে ফেলে ছুটি পাবার জন্য।
তবুও যেন আমার বিশ্বাস হয় না। বলি,
– দেখো একটু খবর নিয়ে, সত্যি ওর বাবা মা একমাসের মধ্যে মারা গিয়েছে কিনা?
কর্তা বলল,
– ইউনিটের একজন সৈনিক এনে দিয়েছে, শুনেছি ওর আত্মীয় হয়। কাল অফিসে গিয়ে খবর নিব।
পরদিন অফিস থেকে ফিরে কর্তা হাসছে। আমি বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
– খবর নিলে?
– হুঁ। ওর চাচাতো ভাইকে অফিসে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম। বললো, ওর বাবা-মা নাকি পাঁচ বছর আগেই মারা গিয়েছে।
এরপর অবশ্য টেলিগ্রাম আসা বন্ধ হয়েছে। মাস শেষ হবার আগেই তার বাড়ির ঠিকানায় নিয়মিত টাকা চলে যায়। আমি অবাক হয়ে ভাবি, এমনও হয়!
সূর্য আড়মোড়া ভাঙতে না ভাঙতেই জেগে যায় ক্যান্টনমেন্ট।
ঢাকায় যখন ছিলাম, কর্তা পিটিতে চলে গেলে আমি বিছানায় ফিরে গিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঘুমাতাম, পিটি থেকে না ফেরা পর্যন্ত। কিন্তু যশোরে এসে আমার ভোর দেখার নেশা শুরু হল। বাড়ির আঙ্গিনায় ছোটো এক চিলতে সবুজ উঠানে খালি পায়ে হেঁটে বেড়াই। শিউলি ফুল কুড়িয়ে কাচের বাটিতে ঘরে এনে রাখি। ক্যান্টনমেন্ট আর তার আশপাশের নিসর্গের উষ্ণ সান্নিধ্যের ছোঁয়া আমাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যায়। এমন অনুভব আগে কখনো হয়নি! এত গায়ে গায়ে সবুজ! সারি সারি খেজুর গাছ। শীত শুরু হতেই খেজুর গাছের খাঁজে রসের হাঁড়ি বাঁধা। সন্ধ্যা হতেই শেয়ালের ডাকাডাকি। দিনে-দুপুরে বাড়ির সামনে তাদের অবাধ বিচরণে অবাক হই। বুনট জঙ্গলের মাঝে যেন এক মায়াময় বসতি।
সকাল হতেই বিচিত্র সব পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে। ঘাসে পা রাখলে সোঁদা গন্ধ মন ছুঁয়ে যায়। পাতার সতেজ সুবাস অনুভব করতে পারি। মনে হয় বিভূতিভূষণের ‘আরণ্যক’- এর ভোর বইয়ের পাতা থেকে এখানে নেমে এসেছে। ভোরের কুয়াশাচ্ছন্ন নির্মল আকাশের নীচে এমন সবুজ দেখতে দেখতে মনে হয় আমিও যদি বিভূতিভূষণের মতো একটা ঘোড়ায় চেপে ঘুরে বেড়াতে পারতাম এমন নির্জন আকাশতলে দিগন্তব্যাপী বনপ্রান্তরে! ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে শহরের পথে কত যে গ্র্যান্ট সাহেবের বট গাছের দেখা মেলে! শহর ছাড়িয়ে একটু দূরে গেলে ফসলের মাঠের পর মাঠ দিগন্ত ছাড়িয়ে। দেখে মনে হয় এই তো সেই তেপান্তরের মাঠ!
আমার এই প্রকৃতি প্রেমের মাথায় কর্তা ঠান্ডা জল ঢেলে দিয়ে বলল,
– সাবধানে চলাফেরা করো, এখানে খুব সাপের উপদ্রব।
ভাবলাম আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এসব বলছে। দুদিন পর দেখি আজিজ একটা শুকনা গাছের ডালের মাথায় তিন হাত সমপরিমাণ লম্বা একটা সাপ ঝুলিয়ে নিয়ে হাজির। আমি ভয়ে তিন পা পিছিয়ে গিয়ে বলি,
– এ কী! এটা কোথা থেকে নিয়ে এলে?
সবকটা দাঁত বের করে বীরত্বের সঙ্গে আজিজ জানাল, মরা সাপ! সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় ফুলের টবে জল দিতে গিয়ে আজিজ দেখে একটা সাপ টব জড়িয়ে বসে আছে। আজিজ লাঠিপেটা করে ওটাকে মেরে ফেলেছে!
আমি বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করলাম,
– একা মারলে? যদি কামড়ে দিত!
আজিজ কিছু না বলে ‘এ আর এমন কী’ ভঙ্গি করে সাপটাকে ফেলতে চলে গেল। সেদিন থেকে সাপের ভয়ে আমার চলাচল সীমিত করে ফেললাম। কর্তাকে বলতে গেলাম, দেখি সেও খুব নির্বিকার ভাবে বলল,
– তোমাকে আগেই বলেছিলাম এখানে অনেক সাপ। ঘুমাবার সময় বিছানা, মশারী ভালো করে চেক করে নিও।
আর কী! হয়ে গেল! এইটুকুই বাকি ছিল! শুধু ঘরে-বারান্দায় নয়, এখন বিছানা বালিশেও আমার আতংক!
আশপাশের ভাবিদের বলতে গেলাম দেখি তারাও খুব একটা অবাক হলো না। বরং নিজেদের সর্প বিষয়ক অভিজ্ঞতা বলতে শুরু করল। একজনের বাসার ফ্রিজের নীচে থেকে সাপ বেরিয়েছে! আরেকজন বলল,
– ভাবি, আমার কর্তার বুটের ভিতর থেকে একদিন সাপ বেরিয়েছে!
আরেকজন বলে,
– ভাবি, আমার বাসায় সেদিন দেখি জানালার পর্দার সঙ্গে একটা সাপ ঝুলছে!
শুনতে শুনতে আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল। করুণ স্বরে বললাম,
– ভয় লাগে না?
– হুঁ। প্রথম প্রথম লাগত। এখন আর লাগে না। সাপ ব্যথা না পেলে খুব একটা কাউকে কামড়ায় না। তবুও সাবধানে থাকতে হয়। নিজের অজান্তে সাপের গায়ে পা দিলে সাপ তো ছোবল দেবেই। ‘সরি’ বলে রেহাই পাওয়া যাবে না!
আরেকদিন সন্ধ্যার একটু আগে, কর্তা তখনো গেমস থেকে ফেরেনি। আজিজ দৌড়ে এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছে। ওকে হাসতে কিংবা খুশি হতে খুব একটা দেখা যায় না। ঘুমের ঘোরেই থাকে বেশিরভাগ সময়! আমি একটু অবাক হয়েই ওকে জিজ্ঞেস করলাম,
– কী হয়েছে আজিজ?
আঙুল দিয়ে ঘরের বাইরে দেখিয়ে বলল,
– সাপ!
অবাক হওয়া পেরিয়ে এবার আমি নির্বাক হয়ে গেলাম! তোতলাতে থাকলাম,
– কোকোকোথায়?
আজিজের হাসি আরও বিস্তৃত হল।
– উঠানে।
নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বললাম,
– মেরে ফেলো ওটাকে, নইলে ঘরে ঢুকে পড়বে!
আজিজ চোখমুখ গম্ভীর করে বলল,
– এখন ওকে মারা যাবে না। খাচ্ছে। খাবার সময় মারতে হয় না।
আমার চোখ কপালে উঠেছে!
– খাচ্ছে মানে? কী খাচ্ছে?
– ব্যাঙ!
এবার আমি সাহস দেখিয়ে এক-দুপা করে ঘরের বাইরে এলাম। ভাবলাম সাপটা নিশ্চয় এখন ব্যাঙ খাওয়ায় ব্যস্ত! দূর থেকে দেখলাম বেশ বড়োসড়ো একটা সাপ ব্যাঙ মুখে নিয়ে উঠান পেরিয়ে যাচ্ছে। আজিজ মহা আনন্দে একবার আমার ভয়ার্ত মুখ দেখছে, আরেকবার সাপটার চলে যাওয়া দেখছে!
এবার আর চুপ করে থাকা যায় না। কর্তাকে বললাম,
– দেখো এই সর্পরাজ্যে আমি বসবাস করতে পারব না। হয় সাপের আনাগোনা বন্ধ করো, নইলে আমি চললাম বাপের বাড়ি!
সেই চিরন্তন হুমকি-ধমকি!
কর্তা এবার নড়ে-চড়ে বসল। মনে হল হুমকি কাজ করেছে। বলল,
– কালকেই বাড়ির চারপাশের জঙ্গল পরিষ্কার করিয়ে কার্বলিক অ্যাসিড দেবার ব্যবস্থা করছি।
রাতে খাবারের সময় কর্তাকে মনে করালাম,
– তোমার মনে আছে তো কার্বলিক অ্যাসিড?
– হুঁ।
কর্তা খাবার সময় খুব একটা কথা বলে না।
রাতে ঘুমাবার আগে কর্তাকে বললাম,
– বিছানা, বালিশ, মশারি তুমি চেক করো, আমার ভয় করছে।
কর্তা ঘরের আনাচে কানাচে সব জায়গা দেখে ঘুমাতে গেল।
কিন্তু আমি কিছুতেই ঘুমাতে পারছি না। চোখ বন্ধ করলেই দেখছি সাপ ব্যাঙ খাচ্ছে! এদিকে কর্তা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। এপাশ-ওপাশ অনেকক্ষণ কাটিয়ে কর্তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে তুলে বললাম,
– শোনো!
কর্তা বলল,
– কী হল?
– কার্বলিক অ্যাসিড কোথায়?
কর্তা নিজের মাথায় হাত দিয়ে বলল,
– মাথায়!
বাবলী হক
বাবলী হকের জন্ম পঞ্চাশের দশকে ঢাকা শহরে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে পুরোনো ঢাকায়। কৈশোর থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখেছেন। ছোটোদের পাতায় ছড়া ও কবিতা দিয়ে শুরু। সত্তর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালী সাহিত্য পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে বের হয় প্রথম উপন্যাস। তারপর চলে গিয়েছিলেন অন্তরালে। দীর্ঘ তিরিশ বছর পর ২০১৫ তে স্মৃতির পটভূমিতে লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস ‘আম্বিয়াদাদি ও তার বিড়ালেরা’। আবার ফিরে এলেন লেখালেখির জগতে। ‘অষ্টপ্রহর আনাগোনা’ তাঁর তৃতীয় উপন্যাস। শুরুটা কবিতা দিয়ে হলেও তিনি মূলত গদ্য লেখেন কিন্তু কবিতা পড়তে ভালোবাসেন। প্রিয় কবির তালিকাও দীর্ঘ। প্রিয় লেখক হাসান আজিজুল হক, সেলিনা চৌধুরী ও কবিতা সিংহ। বৃষ রাশির জাতিকা এই লেখকের শখ—ভ্রমণ ও বাগান করা।