স্কুল ফেরত এক বিকেলে বজ্রপাতে আজমত চাচার নিরীহ মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছিল নিধি। প্রকান্ড ঝড়ের তোড়ের মুখে গাছপালাবিহীন খোলা জমিতে চাচার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ফুপু ধুপ করে বিছানায় বসে পড়ে নিধিকে ফ্যান ছাড়তে বলেছিল। ফ্যানের উত্তুঙ্গ হাওয়ায় ঘর ঠান্ডা হলে সবাইকে ডেকে দুঃসংবাদ দিয়েছে।
সন্ধ্যা নামার আগে আগে, আবহাওয়া বার্তায় ঝড়ের প্রকোপ থাকা স্বত্তেও কেন খোলা মাঠে গিয়েছিল আজমত চাচা!
নিধি মিন মিন করে বলেছে-‘ভোমরাদহ যাবো’।
ফুপু থম ধরে থেকে একটু বাদে বিস্ফোরিত হয়েছিল-‘কামের বেটির ছেলেরা আমাদের ঘর দুয়ারে থাকে সেইটা দেখতে ভোমরাদহ যাবো আমি? তোর নিজের বাপও বাড়িতে যায় না। বড়দা ঠাডা পইড়া মারা গেছে, মানে জানস? আল্লার অভিশাপ লাগছে ঐখানে। তোর মা যত নষ্টের গোড়া, ওর জন্যই এতকিছু! তা না হইলে ওই আবেদা মাগীর সাহস ছিল নিজে নিজে ভোমরাদহ যায়?’।
নাকের পাটা ফুলে ফুলে ওঠা ফুপুকে কী অন্যরকম অচেনা লেগেছিল সেদিন।
ফুপুর সামনে ভোমরাদহের কথা দ্বিতীয়বার উচ্চারণ না করার সতর্কবানী মনে ছিল নিধির।
আজমত চাচা, সে এতদিন জেনেছে, আছে। চোখের সামনে নেই, কিন্তু তার জন্য আছে। ভোমরাদহে কোনমতে গিয়ে পড়তে পারলে নিধিই আজমত চাচার সব। ফুপুর দেয়া খবরে সে আবারো বহুবারের মত একা হয়েছিল, নিঃশব্দ আর সংগোপন। সেখানে কান্নাকাটির ধাত নাই।
এমনকি অয়ন যখন তার বিছানায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে বলেছে- ‘আজমত মামা হইলো সুপারম্যান, জানস ঠাডায় পইড়া মরলে মানুষ যেমনে ছিল তেমনেই থাকে। আজমত মামা দাঁড়ায়া ছিল, বুক চিতায়া, খালি চোখ বন্ধ’।
অয়ন আরো জানে- আবেদা এখন দুই দু’জন ছেলের মা। দাদুর বাড়ীতে আসল কত্রী।
-‘তোর ছোট ছোট চাচারা’, মা’কে লুকিয়ে নিধিকে ক্ষ্যাপায় সে।
-‘তোরও তো মামা’, নিধি বলে পার পায় না।
-‘ওরা তোদের বংশ,’ অয়ন আরো মারকুটে, ‘ আমাদের বংশে এইসব নাই’।
হ্যা, অয়ন তো জালাল ফুপার বংশের প্রদীপ। ওর দাদী তাই বলে সবসময়।
বাবার সঙ্গে কথা বলা কবে বন্ধ করেছিল নিধি!
আজমত চাচার মৃত্যু সংবাদেও তাকে দেখতে ঢাকায় না আসায়, নাকি ইউসুফের সঙ্গে লঞ্চ ভ্রমণ শেষে! নাকি আরো পরে! ক্যানাডায় থেকে যাবার সিদ্ধান্তে, নিধি ফিরবে না এটা জেনেই বাবা জোর দিয়ে ফুপুকে বলেছিল- ফিরে এসে কি করবে!
আজকে প্রায় বছর আষ্টেক বাদে দেশে ফিরে নিধির মনে হয় অনেক জটিলতার উত্তর তার স্কুল ব্যাগের চিঠিগুলির মধ্যে আছে। কোথায় তার ব্যাগ?
ফুপু বাজার করতে বাইরে গেলে নিধি ষ্টোর রুমের দরজার কাছে কতদিন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। পাইল করে রাখা রাজ্যের জিনিষ, অয়নের ক্রিকেট ব্যাট, এটা নিধি’র বাবা ওর জন্মদিনে কিনে দিয়েছিল (একদিনও খেলেনি, লেবেলটাও খোলেনি), আর ফুপুর কেনা নি-প্যাডস। ক্যারমবোর্ডটা কার কে জানে! আরো দুটো ভাঙ্গা স্যুটকেস। জুতা আর কাপড়, অয়নের। ছেড়া তোষক মুড়ে রাখা, অনেক আগেকার টাইপ রাইটার, মরচে ধরে গেছে। পুরানো ড্রেসিং টেবিল, কোনে এখনো লাল আর কালো টিপ সাঁটা, আদ্যিকালের জলচৌকি, শিকভাঙ্গা ছাতা, ফুপুর স্কুলের গাদা গাদা পুরান খাতা- এসবের মধ্যে নিধির ছোট্ট স্কুলব্যাগটা ছুঁড়ে ফুপু কত ভেতরে ফেলে দিয়েছিলো?
আছে, অন্তত হারাবে না এমন জায়গায় আছে- নিজেকে বলেছে নিধি, যখন মনে পড়েছে, তখনি। ঘুমের সময়, ফুপুর স্কুলে আচমকা মা’র কথা মনে হলে চিঠিগুলির কথা অবশ্যম্ভাবী সামনে এসে গেছে। আবার বাসায় ফিরে যথেষ্ঠ নিরালা পরিবেশ আর সাহসের অভাবে সেগুলির খোঁজ করতে পারেনি। পরের দিকে এই নিয়ে নিজের বাহুতে নিজেকে আশ্বস্ত করা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল।
এখন তাকে এই চিঠি খুঁজে বের করতে হবে। নিজের হাত নিজেই কামড়াতে ইচ্ছে করে। কি ভর করেছিল তারমধ্যে, এমন তড়িঘড়ি করে যাওয়ার আগে এই ব্যাগটার অস্তিত্বই ভুলে গেছে! এভাবে রেখে চলে গিয়েছিল কোন ভরসায় যে দীর্ঘ অনুপস্থিতি থাকলেও কিছু খোয়া যাবে না?
ষ্টোর রুমের মুখ থেকে জিনিস সরানো শুরু করলে তার ব্যাগটার কাছে পৌছানো যাবে। নিশ্চিতভাবেই সেটা একদম কোনায় ভেতরের দিকে আছে।
ছাদের গ্রীল গলে হাওয়া এসে ঝাপ্টা দিচ্ছে, টবের গাছগুলি হেলছে। ঝড় আসবে।
একটু সতর্ক হয় নিধি। পেটের ওপরে হাত রাখে।
শরীরে আরেকজনের অস্তিত্বের সংবাদ নিকোলাসের আগে আর কাউকে জানানোর ইচ্ছে নেই তার। তার আগে নিজের যত্ন নিজেকে নিতে হবে। শরীর তার খারাপ নয় মোটেই, এতই অল্পদিন যে কারুর বোঝার উপায় নেই, কেবল ক্ষিদে বেড়ে গেছে।
ষ্টোররুম ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে আরেকটা ইচ্ছে দল মেলে আসে। চিঠিগুলি খুঁজে পেলে একজনকে সব পড়ে শোনাবে নিধি। নিকোলাস বা আর কাউকে এ আবেগ স্পর্শ করবে এমন আশা করে না সে। কিন্তু আর দিন দশেক পরে যখন ফিরে যাবে, তার এপার্টমেন্টের বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে, মিহিলতাকে কোলে নিয়ে তার অস্তিত্বে বাড়তে থাকা একজনকে জোরে জোরে পড়ে শোনাবে, ঝাড়া নয় মাসই সপ্তায় অন্তত একদিন করে শোনাবে।
ষ্টোররুম থেকে বেরিয়ে ছাদে এসে দাঁড়ায় নিধি। চোখ বন্ধ করে বড় শ্বাস নেয়। নিজের ভেতরে একান্ত আরেকজন তার একাকীত্বের অনুভব উধাও করে দিয়েছে! আর কী অপূর্ব আনন্দের অনুভব হচ্ছে তার! নিকোলাসকে এখনি ফোন করার প্রবল ইচ্ছেটাকে দমন করে নিধি।
-‘কি, পাইলি যা যা খুজতেছস?- অয়ন কেন বাড়ি ছেড়ে কোথাও যায় না!
-‘পাবো’- চুলের পনিটেইল টেনে শক্ত করে নিধি।
-‘আমার মনে হয় পাবি না’।
অয়ন কি জানে চিঠিগুলির কথা? বিচিত্র না, এ বাসায় সবকিছু তছনছ করেছে, হাতের কাছে পেয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক না। ওকে জিজ্ঞেস করে জানতে চাওয়া যায়। এতদিন বাদে এ নিয়ে আর আগেকার দ্বিধা নেই নিধির।
অয়ন ততক্ষণে ছাদের দরজা ঠেলে নিচে নেমে গেছে। দরকারের সময় এমন করেই উধাও হয়ে যায় ছেলেটা। আর অয়ন একই রকম, জবরদস্তকারী, নিজেরটা ছাড়া বোঝে না।
নিধি যেদিন আর্ট কলেজে তার ছবিটা ফার্ষ্ট হওয়ার খবর নিয়ে বাসায় ঢুকে হই হই করলো, অয়ন এমন করেই বের হয়ে গিয়েছিল (অয়নের দ্রবীভূত ইর্ষার খোঁজ পেয়েছে নিধি সেদিন)।
কলেজে নিধি ছবি আঁকে, আঁকা তার নেশা। অন্য আর কিছু ভালো পারে না বলে। বন্ধু বান্ধবের ভীড়ে সে মনোযোগের কেন্দ্র কখনোই নয়। পড়া শেষ হলে বড়জোর আঁকা শেখাবে এই রকমের একটা বাসনা।
কম্পিটিশনের ছবিটা আকঁতে গিয়ে রাত জেগেছিল, পর পর বেশ ক’রাত। তার হোষ্টেলের ঘরের আলমারির মধ্যে নিশুতি রাতে একটা ঘুণপোকা ডেকে যেতো, মেরুদন্ড ধরে এলে নিধি বারান্দায় এসে দাঁড়াতো, আকাশ চিরে ছুটে যাওয়া তারার মত অবোধ হাহাকারের কথা মনে পড়ে যেতো।
ইউসুফের কাছে নিধি কৃতজ্ঞ তাকে নিরন্তর খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোর জন্য।
খাতায় অনেকগুলি খসড়া এঁকেছিল। মনমত হচ্ছিল না।
নিজের ওপর ভরসা কমে এসেছিল। ইউসুফ রাগ করেছে।
-‘পুরস্কার পাইতে হবে এমনতো কথা না, জমা দেও, আঁকার ফ্লো থাক’।
খসড়া থেকে না, একরাতে ক্যানভাস নামিয়ে সরাসরি রং তুলি দিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ছবি এঁকেছিল নিধি। একটা বাজার পুড়ে যাচ্ছে। আগুনের মুখ আধখাওয়া বাজারের দিকে ধেয়ে আসছে। লাল আর কালো দিয়ে ধক ধক আর দগদগে শেডের আলোছায়া ফুটিয়েছিল (আসলে যন্ত্রনা ফোটাতে চাইছিল)। ধৈর্য্য ধরে সময় নিয়ে কাজ করেছিল সে, আর তার আশ্চর্যরকম ভালো লেগেছিল।
ছবির জন্য যুৎসই একটা টাইটেল খুঁজছিল নিধি।
‘অগ্নি মনোরথ ’, নামটার জন্যও ইউসুফকে সাধুবাদ দিতে হয়।
ফুপু জোর করে পুরস্কারের পুরো একলাখ টাকাই ব্যাঙ্ক ডিপোজিট করে দিলো। নিধির নিজের কিন্তু খরচ করার শখ ছিল (ফুপুর কাছে তার অশেষ ঋণ- এই টাকাটা পরে প্লেনের টিকেট কিনতে কাজে লেগেছিল)। চিত্রকলার এ প্রথম পুরস্কার তাকে মন্ট্রিয়ালে শর্ট কোর্সটায় ভর্তি হতে সাহায্য করেছে, আর এই শর্ট কোর্স নিধিকে একজোড়া ডানা উপহার দিলো! নিজের জোরে উড়তে পারার ডানা।
***
দেশে ফিরে এসে অব্ধি ষ্টোররুমে একবার উঁকি দিয়েছে। আজকে ফুপু ষ্টোররুমের সামনে একটা টুল রেখে তাকে এককাপ চা দিয়ে কাঁচাবাজার করতে গেছে। প্রথমে ফুপুর খাতাগুলি বাইরে এনে করিডোরে রাখে নিধি। সবকিছু সরাতে পারবে, শুধু ড্রেসিং টেবিলটা সরাতে তার অয়নকে ডাকতে হতে পারে।
তবে কিছু জিনিস বাইরে আনার পর দেখা যাবে এই ভারী জিনিসটা সরানোর দরকার পড়ছে না। খুব সহজে পুরানো স্কুলব্যাগটা তার নাগালে আসবে।
নিকোলাসকে আজকে একটা ফোন করতে হবে (রং মিস্ত্রী তাকে মিস করছে নির্ঘাত)।
ছাদে আসে নিধি। কী ঝোড়ো বাতাস দিচ্ছে! উথাল পাথাল, পারলে তাকেও উড়িয়ে নিয়ে যায়, মেঘ দূরে উড়ে যাচ্ছে, তারমানে বৃষ্টি হবে না। অগুনতি উঁচু নীচু আবাসনের ওপর দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ওড়া তিল মাপের পাখিগুলো দেখতে ভালো লাগে।
নিধি আসলে তার মা’র চিঠিগুলি পড়ে দেখতে তাড়াহুড়ো করতে চায় না। এক রকমের স্থৈর্য্যে উপনীত হয়েছে সে, যা তাকে এখনো জমানো পাতার স্তুপ দেখলে দাঁড় করায়, লুকিয়ে চারপাশ দেখে নিয়ে পা দিয়ে উড়িয়ে দিলে তার ভেতরে বেজে যাওয়া ম্রিয়মান গানের সুর উচ্ছাসী হয়ে ওঠে।
জেদের আড়ালে জেগে থাকা বাবাকে দেখার ইচ্ছের কাছে আবার কাবু হতে শুরু করে নিধি।
চা এর কাপ নিয়ে ছাদে এসে মোড়ায় বসে নিধি। পেটের ওপরে হাত রেখে মন নরম হয়ে আসে নিধির। মা’র চিঠিগুলিতে যেমন অজানা অধ্যায়ের খোঁজ করতে চায় সে, বাবার কাছে গিয়েও তো দৃশ্যান্তর জেনে নিলে হয়। আসার পর থেকে ফুপু অন্তত ফোন করে কথা বলার আর্জি জানিয়ে যাচ্ছে। বাবার ফোন নম্বর নেবে, নাকি ফুপুকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হয়ে যাবে তার ঠিকানায়? কোনটা ভালো হয়!
এখনো কত অগুনতি আধভাঙ্গা সাধ তুলে জোড়া দিতে ভালোলাগে তার (যদিও বেশির ভাগই বেখেয়ালে দৌড়ে চলে যায়)। কখনো কখনো এই খেলার মধ্যে সে ফণা তোলা গৃহপোষী সাপও দেখে ফেলে। সাপের চোখে চোখ রেখে স্থির হয়ে বসে তার জীবনের পুতুল খেলার পরম্পরা খুলে দেখতে ইচ্ছা করে তার।
সে কারণেই মা’র চিঠিগুলি পেতে চায় সে। বাবার মুখোমুখী হতে চায়। তারপর কাটাকুটি করে ইরেজার দিয়ে যদি মুছে দিতে পারা যায় দূরাগত শূন্যতার ভার, যেখানে একটা পাখাখোলা রাজহাঁস, কদাচিৎ একদম হাতের বেড়ের মধ্যে পায় নিধি! আর যখন পায় না তখন সেদিকে তাঁকিয়ে থাকে বুভুক্ষের মতন, যতক্ষণ না তা দীর্ঘ-ভাসমান ছায়া হয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে।
“When I let go of what I am, I become what I might be.”
― Lao Tzu
নাহার মনিকা
উৎকর্ষের দিকে মনযোগী লেখকদের তালিকায় নাহার মনিকা একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য নাম। ঈদসংখ্যা ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’-য় কবিতা দিয়ে নাহার মনিকা’র লেখা প্রকাশের শুরু। তারপর দীর্ঘদিন ধরে লিখছেন দেশের জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায়। কবিতা, ছোটগল্প এবং উপন্যাস নিয়ে এ যাবৎ প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ছয়।
উপন্যাস— ‘মন্থকূপ’ (বৈভব প্রকাশন, ২০১৯), ‘বিসর্গ তান’ (বেঙ্গল পাবলিকেশন্স ২০১৬)।
গল্পগ্রন্থ—‘দখলের দৌড়; ( পুথিনিলয় ২০১৯), ‘জাঁকড়’ (দিব্যপ্রকাশ, ২০১৪), এবং ‘পৃষ্ঠাগুলি নিজের (দিব্যপ্রকাশ, ২০১১)। ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ চাঁদপুরে আমাদের বর্ষা ছিল’(বাংলামাটি প্রকাশন)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Health Policy, Planning & Financing এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়েছেন। বর্তমানে ক্যানাডা’র ক্যুবেক প্রদেশে সরকারী স্বাস্থ্যবিভাগে কর্মরত আছেন।
লেখালেখি নাহার মনিকা’র কাছে অপার স্বাধীনতার জগৎ, যেখানে লেখক একমেবাদ্বিতীয়ম।