প্যানোরমা
তোমাকে দেখতে আকাশে রেখেছি চোখ
তোমাকে শুনতে বাতাসে পেতেছি কান!
হাজার তারায় খুঁজেছি তোমাকে
চাঁদের অবর্তমানে;
তোমার জন্য রচনা করেছি গান।
তুমি কি কাহারো প্রাণের সারথি … আদৌ
… সত্যি সত্যি … বলো ! শুনছ কি সুদূরতমা….
নাকি এ হৃদয় শুধুই এঁকেছে …
স্বপ্নের প্যানোরমা !
সিম্ফোনি
শ্রবণেন্দ্রিয়ের সঙ্গে হৃদযন্ত্রের যে অন্তর্যোগ, তা বুঝলাম
তোমার কণ্ঠস্বরে ! তোমার সে সিম্ফোনি ছিল অনিবার্য মৌল তার !
ভোকাল থেকে শ্রুতি, এবং তা থেকে ঠি-ক সংবেদন, কী অভূতপূর্ব ;
অন্তরোধীত এ পুরো প্রকল্পটি থেকে যা প্রমাণিত হয়;
না কোনো গান নয়,
না বিটোফেন,বাখ, রবীন্দ্রনাথ,
না নজরুলের ক্লাসিক্যাল কোনো সুর ! তোমারই কণ্ঠনিঃসৃত মধু
শুধু, একটি ভীষণ মহৌষধ হতে পারে; এ পৃথিবীতে, কতো
বিপর্যয়ে নুয়ে পড়া, ক্লান্ত-ক্লান্ত মন, কতো আশা, স্বপ্ন তার উড়ে গেছে, পায়নি সে শুশ্রূষার ভাষা !
পাখির চোখের মতো এমন কারো চোখে,
দূর আকাশের তুমি কি সে-ই তারা ছিলে কিনা,
প্রেম অপ্রেমের অধিক সত্যে, নীল—যেখানে আদিগন্ত বেদনাবিধুর !
প্রাণসূত্র
অঙ্ক সূত্রে বস্তু মিলেছে ঢের
আজ তাহলে প্রাণসূত্রে, প্রাণ-রহস্যে যাবো
কাবেরী না সরস্বতীর, কোন সে নদীর পারে !
ডাক দিয়েছে প্রাণ সজনী, প্রাণের অঙ্গীকারে !
প্রেম
মিথ্যায় মন, যেমন নিষ্ঠুর হয় ;
প্রেমের হৃদয় তেমনই কোমল !
কারণ,
প্রেম চিরকাল সত্যনিষ্ঠ
মিথ্যাচরণ নয় !