আনোয়ারা সৈয়দ হকের প্রেমের কবিতা: সহজ স্বরূপে আঁকা চিরায়ত সুর

জুনান নাশিত

আনোয়ারা সৈয়দ হকের লেখার সাথে আমার প্রথম পরিচয় তাঁর `নিঃশব্দতার ভাঙচুর’ বইটি দিয়ে। আমি তখন স্কুলে নিচু ক্লাসের ছাত্রী। বইটির রাবেয়া চরিত্রটি আমার মনোযোগ কেড়ে নিয়েছিল বেশ। এর পর একে একে লেখকের অনেক লেখাই পড়া হয়েছে। বিশেষ করে কোন ম্যাগাজিন, ঈদ সংখ্যায় তার যে কোন লেখা থাকলে তা আমি আগেভাগেই পড়ে নিই। ভালো লাগে। তার মসৃণ ভাষাভঙ্গি আর গতিময়তা সত্যিকার যে কোন পাঠককে আকৃষ্ট করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

আনোয়ারা সৈয়দ হক একাধারে ঔপন্যাসিক, শিশু সাহিত্যিক, ভ্রমণগদ্য লেখক, প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক। পেশায় তিনি বিখ্যাত এবং অভিজ্ঞ একজন মনোবিজ্ঞানী। এতো এতো পরিচয়ে পরিচিত আনোয়ারা সৈয়দ হক কবি হিসেবেও যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখেন।

খুব বিনয়ের সঙ্গেই বলছি, একজন ঔপন্যাসিক হিসেবে তাকে যতোটা জেনেছি তার কবিতার খোঁজ খবর আমার তেমন রাখা হয়নি। তবে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেছেন অনেক পরে। তার মধ্যবয়স থেকে। কবি একদিন নিজেই বলেছেন, কবিতা তাকে তাড়িয়ে ফিরতো। কিন্তু নানা কারনে তার লেখা হয়ে উঠতো না। কিন্তু কবি মাত্রই জানেন কবিতা যদি একবার করো ওপর ভর করে তাহলে এতো সহজে কি তার নিস্তার মেলে? না মেলে না। আনোয়ারা সৈয়দ হকেরও মেলেনি। তাই কবিতা লেখার তাড়নাকে তিনি রুখতে অক্ষম হলেন। শুরু করলেন মধ্য বয়স থেকে কাব্যচর্চা। যা চলমান আজও।

সাহিত্য সংগঠন ‘কালি’ প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে স্বরচিত কবিতা পাঠের আয়োজন করে। এ বছরও যথারীতি আয়োজনটি ছিল। আনোয়ারা সৈয়দ হক এ অনুষ্ঠানে কবিতা পড়েছিলেন। তার কবিতা শুনে চমকে উঠেছিলাম। কিছুটা নড়েচড়েও বসলাম। তার গদ্যের হাত এতো সাবলীল আর সুন্দর, বক্তব্য রাখেন সরস ভাষায়। কবিতাতেও তিনি সরল আর উদার সৌন্দর্যকে যেভাবে অকপট ভাষায় তুলে ধরেছেন তাতে চমকে উঠাটাই স্বাভাবিক।

আনোয়ারা সৈয়দ হকের এ যাবত প্রকাশিত শতাধিক বইয়ের মধ্যে কবিতার বইয়ের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। উল্লেখযোগ্য কবিতা বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘মেয়ে হয়েছি বেশ করেছি’, ‘কিছু কি পুড়ে যাচ্ছে কোথাও’, ‘আমার শয্যায় এক বালিশ-সতীন’, ‘তুমি এক অলৌকিক বাড়িওলা’, ‘কাল খুব কষ্টে ছিলাম’, ‘তুমি আগে যাবে না আমি’।
এছাড়া আগামী প্রকাশনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করেছে তার ‘৫০ প্রেমের কবিতা’। প্রকাশ হওয়ার পথে রয়েছে তার নির্বাচিত কবিতা।

শিল্প-সাহিত্যের নানা শাখা আমাদের অন্তর্নিহিত বোধ উন্মোচনের এক একটি মাধ্যম। কেউ হয়তো একটি পথকেই বেছে নিয়ে তাতেই আলোর ফুলকি ছড়ান। কেউবা একাধিক পথে হাঁটেন। প্রকাশের জন্যে কখনও কখনও একটি মাধ্যমই যথেষ্ট হয়ে ওঠে না। সব ধরনের প্রকাশ সব মাধ্যম সমানভাবে ধারণও করতে পারে না। তাই দরকার হয়ে পড়ে একাধিক পথ বেছে নেয়ার। হৃদয়ের অলিগলির এমন কিছু ভাব, এমন কিছু ব্যাকুলতা যা উপন্যাস কিংবা অন্য কোন ধরনের গদ্যে সম্ভব হয় না। আবার হয়তো লেখক বৃহৎ প্রেক্ষাপটে কোন জনজীবন কিংবা ইতিহাস আখ্যানকে তুলে আনতে চাচ্ছেন তখন হয়তো তিনি মাধ্যম হিসেবে উপন্যাসকেই বেছে নিচ্ছেন। শিল্পী কখন কিভাবে কোন মাধ্যমে কাজ করবেন তার গতি প্রকৃতি নির্ধারিত হয় তিনি মূলত কি ধরনের প্রকাশে উন্মুখ হয়ে আছেন তা দিয়ে।

কবিতাতো জীবন অভিজ্ঞতারই সারৎসার। অভিজ্ঞতা এবং ভাবকে শব্দের কারুকাজ দিয়ে বিনির্মাণ করাতো কবিতারই কাজ। তবে এ শব্দের কারুকাজে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি। আনোয়ারা সৈয়দ হকের ‘৫০ প্রেমের কবিতার’ বইটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল হৃদয়ের অন্তর্গত জিনিস প্রেম, তাকে অস্বীকার করার সাধ্য কোন রথী মহারথীরই নেই। প্রেম একান্ত হৃদয়ের জিনিস। তাই এর প্রভাব জীবনে ক্ষুরের চেয়েও তীক্ষ্ন ও তীব্রতর। যেমন আনন্দে তেমনি বেদনায়।

এই আধুনিক সময়ে প্রেমের কবিতায় সহজিয়া বোধের খুব একটা প্রকাশ দেখি না। আড়াল আর ইঙ্গিতের কারুকাজে কোথায় যেন প্রেম নামক গভীর বোধের তলানিতে কিছু ঘোলাজল সাঁতরানোর কসরত দেখি। কিন্তু এ কবির কবিতায় প্রেম খুবই তরতাজা, কোমল আর চিরায়ত। হৃদয়ের কারুকাজে যে ঘনঘোর উন্মীলন তার স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ তার প্রতি কবিতাতে। এখানে তিনি রাশভারি কেউ নন। যেন তিনি প্রেমের দ্বৈরথে একান্ত আবেগীয় ঝড়কে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে দিতে চান না। বরং তাকে উড়িয়ে বাড়িয়ে উন্মুক্ততার আঁচলে জড়িয়ে অকপট আর আনন্দিত রাখতে চান। হৃদয় প্রকাশে তিনি তার কবিতায় চাতুর্যের কোন খোলস রাখেননি। এমনকি সৌজন্যের মিথ্যে ঐতিহ্যকেও তিনি লেপ্টে দেননি তার কবিতায়। বরং স্পর্শযোগ্য এসব কবিতায় হৃদয়ের স্ফূরণকে একান্ত নিজস্ব ভঙ্গিমায় অনুরণিত হতে দেখি। হৃদয় অভিজ্ঞতা আর স্মৃতির রসায়নে তিনি একান্তভাবে নিজস্ব অনুভবকেই বাস্তবের চেয়েও অধিক বাস্তব করেই তুলে ধরেছেন। কারন জীবন যেমন বাস্তব প্রেম ততোধিক এক বাস্তবতা। প্রেম তো জীবন বৃক্ষে লতিয়ে ওঠা সেই মাধবী ঝাড় যার সুবাস আমাদের অস্থির করে, আপ্লুত করে। আবার অকালে তাকে হারিয়ে ফেলার হাহাকারে মনপ্রাণ কঁকিয়ে ওঠে।

প্রশ্ন আসে মানুষের জীবনে কেন এতো হাহাকার? কেন মানুষ নিজেকে প্রকাশে এতো উন্মুখ হয়ে ওঠে? কোন অব্যক্ত বেদনা তাকে দিয়ে লিখিয়ে নেয়, আঁকিয়ে নেয়?
আসলে পৃথিবীতে মানুষ তার চির আকাঙ্খিত অনেক কিছুইকেই ধরে রাখতে পারে না। না প্রিয়জন, না প্রিয় বিষয়। প্রার্থিত বিষয়কে সে আকঁড়ে ধরে প্রবলভাবেই। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না ।তার হাতের মুঠো ফসকে সুন্দর উবে যায় সেই সুদূর নীল দিগন্ত ছাড়িয়ে। সময়, জীবন, প্রেম সব কিছু বদলে বদলে যায়। আর মানুষ হারানোর বেদনায় কুঁকড়ে ওঠে। সে অবলম্বন খোঁজে। পেতে চায় মনোবৈকল্যের মহা ঔষধ। আর একইসঙ্গে হাতড়ে ফেরে তার হারিয়ে ফেলা শৈশব, যৌবন, প্রেম প্রেরণা আর প্রার্থিত জনকে। এ খোঁজার যেন শেষ থাকে না।

তাইতো বিখ্যাত উর্দু কবি মীর তকী মীর বলেছেন, “প্রতি পদক্ষেপে ছিল মনজিল, কিন্তু খুঁজে বেড়াবার পাগলামিটা গেল না।”এ পাগলামি যতক্ষণ, ততক্ষণই গান, ততক্ষণই কবিতা, চিত্রকলা ইত্যাদি। কিন্তু যাপিত জীবনের বাস্তবতা এতো সহজে কি খুঁজে বেড়াবার পাগলামিকে অনুমোদন দেয়? দেয় না। আর দেয় না বলে কতোজনকে কতোভাবে এ প্রকাশ উন্মুখ পথ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হয়। আর যিনি সরতে চান না তাকে হতে হয় লড়াকু। এ লড়াই মনস্তাত্বিক লড়াই। যা দৃশ্যমান নয়।

আনোয়ারা সৈয়দ হককেও কি বাস্তবতার কতো শত বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে সৃষ্টিশীল রথকে টেনে নিতে হয়নি? হয়েছে নিশ্চিয়ই। তিনি পরাভব মানেন নি। সৃষ্টিমুখর থেকেছেন, এখনও আছেন। এমনকি বয়সও তাকে হারিয়ে যেতে দেয়নি। ফুরিয়ে যেতে দেয়নি।
তার প্রেমের কবিতাগুলো পড়ে বার বার মনে হয়েছে তিনি চির তরুণ। প্রেমের তুমুল সিম্ফনি তার কবিতার জমিনকে করেছে শীতল, শান্তিময় আর প্রগাঢ় সবুজ। তার কবিতায় শাশ্বতের যে প্রেম তা অনাবিল আর সৌকর্যময়। কবিতায় যৌন-অযৌন তীব্রতা, ঈর্ষা, কাতরতা, হাহাকার, সমর্পণ সবকিছু জান্তব আর বাস্তব হয়ে সরলরৈখিক ধারায় বিবৃত হয়েছে, ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যেন সাদা জমিনে ছড়িয়ে পড়া সুবাসিত গোলাপের আসর।
কবি এখনও প্রেমময়। ফুরিয়ে না যাওয়ার বিষয়টি তিনি এভাবেই জানান দেন তার ‘এখনো পারেনি’ কবিতায়,“এখনো যাইনি ঝরে/আঁকড়ে রেখেছি ধরে এখনো প্রশাখা/বাইরের সবকিছু ঝুরো ছুরো, বাইরে আকাল/এখনও আঁকড়ে আছি কিছু ভালোবাসা/ আর কুমারীর প্রেমটিও কিছু।”

কুমারী হৃদয়ের আকুল অনুভব প্রায় সবগুলো কবিতার ছত্রে ছত্রে।তবে কুমারীর ভীরুতাকে তিনি সহজেই জয় করতে পেরেছেন। ব্যক্তি মানুষ হিসেবে কবি যেমন সাহসী ও বুদ্ধিমতী তেমনি কবিতার নীরব শয্যাতেও তার অদম্যতার অনাবিল স্ফূরণ বোধের টংকারকে টনটনে করে তোলে।

কবি ‘আসবে, তাহলে এসে যাও’ কবিতায় বলছেন, “আসবার আড়ালে থাকে যে সংশয়গুলো/জোর করে পকেটের খোলে ভরে ফ্যালো/সাহসের রেণুগুলো মেখে নাও হাতের আঙুলে/আবেগের ঝুঁটিগুলো বেঁধে নাও রঙিন রুমালে/দুর্ভিক্ষ, মড়ক, বসন্তের মা শীতলা/ আর সব দ্বিধা ভয় ঘৃণা/আগুনের লেলিহান শিখা হয়ে যাক/যদি আসবেই, তবে এসো যাও দ্রুত।”

প্রেমে কি কেবল আবাহনই থাকে? থাকে অনুরাগ? বিরাগ বিসর্জনও সমানুপাতিকভাবে প্রেমকে ক্ষতাক্ত ও কম্পমান করে। হাহাকারে দীর্ণ হৃদয় যে ক্রন্দন মিছিল তৈরি করে প্রেমিক হৃদয়ই কেবল তার মর্মার্থ অনুধাবন করতে পারে।

কবি যেমন ‘তোমার মন খারাপ এ কথা শোনার পর’ কবিতায় বলছেন, “তোমার মন খারাপ-এ কথা শোনার পর/আমি সারারাত বিছানার এ পাশ ওপাশ করি/মাঝখানে ছ’হাজার মাইলের নদী/কীভাবে তোমাকে ছোঁব?/আমার ভেতরে শুধু ক্রন্দন।…….তোমার মন খারাপ, আমি কি ছ’হাজার মাইলের নদী হতে পারি?”

আবার প্রেমের ঘনঘোর জলতরঙ্গে খাবি খাওয়া হৃদয়কে খামচে ধরে ছ’হাজার মাইলের নদী হতে চাওয়া কবির আবেগতাড়িত উচ্চারণ এ রকম,“তুমি কাছে এসে দাঁড়ালে আমার মাথাটা খারাপ হয়ে যায়/সময়ের গরমিল হতে থাকে চারিদিকে/দুপুর না রাত, গোধূলির সোনা, নাকি জমাট চাঁদের জোছনায়/আকাশের নীল চাদর, নাকি উন্মূল বাতাস/নাকি নৌকায় বিশাল সেই পালতোলা সুখ/নাকি প্রেম, নাকি গন্ধ সুঠাম দেহের/অথবা আরেক সুন্দর, ভেতরের আরেক ভেতর…” (তুমি কাছে এসে দাঁড়ালে, ৫০ প্রেমের কবিতা, পৃষ্ঠা ৫৯)

কবি শঙ্খ ঘোষ বলেছেন,“হাতের উপর হাত রাখা খুব সহজ নয়/ সারা জীবন বইতে পারা সহজ নয়/ এ কথা খুব সহজ, কিন্তু কে না জানে/সহজ কথা ঠিক ততটা সহজ নয়।”
প্রেম বা প্রণয় এমন এমন এক সংযোগ যার প্রভাবে মানব মানবীর রোমান্টিক সত্তা পুরোপুরি আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ আচ্ছন্নতাকে একটা দীর্ঘ সময় ধরে বইয়ে নিয়ে যাওয়া রীতিমতো দুস্তর ব্যাপার। হাতের উপরে হাত রাখা যেমন সহজ হয় না, তাকে বইতে পারাও সত্যিই সহজ নয়। আরো সহজ নয় তার অকপট ও নিটোল প্রকাশ। হোক কবিতা কিংবা অন্য কোন কিছু।

সহজ কথা সহজভাবে বলতে না পারার দুস্তরতাকে বেশ সহজিয়া ভঙ্গিতে ভেঙে চুরে কবি ‘ভালোবাসি বলে’ কবিতায় যখন বলেন, “নতুন বালির চর বৃষ্টিতে যেমন জেগে ওঠে সমুজ্জল/অথবা যেমন ভিজে যায় শালিকের নতুন যৌবন/সুরের চমকে/তেমনি ভালোবেসে যাই তোমাকে/ভেতরের ভাঙচুর অবিরাম নষ্ট করে প্রেম/তবু তোমাকে আমি ভালোবেসে, ভালোবেসে, ভালোবেসে,/ক্লেদ, গ্লানি, দুঃখ, তিরি সব পার হয়ে যাই” তখন এর সরল সৌন্দর্যে মুগ্ধ হৃদয় স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয় রবিঠাকুরের এ উক্তিকে,“রূপ সবারই চোখে পড়ে কিন্তু রূপের মাধুরীতো সবার কাছে ধরা দেয় না।”

আনোয়ারা সৈয়দ হক পরিমিত বোধের, নিটোল আর সহজিয়া ধ্যানের যে প্রেমের কবিতাগুলো লিখেছেন তার জন্যে তাকে অভিনন্দন। তার কবিতার হাত আরো গতিময় ও ক্ষুরধার থাকবে,তিনি যেন এ প্রেম বইয়ে নিয়ে যেতে পারেন জীবনের শেষ নিশানা পর্যন্ত এ আশা দিগন্ত বিস্তৃত হোক।

জন্মদিনে কবির জন্যে অনেক অনেক শুভ কামনা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

 

জুনান নাশিত

জুনান নাশিত, কবি ও প্রাবন্ধিক
উত্থান: নব্বই দশকের শেষ দিকে
জন্ম: ১ অক্টোবর, ১৯৭৩, কুমিল্লায়
পেশা: সাংবাদিকতা, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত।
শিক্ষা: অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর।
প্রকাশিত গ্রন্থ: কাব্যগ্রন্থ: কুমারী পাথর, অন্য আলো অনেক দূরের, পলকাটা অন্ধকার, বাতাসে মৃত্যুর মায়া, কাঁটাঘন চাঁদ, জলন্ত ভ্রুণ।
প্রবন্ধ: রোগশয্যা ও রবীন্দ্রনাথ, দুই বাংলার কথা ও কাব্য
সম্পাদনা: আবুল হোসেন, কবির পোর্ট্রেট
ছড়াগ্রন্থ: ব্যাটে বলে ছক্কা, হরেকরকমবা।
কিশোর উপন্যাস: বেগুনি অ্যাম্বুলেন্স
কিশোর গল্প: ভূতের নাতি ওঁ চিঁ
গল্পগ্রন্থ: তিথি ও একটি আঙুল
পুরষ্কার: মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণ স্মারক ২০১৬জুনান 
নাশিত, কবি ও প্রাবন্ধিক

Facebook Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top