মিতুল দত্ত
এক.
পরিত্রাণহীন ট্রেনে আমাদের ছোট্ট জানাশোনা
শেষ হয়ে এল দ্রুত, রুক্ষতাসর্বস্ব দেশ
মেলে ধরলো জবুথবু নদী
হাওয়া উড়ে গেল মৃদু
উড়ে গেল রঙিন কাঁচুলি
ছোট স্টেশনের নাম, যাতায়াতে পড়ে রইল শুধু
দুই.
কোথাও মাজার নেই, দু’পাশে ছড়ানো শুধু বালি
তবু যেন ছায়া কেউ শুয়ে আছে এখানে পরম
রেখেছে আজান তার কুয়াশাস্তিমিত চরাচরে
কালো বুনো-মহিষের পিঠের মতন দিন
মসৃণ গড়িয়ে চলে এল
আমাদেরও এসে গেল প্রিয় জল, অবগাহনের
তিন.
বুঝি বা কাঁকন ছিল হাতে সেই ভীল রমণীর
নীচু হয়ে চলে গেল গাঢ়তম পাহাড়ের পথে
যে পথে রাজার ঘোড়া চলে গেছে
যে পথে আগুন
রাজমহিষীর দেহে ধিকিধিকি জ্বলেছে আশ্লেষে
আমি সে পথের দিকে চেয়ে থাকি আর
আমাকে জড়িয়ে ধরে আদিকাল থেকে ওঠা হাওয়া
ভীল রমণীর কোলে কুল ও কলঙ্কহীন
বাপ্পাদিত্য বড় হয়ে ওঠে
চার.
আমার রাজার দেশ ফসলের দক্ষিণ মেরুতে
প্রদক্ষিণ সেরে তার জ্বলন্ত মুখের কোলে
মুখ রাখি আমি
হলুদ শস্যের স্নেহে ভরে যায় যেন এই চুম্বনের রাত
এই রাত, বাসনাপিচ্ছিল
এই রাত, অযুত রাতের
অপেক্ষার চেয়ে হোক দীর্ঘতর শান্তির প্রয়াস
শান্তি যা জেনেছি আমি
রান্নাঘরে, ব্যঞ্জনের কাছে
সমস্ত সম্পর্ক এক যথাযথ নুন দাবি করে
শান্তি, যা জেনেছি আমি উনুনের কাছে
সমস্ত রান্নার শেষে কিছুই থাকে না শুধু
আগুন নিভিয়ে দেয় জল
আমাদের জল নেই এই পোড়া শস্যহীন মাঠে
অনীহা সম্বল
পাঁচ.
সময় আমাকে নাও
আমি নিই তোমার নিগম
আহত উটের পায়ে
বিঁধে থাকা কাঁটার মতন
সময় আমাকে তোলো
সম্পর্কের রক্তারক্তি থেকে
আমার শরীর ঘিরে
যত মাটি জমেছে জন্মের
যেভাবে ছিঁড়েছি আমি
নষ্ট সব নাভি-পদাবলী
যেভাবে আমার প্রেম
আমাকে বিপদে নিয়ে গেছে
আমি সেই পদবিম্ব
ধুয়ে আসি কালিন্দীডহরে
সময়, আমাকে নাও
আমাদের মৃত পর্যটন…
“যেভাবে আমার প্রেম
আমাকে বিপদে নিয়ে গেছে
আমি সেই পদবিম্ব
ধুয়ে আসি কালিন্দীডহরে” …
– ভালো লেগেছে দিদি 🙂
thanku babu…:)
Beautiful piece of poetry…
thanks Dibyendu…
আমাকে আগে না পড়িয়ে এখানে দিয়েছিস… যাস্সালে, পড়বই না।
না পড়ে লাইক দেওয়ার জন্য তোর বাইশ বছর জেল আর সাড়ে এগারোবার ফাঁসি হবে…