দ্য বুক অব কোয়েশ্চেনস থেকে কিছু কবিতা
অনুবাদ: রায়হান রাইন
৪.
স্বর্গে কতগুলো গীর্জা আছে?
হাঙর কেন বেশরম সমুদ্রমোহিনীদের
আক্রমণ করে না?
ধোঁয়া কি কথা বলে মেঘেদের সঙ্গে?
এটা কি সত্য যে আমাদের বাসনা
সিক্ত হবে শিশিরে?
৩৯.
তুমি কি সমুদ্রের হাসিতেও
বিপদ টের পাও না?
তুমি কি পপিফুলের খুনরঙা আঁশগুলোর ভেতর
একটা হুমকি দেখতে পাও না?
তুমি কি দেখ না যে আপেল গাছগুলো ফুল ফোটায়
কেবল আপেলের ভেতর মরবার জন্য?
বিস্মৃতির বোতল ভরতি হাসি পরিবৃত হয়ে
তুমি কি কাঁদো না?
৪০.
মিশন শেষে রোমশ শকুন
কার কাছে দাখিল করে প্রতিবেদন?
একটা নিঃসঙ্গ মেষের বিষণ্নতাকে
তারা কী বলে?
কী ঘটে ঘুঘুর বাসায়
যখন তারা গান গাইতে শেখে?
মাছিরা মধু বানাতে শিখলে
সেটা কি বিব্রত করে মৌমাছিকে?
৪৯.
যখন আমি সমুদ্রকে দেখি আরেকবার
সমুদ্রও কি আমাকে দেখতে পায় নাকি দেখে না?
ঢেউগুলো কেন একই প্রশ্ন আমাকে জিজ্ঞাসা করে
যা আমিই তাদেরকে জিজ্ঞাসা করি?
এবং কেন তারা পাথরগুলোকে আঘাত করে
এত বেশি নিস্ফলা উচ্ছ্বাস দিয়ে?
তারা কি বালির প্রতি তাদের ঘোষণার
পুনরাবৃত্তি করতে করতে ক্লান্ত বোধ করে না?
৭৪.
ডালপালার ভেতর কেন সে থেকে যায়
পাতাঝরার দিন অব্দি?
আর তার হলুদ ট্রাউজারগুলো
কোথায় ঝোলানো থাকে?
এটা কি ঠিক যে কোনো কিছু ঘটবে
হেমন্ত এই অপেক্ষা করে?
একটা পাতা কেঁপে উঠবে কিংবা
মহাবিশ্ব চলতে থাকবে এজন্য কি?
মাটির নিচে কি একটা চুম্বক আছে,
হেমন্ত যার ভাই?
মাটির নিচে কখন গোলাপের
নিয়তি ধার্য হয়?
(উইলিয়াম ও’ড্যালির ইংরেজি অনুবাদ থেকে)
তুমি কি দেখ না যে আপেল গাছগুলো ফুল ফোটায়
কেবল আপেলের ভেতর মরবার জন্য?
বিস্মৃতির বোতল ভরতি হাসি পরিবৃত হয়ে
তুমি কি কাঁদো না?…
ভারি ভালো লাগল আপনার অনুবাদ রায়হান…