মূল:খলিল জিব্রান
অনুবাদ: কৌশিক ভাদুড়ী
উনবিংশ শতকের শেষ ভাগ থেকে বিংশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত যে আরব কবি আধুনিক আরব দুনিয়াতে প্রথম মুক্তচেতনার অভিযাত্রী তিনি খলিল জিব্রান। পুরো নাম আরবি উচ্চারণে ‘ খলিল জুবরান’। ১৯১৮-এ ওনার ম্যাডম্যান কবিতাটি আমেরিকায় প্রকাশিত হয়। কবিতাটি বাংলায় অনুবাদ করার একটি চেষ্টা করছি মাত্র – কৌ. ভা.।
পাগলা
কী বললে– কী করে পাগল হলাম?
বলছি রোসো।
দেবতাদের জন্মানোর বহু আগে একদিন
ঘুম ভেঙে দেখি– চুরি হয়ে গেছে
আমার সব কটা মুখোশ।
সাত জন্মে পরার আমার সাতটা মুখোশ
চুরি হয়ে গেছে।
আমি এখন কী করি?
মুখোশহীন হয়ে ভরা রাস্তায় প্রকাশ্যে দৌঁড়াই।
চিত্কার করতে থাকি– চোর, চোর।
চোরে নিয়ে গেল আমার সর্বস্ব।
রাস্তায় লোকে হাসতে লাগল।
কেউ কেউ ভয়ে ঘরে কপাট দিল।
ছাদের ওপর থেকে একটা ছেলে
বলে উঠলো– লোকটা পাগল।
আমি ওপর দিকে তাকালাম।
সেই প্রথম– সূর্য আমার মুখে
চকাস করে চুমু খেল।
আমার মন উজাড় হয়ে গেল
সূর্যের প্রতি ভালোবাসায়।
আমার আর মুখোশ চাই না।
আমি স্বপ্ন দেখতে থাকলাম।
ঘোরের ভেতর বলে উঠলাম–
ঐ চোরগুলোর ভালো হোক!
এই ভাবেই পাগল হয়েছিলাম।
আমি একহাতে ছুঁলাম মুক্তির একাকীত্বকে।
অন্য হাতে মুক্তচেতনার
টুঁটি টিপে মারা শরীর,
যা আমি এতদিন বাজারে বেচেছি
বোধগম্যতার পাতায় মুড়ে,
অনেক মানুষের অলীক আতপের
নিরাপত্তার বদলে,
যা আমাকে রেখেছিল ক্রীতদাস করে।
জেল ভেঙে বেরিয়ে এসে
আমি আর নিরাপদ নই, আমি জানি।
আমি জানি জেলখানায় চোরেরা নিরাপদ
অন্য চোরের হাত থেকে।
আমার প্রিয় কবিদের মধ্যে খলিল জিব্রান একজন। কৌশিক ভাদুড়িকে আন্তরিক ধন্যবাদ যে তাঁর কবিতা অনুবাদ করেছেন এবং সাহিত্য ক্যাফেতে তা প্রকাশিত হয়েছে। আমি খুশি হবো কৌশিক যদি খলিল জিব্রানের অনুদিত কবিতা ‘পলিমাটি’তে প্রকাশ করার জন্য পাঠান।
তালিব বাশার নয়ন
সম্পাদক
পলিমাট
ত্রৈমাসিক লিটল ম্যাগ
(কৃষি-প্রকৃতি-পরিবেশ-প্রান্তসমাজ-গণসংস্কৃতি)
৪২ মাগুরা রোড (নিচতলা), ঝিনাইদহ-৭৩০০
মোবা: ০১৭১৫-২৫১ ৭১৯
ইমেইল: [email protected]
[email protected]