সমীর রায়চৌধুরী
যারা আস্ত রসগোল্লা একবারে মুখে পুরে দেয়
আর যারা ছোটো করে ভেঙে থেমে থেমে খায় অথবা
চারটে দিলে এক-আধখানা শেষমেষ এঁটো প্লেটে ফেলে রাখে
সেই সব আচরণের সামাজিক অবস্হান নিয়ে ভাবতে পারেন রোঁলা বার্থ
তিনি বঙ্গ-সংস্কৃতির রসগোল্লার সঙ্গে পর্তুগিজ অভিযাত্রীদের
মিষ্টান্নপ্রীতির খুঁটিনাটি সূত্রগুলি জানেন, যেভাবে রসগোল্লার সঙ্গে
ইউরিয়া বা চিনি-কেলেঙ্কারির হদিশ রাখেন স্বাধীনোত্তর সাংবাদিক-লবি
অথবা বাতাসার সঙ্গে ঈশ্বরের আরাধনার যোগসূত্র জানতেন পতঞ্জলি
রসগোল্লার সঙ্গে কমলাভোগের বা রসমুণ্ডির পার্থক্যকে
হালুইকর ও মোদক সম্প্রদায়ের জাতিগত ইতিহাসের দিক থেকে
দেখা হবে কি না সে-বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কে অনায়াসে
নিয়ে যাওয়া যেতে পারে পিছড়া-বর্গ আন্দোলনকারীদের কাছে
আর অতিমাত্রায় রসগোল্লা খাওয়ার প্রতিযোগীতার সঙ্গে
বস্তুবাদী দ্বান্দ্বিকতার সম্পর্কসূত্র একসময়ে জানতেন মাননীয় সুভাষ চক্রবর্তী
অবশ্য ভবপাগলা বলে গেছেন রসগোল্লার সঙ্গে আমেজে
গোল্লায় যাওয়ার সম্পর্ক নিছক রসবোধের যার জ্যামিতিক
সাদৃশ্য-বর্ণনা পাওয়া যাবে গোল-গল্পে বা গোল-কবিতায় তবে
লেডিকেনির বদলে যাঁরা রসগোল্লা ভালোবাসেন
হলফ করে বলা যায় তাঁরা কোনমতেই আর যাই হোন বর্ণবিদ্বেষী নন
কেননা আগ্রহের বা উদগ্রীবের যাবতীয় কূটরহস্য রাখা আছে
লোকায়ত অন্ধকারে উৎবিড়ালেরা অহোরহ যেখানে অতর্কিতে হানা দেয়…
সাহিত্যকাফের কাছে প্রত্যাশা তাঁরা যেন রসগোল্লা ও লেডিকেনি দুটোই পর্যায়ক্রমে পরিবেশন করতে থাকেন. আমরা যারা পরের পরের প্রজন্ম দুটোরই গুণমান সম্যক জানতে চাই!