১
পোক করেছে আশফোক
তুমিও তাকে করো পোক
আসমানে একটি তৈরি হয়েছে ঝোপ
তাতে দুনিয়াকে সেলাম করব না লাথ মারব গান বাজছে
লাল লাল বাচ্চা সৈন্যদের এনে এনে জড়ো করছে
কখন যে মাঠ গজিয়েছে
এভাবে করলে হবে না এখানে ভারী কিছু না-শোনা কিছু শব্দ আনো
রসুনে আগুন দাও
আর তোমার মনে তো আছেই কবেকার রাসগুল্লা রাসগুল্লা
নূরজাহান
পাকা পাকা ছবি দিচ্ছে
লাইক ইট? লাইক দিচ্ছে। ফ্যান্টাস্টিক করছে।
তুমিও করো তুমিও করো
(আলাদা কিছু প্রতি লেখায়? প্রতি বইতে? হচ্ছে না হচ্ছে না!)
তবেই না
পিলপিল ছুটে আসবে দুপেয়েরা, সগোত্রেরা
নানান বিচিত্র নাম তাদের
হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বলবে বন্ধু করো বন্ধু করো বন্ধু
ধাতব গলায়
২
আমার আর মনে থাকছে না কিছু
অ্যামনেশিয়া?
ডিমেনশিয়া?
মনে পড়ছে না কিচ্ছু
কোথায় বসে আছি তা-ও না
ছইট্টগেরাম
পোলোগ্রাউন্ডে আগুন লেগেছে, দমকল বাজাচ্ছে ঘণ্টা
ভোকাট্টা হয়ে একটি ঘুড়ি এসে পড়েছে আমাদের দরজায়, শীত, রোদ
কাল সন্ধ্যায় শরিফরা চেঁচাচ্ছিল
বিজলি বাত্তি আ গেয়ি
খেলতে ডাকছে
বালিমাখা মার্বেল হাতে বিল্লু
আকাশের মাঝখানটা ছিঁড়ে গেছে এক টুকরা আগুনে
নির্বিকার একজন দই-মাখনওয়ালা ডেকে যাচ্ছে মাকখন মাকখন
তোহফা এসেছে
আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমাকে ডাকতে সাহস পাচ্ছে না
একটু পরই আমি জামা, হাফ প্যান্ট আর ক্যাম্বিসের জুতা পরে বেরব রাস্তায়
রেললাইন ধরে চলে যেতে থাকব পূবে বা পশ্চিমে
আর ফিরব না
রোজকার মতো
বেশ ছুঁয়ে গেল কবিতা দুটি, অনাড়ম্বর সুন্দর. কবিকে ধন্যবাদ.