সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল
থাকি তার মনের ভেতর থার্মোমিটার। জানি নারীর নাড়ি ও নক্ষত্রের মনমন্ত্র, অলিগলি, গোপন গল্প। জানি–জ্যামিতিক জটিলতা, মনোজ জোয়ার। অর্জিত গর্বে সেইম পেইজে বাস করি, সহবাস করি জোড়া-বেজোড়ায়।
ইনসাইড থেকে আউটসাইড কিম্বা জোড়া আর বেজোড়ার কত দূর? মন দেহের দূরত্ব তাড়িয়ে অসূর্যস্পর্শীর গন্ধরাজের নেশায় জেগে উঠি। পাঠের তীব্র তৃষ্ণায় মুখস্থ করতে চাই– শরীরের ভাষা, পাঠ করতে চাই– শাখা-প্রশাখার ঝড়, জানতে চাই– মর্মমূলের জাগরণ। উপলব্ধি করতে চাই– দীর্ঘ চুম্বনে কতটা হিমালয়ের শীর্ষে উঠে পারদ। ইসিজির গ্রাফিকের মতো লাজুক নিঃশ্বাসের উঠানামা কীভাবে অমৃত ইনহেলার হয়ে উঠে? কোন মুহূর্তে অস্থির আঙুলের ছোঁয়ায়, ঠোঁটের স্পর্শে স্তনফুল ছড়ায় বিদ্যুল্লতার অদ্ভূত শিহরণ।
বহুমাত্রিক ষোলকলার খেলাঘরের কখন কোন সাঁতারের মাত্রায় বেজে উঠে অভ্যন্তরীণ সারেগামা, কুড়িগ্রাম। কম্পমান আঙুলের ভেতর আঙুল যৌথ ভাবে যুগল জিপার হয়ে যায়। হাতে হাত, পায়ে পা, কুড়ি পৃষ্ঠার সাথে একুশ পৃষ্ঠা, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সাথে নিন্মাঙ্গ সঙ্গীতের উথাল-পাতাল অস্থিরতা। জানতে চাই, বুঝতে চাই, দেখতে চাই– মোমবাতি কি ভাবে পাথরের ফুল হয়ে থাকে।
নভেম্বর ০৫, ২০১২