গৌতম চৌধুরী
আসল জাদু— স্পর্শ করায়
স্পর্শে ভীষণ রোমাঞ্চ, তাও
আড়াল থেকে শিউরে ওঠা বাতাস পাঠায় অপস্মৃতি
তার মানে ভয়
তেপান্তরের দিকহারানো মাঝদরিয়ার তরঙ্গপথ
বজ্রপাতে বিলকুল জল খাক হয়েছে
পাঁজর দাঁড়া পুড়তে পুড়তে এখন ধুধু অনন্ত খাদ
জোসনা অব্দি ঠিকরে কালো অদ্ভুতুড়ে
মহানিমের দীঘল ডালে বাদুড় ঝুলছে লক্ষ লক্ষ
বিন্দু বিন্দু লালের ফোঁটায় জ্বলছে নিবছে সবগুলো চোখ
সবগুলো চোখ উড়তে চাইছে
তার মানে ভয়
ভয়, তবু ঢের হাতছানিও
গোপন ঢেউতরঙ্গ হয়ে ঘুমের ভেতর জাগরণের হরকরা এক
কেবল ছুটছে কেবল ছুটছে
বার্তা তাকে দিতেই হবে এই প্রহর বা সেই প্রহরে—
ভয় পেও না, স্পর্শ করো
স্পর্শ করলে দেখবে আগুন পানির ভিতর বা বরফে
স্পর্শ করলে রুক্ষ পাথর কুসুম ফুটবে আনন্দিত
অস্তাচলের সূর্য হঠাৎ রংধনুকের লাস্য নেবে
আসল জাদু স্পর্শ করায়
সৌদামিনী, স্পর্শ করো
রক্তপলাশ
বিশাল ফেনপুঞ্জরাশি ছুটছে অগাধ
অবাধ স্রোতে মহাজনি নৌকা নাচায় জবরদস্ত মাল্লামাঝি
নৌকা, না কি নদীই নাচে তরঙ্গ তরঙ্গরঙ্গে
উচ্ছ্বসিত অগ্নি যেন কেশাগ্রতে স্পর্শ করছে নক্ষত্রলোকের সীমানা
কী তার রূপ, আর রূপের স্পর্ধা ছাড়িয়ে যাচ্ছে অনর্গলই
আমি সামান্য দর্শকের ভূমিকাতে গোপন করছি আনন্দাশ্রু
চোখে মুখে লাগছে এসে দু’চার বিন্দু জলোচ্ছ্বাসের শিশিরকণা
অভিশপ্ত মাথার ওপর কোন সে সুদূর ডোম্বিনী মা’র করতলের ছায়া যেন
সেই ছায়ারই ঘনঘোরে আমিও দিগন্ত হয়ে মিশে যাচ্ছি এই বসন্তে
নগরপ্রান্তে ফুটে উঠছে দু’এক গুচ্ছ রক্তপলাশ
মালা
সুতোর স্রোতে ভরে দিয়েছি স্তব্ধ কথকতা
জলের মীড়ে মিশছে আচমন
এখন শুধু কুসুম খুঁজে পাওয়া
এখন শুধু রাতের লণ্ঠন
দোলাতে দোলাতে অপার বয়ে যাচ্ছে হাওয়া
মাঠের পরে মাঠের শেষে দিগন্তের ঢাল
চাইছে মগ্নতা
কুসুম নয়, ফুটুক তবে গহন অন্তরাল
বার্তা তাকে দিতেই হবে এই প্রহর বা সেই প্রহরে—
ভয় পেও না, স্পর্শ করো
স্পর্শ করলে দেখবে আগুন পানির ভিতর বা বরফে
স্পর্শ করলে রুক্ষ পাথর কুসুম ফুটবে আনন্দিত
অস্তাচলের সূর্য হঠাৎ রংধনুকের লাস্য নেবে
আসল জাদু স্পর্শ করায়
সৌদামিনী, স্পর্শ করো
Bah! Besh laglo, Gautam-da.
osadharon laglo..anondo pelam porey.