মঙ্গলবার গুলশানের একটি রেস্তোরায় সফররত পশ্চিমবঙ্গের কবি ও সাংবাদিক সৈয়দ হাসমত জালালের সম্মানে এক প্রাণবন্ত সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাহিত্য আড্ডায় সভাপতিত্ব করেন ষাটের দশকের শীর্ষস্থানীয় কবি আল মুজাহিদী। সভাপরিচালনা করেন লেখক-সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজ। অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতাপাঠ, মুক্ত আলোচনা ও সঙ্গীত পরিবেশনে অংশগ্রহণ করেন কবি সৈয়দ আহমদ আলি আজিজ, কবি ও সঙ্গীতশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, কবি মাহমুদ হাফিজ, কবি ইসমত শিল্পী, ডাবলু চৌধুরী প্রমুখ। দুপুরে শুরু হয়ে আড্ডাটি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে।
অনুষ্ঠানে নিজের বই থেকে অনেকগুলো কবিতা পাঠ করে শোনান সম্মানিত অতিথি কবি সৈয়দ হাসমত জালাল।। অনুষ্ঠানে উত্থাপিত আলোচনার আলোকে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কবি-লেখকদের নামের বানান ও উচ্চারণের ক্ষেত্রে অজ্ঞতা-অবহেলা লক্ষ্য করা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই নামগুলো বিকৃত করে লেখা ও উচ্চারণ করা হয়। এ ব্যাপারে সাহিত্যামোদীদের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
কবি আল মুজাহিদী বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিকদের মানবতাবাদে উজ্জীবিত হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, দুই দেশ হলেও আমাদের ভাষা এক। তাই সাহিত্যের ভাষা ব্যবহারে প্রমিত চর্চা এবং দর্শনের দিক থেকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত হওয়া প্রয়োজন। বুলবুল মহলানবীশ কবি নজরুলের সঙ্গীত নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, নজরুলের সাহিত্য নিয়ে যতোটা গবেষণা হয়েছে, গান নিয়ে তার একাংশও চর্চা হয়নি। নজরুল চর্চা বিশেষশ একটি গন্ডি অতিক্র করতে পারছে না। তিনি বলেন, পুরো নজরুল প্রতিভা মূল্যায়ণে কবির সঙ্গীতের চর্চা ও গবেষণা বাড়াতে হবে। তিনি নজরুলের ধ্রুপদ, খেয়াল, গজল ও পাশ্চাত্য পর্বের কয়েকটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
লেখক-সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজ পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের একটি অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকারের তথ্য দেন। তিনি বলেন, দুই যুগ আগে ১৯৯০ সালে কলকাতার আননন্দাবাজার পত্রিকার কর্মস্থলে সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের একটি বিস্তৃত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। সাক্ষাৎকারটি এখনো অপ্রকাশিত বলে তা সাহিত্য-শিল্পের এ্যান্টিকে পরিণত হয়েছে। অচিরেই দুই দেশের পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, সৈয়দ হাসমত জালাল প্রয়াত সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের অনুজ। #