জড়বদ্ধতা
নির্জীব আমিও জীব সেজে দৌড়াই
অনাহত থেকেও অনাহূত হবার যোগ্যতা
আমার আছে জেনেই
আলতো ঢঙে, একলা আঙুলের ছাপ রাখেনি
কেউ আমার বাহুতে, কখনোই
ধারালো নখের প্রান্ত সীমায়
আমার যে শৈবালের চাষ ছিলো
পর্যবেক্ষণে নামেনি কেউ ওখানটায়
আক্রমণের অপেক্ষায় থেকে থেকে
কাকতাড়ুয়াও ক্লান্ত হয়
সুকৃষ্ণ দাঁতের অমসৃণ বিলাপে
ভয় খেয়ে যাওয়া আমার মাথা
অনুভূতিশীল হয় একটি জীব হবার
জড়ই আমাকে শেখায় এই কৌশল।
দিদিমনি
অভিমানী পড়শি আমার খুব
জোছনার বিষ এনে দিলো কালো পাতে
গুছিয়ে রাখা রাতের ভাঁজ খুলে টের পাই
রাত কেউ পড়েছিলো চুপিসারে
নিপাট চিত্রার “সু” মেখে যদি
আমিও সাজাতে পারি প্রবৃদ্ধ মঞ্চ
শ্যাওলার ভাবিনী দাস্য হতে
আসবে না তুমি ? বলো ?
গৈরিক বসনের পাতানো আরশিতে
নেমে এলো চর্চার রূপিণী
“যিনি কবি …তার হাত ধরো”
বানভাসি, বনবাসী,
“হাতে কষ্ট হচ্ছে তো !”
আঙুলের মুদ্রণে গাঁথা,
“তোমার ভেতর কোথায় একটা ফাঁকা জায়গা আছে…
তাই তুমি ছুটে চলো…একটা জায়গা খোঁজ তুমি… কেন ??”
বিপ্রতীপের উঠোনে বন্দ্য সে সহজাত
রেখে দেবে সুশীতল নিরিবিলি ঢঙে।