মলয় রায়চৌধুরী
দাদা সমীর রায়চোধুরী, তাঁর বন্ধু শক্তি চট্টোপাধ্যায়, যিনি চাইবাসায় দাদার নিমডি পাহাড়টিলার চালাবাড়িতে দু’বছরের বেশি ছিলেন, আমি, এবং আমার বন্ধু দেবী রায়, আমরা চারজন ১৯৬১ সালের নভেম্বরে, পাটনায় আমাদের বাড়িতে বসে কয়েকদিনের আলোচনার পর নির্ণয় নিই যে আমরা উত্তরঔপনিবেশিক পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যের প্রেক্ষিতে “হাংরি আন্দোলন” নামে একটা আন্দোলন আরম্ভ করব, যার রূপরেখা আমি আগেই ছকে রেখেছিলুম, তা অন্য তিনজনকে বোঝাই, এবং তাঁরা রাজি হন । “হাংরি” শব্দটা আমি পেয়েছিলুম জিওফ্রে চসারের কবিতার লাইন In Sowre Hungry Tyme থেকে এবং তাত্ত্বিক বনেদ গড়েছিলুম ইতিহাসের দার্শনিক অসওয়াল্ড স্পেংলারের The Decline Of The West বই থেকে । উপস্হিত তিনজনই তা অনুমোদন করেন । ঠিক হয় যে প্রতি সপ্তাহে এক পাতার বুলেটিন প্রকাশ করা হবে, আর তা কলকাতার কফিহাউস, কলেজ, সংবাদপত্র দপতর ইত্যাদিতে ফ্রি বিলি করা হবে, তার খরচ আমি আর দাদা দেবো ।
কলকাতায় শক্তি চট্টোপাধ্যায় আমাদের চেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন বলে তাঁকে নেতৃত্ব নিতে বলা হয়, এবং তিনি তৎক্ষণাত রাজি হন । হাওড়ায় দেবী রায় যে বস্তিবাড়িতে থাকতেন, তাকেই প্রকাশকের ঠিকানা হিসাবে ঘোষণা করা ঠিক হয়, কেননা শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কোনো নির্দিষ্ট আস্তানা ছিল না, কলকাতার উল্টোডাঙার যে বস্তিতে উনি থাকতেন সেখানে কেউ যাক তা চাইতেন না, এবং তিনি দাদার শ্যালিকা শীলা চট্টোপাধ্যায়ের গভীর প্রেমে পড়েছিলেন বলে, অধিকাংশ সময়ে চাইবাসাতেই থাকতে চাইতেন ; দাদা লম্বা ট্যুরে গেলে শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে মধুটোলায় নিজের শশুরবাড়িতে অতিথি হিসাবে রেখে যেতেন । একবার দাদা চাকুরিসূত্রে সামুদ্রিক জাহাজে ট্রেনিং নিতে গিয়েছিলেন, বেশ কয়েক মাসের জন্য, তখন শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাদার শশুরবাড়িতে এতোদিন ছিলেন যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর খোঁজে এসে অবাক হয়ে বলেন, “তুই এখানে ইস্টিশান পুঁতে ফেলেছিস ?” তাঁর প্রেমিকা কলেজে পড়তে গেলে শক্তি চট্টোপাধ্যায় ফিরে আসার রাস্তায় কোনো গাছতলায় দাঁড়িয়ে বহুক্ষণ অপেক্ষা করতেন ।
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কাব্যগ্রন্হ “হে প্রেম হে নৈঃশব্দ্য” এই প্রেমের ফসল । তার আগে তিনি ঔপন্যাসিক হবার কথা ভাবছিলেন, উপন্যাস লিখে টাকা রোজগারের আশায় ; “কুয়োতলা” ( রচনাকাল ১৯৫৬-৫৭; প্রকাশিত ১৯৬১ সালে ) নামে একটা উপন্যাস লিখেছিলেন, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপু চরিত্রের সঙ্গে তাঁর নিজের মিল ও প্রকৃতির বর্ণনায় তাঁর নিজের বহড়ু গ্রামের সাদৃশ্য খুঁজে পেয়ে । তারপরেও তিনি “কুয়োতলা” গ্রন্হের নায়ক নিরুপমকে নিয়ে একাধিক উপন্যাস লিখেছেন, কিন্তু “কুয়োতলা”র পর্যায়ের লিখতে পারেননি একটিও, ততদিনে তাঁর সৃজনশীল একাগ্রতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে কবিতায়, এবং একের পর এক অসাধারণ কবিতা লিখে গেছেন ।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় মদ খেতে ভালোবাসতেন ; চাইবাসার মধুটোলায়, মধ্যবিত্ত বাড়ির তরুণীর সঙ্গে প্রেম করার সময়েও তাঁর অভ্যাস ছাড়তে পারেননি, তাঁদের বাড়িতে অতিথি হয়ে থাকার সময়েও মহুয়ার মদ আর আদিবাসী হাটের হাড়িয়া খেয়ে ফিরেছেন । মাতাল বলতে যা বোঝায়, তা উনি হতেন বলে মনে হয় না আমার, পোশাকে মদ ছিটিয়ে মাতালের অভিনয়ও করতে দেখেছি ওনাকে ।
১৯৬৩ সালে উনি যে হাংরি আন্দোলন থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিলেন, তার দুটি কারণের একটি হল, প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পারা, এবং সেই ব্যাপারে দাদা সমীর রায়চৌধুরী আর আমার হাত ছিল বলে ওনার ঘোর সন্দেহ । নিজের প্রেম নিয়ে লেখা “কিন্নর কিন্নরী” ( ১লা বৈশাখ ১৩৮৪ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত ) উপন্যাসে, যে বইতে তিনি নিরুপম-এর বদলে পার্থ নাম দিয়েছেন নায়ককে, তাতে হদিশ দিয়েছেন অন্যের ষড়যন্ত্রের । অনেকে প্রশ্ন তোলেন যে প্রেমিকাকে না পাওয়ার জন্য হাংরি আন্দোলনের বিরোধীতা, আর আমার বিরুদ্ধে মামলায় পুলিশের পক্ষের সাক্ষী হলেন, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য ? আমার বক্তব্য হল যে ষাঠ বছর আগের যুবক-যুবতীরা প্রেমে ব্যর্থ হলে অমনধারাই আচরণ করতেন, এখনকার যুবক-যুবতীদের পক্ষে যা বুঝে-ওঠা সম্ভব নয় ।
চাইবাসা থেকে কলকাতায় ফিরে তিনি রূপচাঁদ পক্ষী ছদ্মনামে চারটি ব্যর্থ প্রেমের কাহিনি লিখেছিলেন : “অম্বা ও দেবব্রত”, “রামচন্দ্র ও শর্বরী”, “সোম ও তারা” এবং “অর্জুন ও উত্তরা” । হাংরি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে সাহিত্যে ধরে রাখার জন্য ১৩৮১ বঙ্গাব্দে তিনি “হৃদয়পুর” নামে একটি উপন্যাস লেখেন, যার নায়ক নিরুপম বাড়ি থেকে রাজপথে বেরিয়ে সামনে যা দেখে, মানুষসুদ্দু লাল মোটরগাড়ি, বাসের কাচ, জুতোর দোকান থেকে জুতো, বিশাল নমুনা-কলম, বিশাল নমুনা-ফুটবল, চারফুট লম্বা মদের বোতল, তা-ই খেতে থাকে ।
প্রেমিকাকে না পেয়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি যদি বেকার না হতেন, এবং সাহিত্যিক হিসাবে খ্যাত হতেন, তাহলে সমীর রায়চোধুরীর শশুর তাঁকে জামাই হিসাবে স্বীকৃতি দিতেন । ১৯৬৩ সালেই তিনি একটি সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় দপতরে চাকরির আহ্বান পেলেন, শর্ত ছিল যে তাঁকে হাংরি আন্দোলন ত্যাগ করতে হবে । তিনি যে হাংরি আন্দোলন ত্যাগ করেছেন তা প্রমাণের জন্য এক সন্ধ্যায় কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের সামনে কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে, যে দলে সেই পত্রিকার সাংবাদিকও ছিলেন, ঘিরে ধরলেন হাংরি আন্দোলনের গল্পকার সুবিমল বসাককে । সে এক কেলেঙ্কারি দৃশ্য, মাতালের কুখ্যাতিকে ভাঙিয়ে নেবার এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর কীই বা হতে পারে । সেসময়ে সুবিমল বসাকের চেহারা ছিল কুস্তিগিরের, তাই তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, পারস্পরিক হুমকি ছাড়া ।
১৯৬২ সাল জুড়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায় হাংরি আন্দোলন নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহান্বিত ছিলেন, এটি যে একটি জলবিভাজক আন্দোলন হিসাবে দেখা দিয়েছে, তাও মেনে নিয়েছিলেন, অশোক চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত “সম্প্রতি” পত্রিকায় হাংরি আন্দোলন নিয়ে একটা ছোটো লেখাও লিখেছিলেন, আমার ব্যাখ্যা করা অসওয়াল্ড স্পেংলারের বক্তব্যকে সম্প্রসারিত করে, অর্থাৎ “সভ্যতা ও সংস্কৃতি হল জৈব প্রক্রিয়া, কোন দিকে তার বাঁকবদল ঘটবে তা আগে থাকতে বলা যায় না ; একটি সংস্কৃতির অবসান সেই পর্যায়ে আরম্ভ হয়, যখন তার নিজের সৃজনক্ষমতা ফুরিয়ে গিয়ে সংস্কৃতিটি নির্বিচারে যা পায় তা-ই খেতে থাকে, তার ক্ষুধা তখন তৃপ্তিহীন। হেগেলের এই তর্কটি ভুল যে ইতিহাস যুক্তিসংগতভাবে একটি রেখা বরাবর এগোয়। ।”
“কৃত্তিবাস” গোষ্ঠীর যে কবি-লেখকরা হাংরি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, উৎপলকুমার বসু, বিনয় মজুমদার প্রমুখ, তাঁরা শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ডাকেই যোগ দিয়েছিলেন । শক্তি চট্টোপাধ্যায় সেসময়ে শেয়ালদার কাছে একটা কোচিং ক্লাস চালাতেন, সেখানে পড়াতেন বাসুদেব দাশগুপ্ত, তিনিও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ডাকে হাংরি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন । ১৯৬১ থেকে ১৯৬৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ , প্রায় প্রতিটি বুলেটিনে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হতো । অন্যান্য যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা এসেছিলেন সুবিমল বসাক ও দেবী রায়ের ডাকে ।
আমার লেখা প্রথম ইংরেজি বুলেটিনে আনন্দ বাগচী ও অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের কবিতার সমালোচনা ছিল, যা শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের পছন্দ হয়নি ; তিনি উষ্মা প্রকাশ করায় বুলেটিনটি দ্বিতীয়বার প্রকাশ করা হয়, বিতর্কিত প্যারাটি বাদ দিয়ে । রাজনৈতিক ইশতাহারে ( ১৫ নং ) একটা ঘোষণা সম্পর্কেও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন উনি, এই তর্কবিন্দুটি নিয়ে কবি কৃষ্ণ ধর পর-পর দু’দিন প্রধান সম্পাদকীয় লিখেছিলেন “যুগান্তর” সংবাদপত্রে । ঘোষণাটি ছিল এরকম : “বেশ্যার মৃতদেহ এবং গর্দভের লেজের মাঝামাঝি কোথাও সেই স্হানটি দেখিয়ে দেয়া হবে, যেটা বর্তমান সময়ে একজন রাজনীতিকের।” বুলেটিনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতাকেন্দ্রগুলোর প্রতি আক্রমণ আমরা যতো বাড়িয়ে তুলেছি, উনি ততো অস্বস্তি বোধ করেছেন ।
১৯৬৪ সালে আমাকে ও সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে আমেরিকার আইওয়া পোয়েট্রি ওয়র্কশপ থেকে লেখা চিঠিতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আরোপ করেছিলেন যে “কৃত্তিবাস” গোষ্ঠীকে ভেঙে দেবার জন্যই আমরা ষড়যন্ত্র করে হাংরি আন্দোলন আরম্ভ করেছি ; অমন চিঠি সম্ভবত শক্তি চট্টোপাধ্যায়কেও লিখে থাকবেন। বলা বাহুল্য যে “কৃত্তিবাস”কে আমরা ঔপনিবেশিক সাহিত্যতন্ত্রের একটি পত্রিকাগোষ্ঠী বলে মনে করতুম, আন্দোলন নয় বা ঔপনিবেশিক ডিসকোর্সের কাউন্টার ডিসকোর্স নয় । শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করে হাংরি বুলেটিনে আমিই প্রকাশ করেছি, কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় অ্যালেন গিন্সবার্গকে বুঝিয়েছিলেন যে আমি শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে ইংরেজি কবিতা লিখিয়ে তাঁর প্রতিভাকে খর্ব করছি । “কৃত্তিবাস” একটি পত্রিকা, এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরও তা প্রকাশিত হয়ে চলেছে ।
১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বরে এগারোজন হাংরি আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে ১২০বি এবং ২৯২ ইনডিয়ান পিনাল কোডের ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বেরোয়, তাঁরা হলেন সমীর রায়চৌধুরী, উৎপলকুমার বসু, দেবী রায়, সুবিমল বসাক, শৈলেশ্বর ঘোষ, প্রদীপ চৌধুরী, সুভাষ ঘোষ, সুবো আচার্য, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, বাসুদেব দাশগুপ্ত, এবং আমি । কিন্তু গ্রেপ্তার হই আমি, দেবী, শৈলেশ্বর, সুভাষ, প্রদীপ আর দাদা । উৎপল গ্রেপ্তার হননি, কিন্তু যোগমায়া দেবী কলেজে তাঁর অধ্যাপনার চাকরি থেকে বরখাস্ত হন । প্রদীপ চৌধুরী বিশ্বভারতী থেকে রাস্টিকেট হন । আমাকে হাতে হাতকড়া পরিয়ে কোমরে দড়ি বেঁধে বাড়ি থেকে থানা আর থানা থেকে আদালতে সাতজন চোর-ডাকাতের সঙ্গে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ।
লক্ষণীয় যে এফ আই আর-এ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের নাম ছিল না । কিন্তু হাংরি আন্দোলন থেকে নিজের দূরত্ব প্রমাণ করার জন্য তিনি যেচে লালবাজারে গিয়ে পুলিশের কাছে আন্দোলনের বিরুদ্ধে স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন, এবং ব্যাংকশাল কোর্টে হাংরি মামলায় আমার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষের সাক্ষী হয়েছিলেন । আন্দোলনের বিরুদ্ধে স্টেটমেন্ট দিয়ে রাজসাক্ষী হয়েছিলেন শৈলেশ্বর ঘোষ আর সুভাষ ঘোষও, কিন্তু তাঁরা তা করেছিলেন মামলা থেকে অব্যহতি পাবার জন্য । শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের তো তেমন পরিস্হিতি ছিল না । দাদা সমীর রায়চৌধুরী মনে করেন যে, ব্যর্থ প্রেমের প্রতিশোধ ছাড়াও, হাংরি আন্দোলনে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণকারী হয়ে থাকার প্রতি তাঁর দৃষ্টিকোণ বদলে দিয়েছিল তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তাবোধ, সংবাদপত্রে চাকরির শর্ত, কলকাতায় পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক, এবং প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতির চাপ । ব্যাংকশাল কোর্টের জজসাহেব আমাকে একমাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন পুলিশ পক্ষের সাক্ষী আর রাজসাক্ষীদের দেয়া সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করে ।
শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় ও উৎপলকুমার বসু আমার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষের সাক্ষী হয়েছেন জানার পর, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তৎক্ষণাত আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিতে রাজি হন ; তার আগে তিনি সাক্ষ্য দেবেন না বলেছিলেন । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের চেকমেট !
Malay Roychoudhury
A-504 Krishna Palace
Asha Nagar
Kandivali ( East )
Mumbai 400 101